মাশরাফির চোখে ব্যাটিংয়েই বড় সমস্যা
বৃষ্টি
ম্যাচটিকে নামিয়ে এনেছিল ৪০ ওভার। টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। তবে আগে
ব্যাট করার সিদ্ধান্তটা বাংলাদেশের পক্ষে গেল না। আবারও পারলেন না
ব্যাটসম্যানরা।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এসেছে, আগে ব্যাট করা ঠিক হয়েছে কি না? ম্যাচের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য সেই আলোচনায় জলই ঢেলে দিলেন। বললেন, ‘উইকেটে আসলে কিছুই ছিল না। কোনো সুইং নেই। তাই ব্যাটিং নিয়েছি। আমরা যা ধারণা করেছিলাম, এটা খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট, সেটিই ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা পারিনি।’
মাশরাফির পর সংবাদ সম্মেলনে এসে হাশিম আমলাও বললেন, ‘টস জিতলে আমরাও ব্যাটিংই নিতাম।’ দুজনের কথাই মিলে যাচ্ছে এক জায়গায়। উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হলেও তো প্রশ্নটা আরও বড় করেই আসে, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কেন পারছেন না?
উত্তরটা সবারই জানা। ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মতো ধৈর্য তাঁরা দেখাতে পারেননি। শুরুতেই ফাগিসো রাবাদার আঘাতে টপ অর্ডারে ধস। বিপর্যয় সামলে সাকিব-মুশফিক হাল ধরলেও আবার ঝড়ে এলোমেলো নৌকা। অন্তত আরও কিছু রান হলে হয়তো লড়াই করতে পারত বাংলাদেশ।
সেই লড়াইটা না হওয়ায় মাশরাফি দায় দেখছেন ব্যাটসম্যানদেরই, ‘আমার বিশ্বাস ছিল, ২০০ করতে পারলে স্পিন দিয়ে ওদের ওপর চাপ তৈরি করতে পারতাম।’ কথাটা হয়তো ঠিকই আছে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা ভালো করেও আউট হয়ে যাচ্ছেন, বড় জুটি গড়ে উঠছে না, এসবও তো বেরিয়ে আসছে। আর সবার মতোই মাশরাফিও তা মেনে নিলেন, ‘হ্যাঁ, এমনটা তো হচ্ছেই। শুরুটা ভালো করেও বড় ইনিংস আসছে না। আমাদের উচিত এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো।’ সমস্যাটা রাতারাতি সমাধান করারও পথ নেই—বলছেন তিনি। আরও অনুশীলন, আরও উইকেটে সময় কাটানোর ওপরই জোর দিলেন বেশি।
বেশ কয়েকটা ম্যাচ ধরেই ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না, ম্যাচের দৈর্ঘ্য ১০ ওভার কমে গেলেও আট ব্যাটসম্যান নিয়ে কালও নেমেছে বাংলাদেশ। এটিও অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কথাটা আসছে এ জন্যই যে, আট ব্যাটসম্যান নিয়েও হচ্ছে না। মাশরাফিরও কাছে এর ব্যাখ্যা, ‘বিশ্বকাপের সময় ব্যাটসম্যানরা ফর্মে ছিল, বোলাররা অতটা ভালো করছিলাম না, তখন বোলারদের একটু সুযোগ দিয়েছিলাম। শেষ তিনটি ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা ভালো করেনি, তাই ওরা যাতে স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে পারে, এ কারণেই আট ব্যাটসম্যান।’
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এসেছে, আগে ব্যাট করা ঠিক হয়েছে কি না? ম্যাচের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য সেই আলোচনায় জলই ঢেলে দিলেন। বললেন, ‘উইকেটে আসলে কিছুই ছিল না। কোনো সুইং নেই। তাই ব্যাটিং নিয়েছি। আমরা যা ধারণা করেছিলাম, এটা খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট, সেটিই ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা পারিনি।’
মাশরাফির পর সংবাদ সম্মেলনে এসে হাশিম আমলাও বললেন, ‘টস জিতলে আমরাও ব্যাটিংই নিতাম।’ দুজনের কথাই মিলে যাচ্ছে এক জায়গায়। উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হলেও তো প্রশ্নটা আরও বড় করেই আসে, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কেন পারছেন না?
