ফেলানী হত্যার রায় চ্যালেঞ্জ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া
বাংলাদেশের
বহুল আলোচিত ফেলানি খাতুন হত্যা মামলা থেকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর
জওয়ান অমিয় ঘোষকে অব্যাহতি দেয়ার রায়কে চ্যালেঞ্জ করছে অ্যামনেস্টি
ইন্ডিয়া। তারা ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আগামী ১৩ই
জুলাই একটি রিট পিটিশন দাখিল করবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা
মানবিক কারণে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে। গত ৩রা জুন কুচ বিহারের
জেনারেল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স আদালত পুনঃবিচারেও অমিয়কে নির্দোষ বলে রায়
দেন। গতকাল অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, অ্যামনেস্টি
ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি সুশান্ত সরকার বলেছেন, খুব তাড়াতাড়িই আমরা সুপ্রিম
কোর্টে যাবো। আমরা মানবিক কারণে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সম্মানিত বিচারকের
কাছে তুলে ধরবো। আশা করি আমাদের উদ্দেশ্য সফল হবে। ২০১১ সালে ভারত থেকে
অবৈধ পন্থায় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া টপকে বাংলাদেশে আসার সময় বিএসএফ
সদস্য অমিয় ঘোষ তাকে গুলি করে হত্যা করে। এ নিয়ে সৃষ্টি হয় তীব্র উত্তেজনা।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমবার ২০১৩ সালের বিচারে অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে
রায় দেয়া হয়। ৩রা জুলাই ছিল এর পুনঃবিচার। এদিনও আদালত তার বিরুদ্ধে
অভিযোগের কোন প্রমাণ পায়নি।
২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি কুচবিহার জেলার চৌধুরীহাট সীমান্তের কাছে কাঁটাতারের বেড়া টপকে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু অমিয় ঘোষ তাকে এ অপরাধে গুলি করে হত্যা করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলানির লাশ ওই কাঁটাতারের বেড়ার ওপর ঝুলতে থাকে বেশ কয়েক ঘণ্টা। এ বিষয়টিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও সোচ্চার হয়ে ওঠে।
২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি কুচবিহার জেলার চৌধুরীহাট সীমান্তের কাছে কাঁটাতারের বেড়া টপকে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু অমিয় ঘোষ তাকে এ অপরাধে গুলি করে হত্যা করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলানির লাশ ওই কাঁটাতারের বেড়ার ওপর ঝুলতে থাকে বেশ কয়েক ঘণ্টা। এ বিষয়টিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও সোচ্চার হয়ে ওঠে।
No comments