চিরঘুমে ওমর শরিফ
ওমর শরিফ: ১৯৩২–২০১৫ |
ওমর
শরিফ আর নেই। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কায়রোর একটি হাসপাতালে তিনি ৮৩ বছর
বয়সে মারা যান। ওমর শরিফের দীর্ঘদিনের সহকর্মী স্টিভ কেনিস গতকাল বার্তা
সংস্থা এপিকে বলেন, শরিফ গতকাল হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি
আলঝেইমার রোগে ভুগছিলেন। এ বছরের শুরুর দিকে তাঁর এই রোগের বিষয়টি নিশ্চিত
করেন চিকিৎসকেরা। খবর বিবিসি ও আল-জাজিরার। বিখ্যাত এই অভিনেতা ১৯৬২ সালে
মুক্তিপ্রাপ্ত ধ্রুপদি চলচ্চিত্র লরেন্স অব অ্যারাবিয়ার মাধ্যমে প্রথম
চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষের নজরে আসেন। এই ছবি ছিল তারকাসমৃদ্ধ। পিটার ওটুল,
আলেগ গিনেস, অ্যান্থনি কুইন, জ্যাক হকিংসের মতো জাঁদরেল অভিনেতাদের সঙ্গে এ
ছবিতে ছিলেন ওমর শরিফও। শেরিফ আলি চরিত্রে ওমর শরিফের অনবদ্য অভিনয় অচিরেই
তাঁকে তারকাখ্যাতি এনে দেয়। এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা
পার্শ্বচরিত্রের অভিনয়শিল্পী হিসেবে একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন।
এর ঠিক তিন বছর পর ১৯৬৫ সালে ডক্টর জিভাগো চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি বুঝিয়ে দেন ইংরেজি ছবিতেও অভিনেতা হিসেবে রয়েছে তাঁর পোক্ত আসন। এই দুটি ছবির জন্যই তিনি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।
মিসরীয় বংশোদ্ভূত এই শিল্পী ইংরেজি ভাষায় নির্মিত লরেন্স অব অ্যারাবিয়া ছবিতে অভিনয়ের আগে মিসরীয় চলচ্চিত্রজগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তখন গ্রিক ক্যাথলিক এই অভিনেতার নাম ছিল মিশেল দিমিত্রি শালহুব। তাঁর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সিরা ফি ওয়াদি (দ্য ব্লেজিং সান) মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫৩ সালে। এ ছবিতে শরিফের বিপরীতে অভিনয় করেন মিসরীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফাতেন হামামা, যাঁকে শরিফ বিয়ে করেন ১৯৫৫ সালে। হামামাকে বিয়ে করার সময় তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নিজের নাম বদলে ওমর আল শরিফ রাখেন। ১৯৫৭ সালে জন্ম নেওয়া তাঁদের সন্তান তারেক শরিফ ডক্টর জিগাভো ছবিতে তরুণ জিভাগো চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে ওমর শরিফ ও ফাতেন হামামার মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর শরিফ আর বিয়ে করেননি।
আলেকজান্দ্রিয়া শহরের ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়েছেন তিনি। কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে স্নাতক পাস করে পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর তিনি চলচ্চিত্রজগতে আসেন।
চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এরপর কয়েক দশক।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি একজন তুখোড় কনট্রাক্ট ব্রিজ খেলোয়াড় হিসেবে শরিফের সুনাম ছিল। সত্তর ও আশির দশকে তিনি ব্রিজ খেলা নিয়ে চিকাগো ট্রিবিউন-এ কলামও লিখেছেন। তিনি ব্রিজ খেলা নিয়ে কয়েকটি বইও লিখেছেন। ১৯৯২ সালে বাজারজাত হওয়া ‘ওমর শরিফ ব্রিজ’ নামে একটি কম্পিউটার গেমও রয়েছে।
ওমর শরিফ অভিনীত আরও অনেক ছবি নন্দিত হয়েছে। দ্য রেইনবো থিফ (১৯৯০), ম্যাকানাস গোল্ড (১৯৬৯), চে (১৯৬৯), ফানি গার্ল (১৯৬৮), দি পিংক প্যান্থার স্ট্রাইকস এগেইন (১৯৭৬) তারই কয়েকটি।
শেষ বয়সে এসেও পশ্চিমা ও মিসরীয় চলচ্চিত্রের প্রতি অনুরাগ ছিল ওমর শরিফের। অভিনয়জীবনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ২০০৬ সালে চলচ্চিত্রের রঙিন দুনিয়া থেকে অবসর নেন তিনি।
এর ঠিক তিন বছর পর ১৯৬৫ সালে ডক্টর জিভাগো চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি বুঝিয়ে দেন ইংরেজি ছবিতেও অভিনেতা হিসেবে রয়েছে তাঁর পোক্ত আসন। এই দুটি ছবির জন্যই তিনি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।
মিসরীয় বংশোদ্ভূত এই শিল্পী ইংরেজি ভাষায় নির্মিত লরেন্স অব অ্যারাবিয়া ছবিতে অভিনয়ের আগে মিসরীয় চলচ্চিত্রজগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তখন গ্রিক ক্যাথলিক এই অভিনেতার নাম ছিল মিশেল দিমিত্রি শালহুব। তাঁর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সিরা ফি ওয়াদি (দ্য ব্লেজিং সান) মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫৩ সালে। এ ছবিতে শরিফের বিপরীতে অভিনয় করেন মিসরীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফাতেন হামামা, যাঁকে শরিফ বিয়ে করেন ১৯৫৫ সালে। হামামাকে বিয়ে করার সময় তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নিজের নাম বদলে ওমর আল শরিফ রাখেন। ১৯৫৭ সালে জন্ম নেওয়া তাঁদের সন্তান তারেক শরিফ ডক্টর জিগাভো ছবিতে তরুণ জিভাগো চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে ওমর শরিফ ও ফাতেন হামামার মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর শরিফ আর বিয়ে করেননি।
আলেকজান্দ্রিয়া শহরের ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়েছেন তিনি। কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে স্নাতক পাস করে পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর তিনি চলচ্চিত্রজগতে আসেন।
চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এরপর কয়েক দশক।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি একজন তুখোড় কনট্রাক্ট ব্রিজ খেলোয়াড় হিসেবে শরিফের সুনাম ছিল। সত্তর ও আশির দশকে তিনি ব্রিজ খেলা নিয়ে চিকাগো ট্রিবিউন-এ কলামও লিখেছেন। তিনি ব্রিজ খেলা নিয়ে কয়েকটি বইও লিখেছেন। ১৯৯২ সালে বাজারজাত হওয়া ‘ওমর শরিফ ব্রিজ’ নামে একটি কম্পিউটার গেমও রয়েছে।
ওমর শরিফ অভিনীত আরও অনেক ছবি নন্দিত হয়েছে। দ্য রেইনবো থিফ (১৯৯০), ম্যাকানাস গোল্ড (১৯৬৯), চে (১৯৬৯), ফানি গার্ল (১৯৬৮), দি পিংক প্যান্থার স্ট্রাইকস এগেইন (১৯৭৬) তারই কয়েকটি।
শেষ বয়সে এসেও পশ্চিমা ও মিসরীয় চলচ্চিত্রের প্রতি অনুরাগ ছিল ওমর শরিফের। অভিনয়জীবনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ২০০৬ সালে চলচ্চিত্রের রঙিন দুনিয়া থেকে অবসর নেন তিনি।
No comments