উত্তরটা সবারই জানা। ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মতো ধৈর্য তাঁরা দেখাতে পারেননি। শুরুতেই ফাগিসো রাবাদার আঘাতে টপ অর্ডারে ধস। বিপর্যয় সামলে সাকিব-মুশফিক হাল ধরলেও আবার ঝড়ে এলোমেলো নৌকা। অন্তত আরও কিছু রান হলে হয়তো লড়াই করতে পারত বাংলাদেশ।
সেই লড়াইটা না হওয়ায় মাশরাফি দায় দেখছেন ব্যাটসম্যানদেরই, ‘আমার বিশ্বাস ছিল, ২০০ করতে পারলে স্পিন দিয়ে ওদের ওপর চাপ তৈরি করতে পারতাম।’ কথাটা হয়তো ঠিকই আছে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা ভালো করেও আউট হয়ে যাচ্ছেন, বড় জুটি গড়ে উঠছে না, এসবও তো বেরিয়ে আসছে। আর সবার মতোই মাশরাফিও তা মেনে নিলেন, ‘হ্যাঁ, এমনটা তো হচ্ছেই। শুরুটা ভালো করেও বড় ইনিংস আসছে না। আমাদের উচিত এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো।’ সমস্যাটা রাতারাতি সমাধান করারও পথ নেই—বলছেন তিনি। আরও অনুশীলন, আরও উইকেটে সময় কাটানোর ওপরই জোর দিলেন বেশি।
বেশ কয়েকটা ম্যাচ ধরেই ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না, ম্যাচের দৈর্ঘ্য ১০ ওভার কমে গেলেও আট ব্যাটসম্যান নিয়ে কালও নেমেছে বাংলাদেশ। এটিও অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কথাটা আসছে এ জন্যই যে, আট ব্যাটসম্যান নিয়েও হচ্ছে না। মাশরাফিরও কাছে এর ব্যাখ্যা, ‘বিশ্বকাপের সময় ব্যাটসম্যানরা ফর্মে ছিল, বোলাররা অতটা ভালো করছিলাম না, তখন বোলারদের একটু সুযোগ দিয়েছিলাম। শেষ তিনটি ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা ভালো করেনি, তাই ওরা যাতে স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে পারে, এ কারণেই আট ব্যাটসম্যান।’
ব্যাটসম্যানের
সংখ্যা যা-ই হোক, ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ—এটাই সার কথা। আর
এই ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার কৃতিত্ব দিতেই হবে দক্ষিণ আফ্রিকার
অভিষিক্ত পেসার কাগিসো রাবাদাকে। তাঁকে সেই কৃতিত্ব মাশরাফি দিলেনও। আমলাও
তাঁর পাশে বসিয়ে রাবাদাকে ভেজালেন প্রশংসায়। তবে ম্যাচটা ৮ উইকেটের বড়
ব্যবধানে জিতবেন, তা নাকি আমলা আশাই করেননি, ‘এত সহজে ম্যাচটা জিততে পারব
আশা করিনি। যদিও ৮ উইকেটে জয় স্কোরকার্ডে যতটা সহজ দেখায়, ম্যাচটা ততটা
সহজ ছিল না।’
পরপর দুই ম্যাচে দুজন অভিষিক্ত খেলোয়াড় জিতিয়েছে প্রোটিয়াদের। তরুণদের এভাবে উঠে আসতে দেখে খুবই আশাবাদী আমলা। সেই তরুণদেরই একজন রাবাদা ম্যাচের পর উচ্ছ্বসিত, ‘অভিষেকে এতটা ভালো করব ভাবিনি। ছয় শিকারের মধ্যে তামিমকে বোল্ড করার বলটিই ছিল সেরা।’
পরপর দুই ম্যাচে দুজন অভিষিক্ত খেলোয়াড় জিতিয়েছে প্রোটিয়াদের। তরুণদের এভাবে উঠে আসতে দেখে খুবই আশাবাদী আমলা। সেই তরুণদেরই একজন রাবাদা ম্যাচের পর উচ্ছ্বসিত, ‘অভিষেকে এতটা ভালো করব ভাবিনি। ছয় শিকারের মধ্যে তামিমকে বোল্ড করার বলটিই ছিল সেরা।’
No comments