সুনামগঞ্জে কিরণমালা মহারাণি কটকটি
হাওর
জেলা সুনামগঞ্জে জমে উঠছে ঈদের বেচাকেনা। ক্রেতা আকর্ষণ করতে অভিজাত
বিপণিবিতানগুলোতে বর্ণিল সাজে সাজানো হলেও ধানের দাম কম এবং কাপড়ের দাম
বেশি থাকায় অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার বেচাকেনা কিছুটা কম। অভিজাত
বিপণিবিতান থেকে ফুটপাত সব স্থানেই ঈদের কাপড় কেনার চেয়ে সকাল, দুপুর,
বিকাল বা গভীর রাত পর্যন্ত দোকানে দোকানে ক্রেতারা ঘুরে ফিরে দেখতেই বেশি
আগ্রহী। আর উচ্চবিত্তরা শপিংয়ে যাচ্ছেন রাজধানী ঢাকায় বা বিভাগীয় শহর
সিলেটের নামী-দামি শপিং সেন্টারে।
২৫ রমজানের পর বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছেন সুনামগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। তবে বেশি বিক্রি হচ্ছে কিরণমালা আর মহারাণি কটকটি। আর জেলার তিনটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে অভ্যন্তরীণ জটিলতায় ভারত কয়লা রপ্তানি বন্ধ রাখায় ও বালু পাথর মহালগুলোতে উত্তোলন বন্ধ থাকায় এমনটা হচ্ছে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
এবারও ভারতীয় কাপড়ের দখলে সুনামগঞ্জের প্রতিটি দোকান। ঈদের কেনা কাটায় ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভারতের কাপড়। জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায়ই একই অবস্থা। ফ্যাশন হাউসগুলোর প্রায় ৬৫ ভাগ কাপড় ভারত থেকে আমদানিকৃত। তারপরও ব্যবসায়ীরা জানালেন দেশী কাপড়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি। তা দিন দিন আরও বাড়ছে।
সুনামগঞ্জ পৌর এলাকায় লন্ডন প্লাজা, দোজা শপিং সেন্টার, এলি প্লাজা, প্রিয়াঙ্গন মার্কেট, সুরমা হকার্স সমবায় মার্কেটে তৈরী পোশাক বিক্রি হচ্ছে বেশি। আর মধ্যবাজারে শাড়ি, আনরেডি থ্রি- পিস এবং পৌর মার্কেটে টেইলারিং শপে ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। তবে বেশির ভাগ টেইলারিং শপে লাগানো হয়েছে “২০ রোজার পরে অর্ডার নেয়া হয় না” এমন সাইনবোর্ড।
ঈদ বাজার সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের নামে মেয়েদের রেডিমেট পোশাক কিরণমালা, মহারানি কটকটি, সারারা এ তিনটি রেডিমেট ড্রেস বিক্রি হচ্ছে। তরুণীদের পছন্দের তালিকায় ওই তিনটি ড্রেস থাকায় প্রতিটি রেডিমেট দোকানেই বেশি মজুদও রয়েছে ড্রেসগুলোর।
তবে হাওর পাড়ের গরিব নিম্নবিত্ত মানুষদের কাছে কিরণবালা নামের দেশীয় উৎপাদিত পোশাক বেশ চাহিদা দেখা গেছে। দামে কম আর বাহারি রঙয়ের কারণে বিক্রিও বেশ ভাল হচ্ছে।
সুরমা মার্কেটের সুমা গার্মেন্টসের জাহিদ মিয়া জানান, বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে কিরণমালা। এরপরই তরুণীদের চাহিদায় রয়েছে মহারানি কটকটি ও সারারা। এগুলো ২ থেকে ৫-৭ হাজারের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। সুরমা মার্কেটে নিম্ন মধ্যবিত্তরাই কাপড় কিনে থাকেন বেশি। তবে বাজারে নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে দেশী প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত কিরণবালা পোশাকের বেশ চাহিদা রয়েছে বিক্রিও হচ্ছে ভাল। তা ৫শ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে কিরণবালা।
দোজা শপিং সেন্টারে শাওন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক মহিবুর আলম শাওন জানান, মেয়েদের কিরণমালা, বাচ্চাদের ড্রেসের মধ্যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মুদির নামে ‘মুদি ড্রেস’ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও বাচ্চাদের বাবা সেট, চায়না সেট বিক্রি হচ্ছে। বাচ্চাদের এ পোশাকগুলো বিক্রি হচ্ছে ৫শ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে।
এলি প্লাজায় বিএন্ডজি ফ্যাশনের মালিক মোজাম্মেল হোসেন জানান, ছেলে বা পুরুষরা ঈদের ঠিক আগের মুহূর্তের কেনাকাটা করে থাকেন বেশি। তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে টি-শার্ট, জিন্স আর পাঞ্জাবি। তবে বয়স্করাও কিনছেন পাঞ্জাবি। এবার টি-শার্ট ৪শ থেকে ২ হাজার, জিন্স প্যান্ট রয়েছে ৬শ থেকে ২ হাজার আর পাঞ্জাবির দাম রয়েছে ৬শ থেকে ১৬ হাজার টাকা।
লন্ডন প্লাজায় নওরিন কালেকশান্স-এর মালিক এমদাদুল হক জানান, এ বছর বিক্রি কিছুটা কম। আশা করি ঈদের কয়েক দিন আগে বিক্রি বাড়বে। এবার ধানের দাম কম থাকায় এবং কাপড়ের দাম বেশি থাকায় অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার বেচাকেনা কিছুটা কম। একই কথা জানান আরও অনেক ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
ঈদের কেনাকাটায় আসা ফাহমিদা ডায়না জানান, নিজের জন্য কিরণমালা ও কটকটি দুটি ড্রেস নিয়েছি। এখন পরিবারের বাকিদের জন্য কিনছেন। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যরা ঈদের কাপড়ের দাম নিয়ে রয়েছেন কিছুটা বিপাকে।
শহরতলির মুহাম্মদপুরের বাসিন্দা সাত্তার মিয়া, আমবাড়ি বাজারের শামীম, বেতগঞ্জ বাজারের শফিক মিয়াসহ আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সবকিছুর মতো ঈদের কাপড়ের দামও দিন দিন বাড়ছে কিন্তু বাড়ছে না উপার্জন। এবার ধান উৎপাদন হয়েছে ভাল তাই বাজারে ধানের আমদানি বেশি হওয়ায় বরাবরের মতই তাই ধানের দামও কম, সেই বাস্তবতায় সীমিত বাজেটে পরিবারের চাহিদা মেটাতে কর্তাব্যক্তিটি হিমশিম খাচ্ছেন। ঈদে পরিবারের লোকজনের জন্য অনেকটা বাধ্য হয়েই বেশি দাম দিয়ে কাপড় কিনছেন।
ঈদ উপলক্ষে টেইলারিং শপের ব্যস্ততা রোজার প্রথম দিকেই শুরু হয়েছে বলে জানান পৌর বিপণির ক্যামিলিয়া টেইলার্সের পরিচালক রোমান চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, ১৭ রমজানের পর আর কোন নতুন অর্ডার নিচ্ছেন না। যে অর্ডার রেখেছেন তা দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। একই চিত্র লেডিস টেইলারিং শপগুলোতে। পছন্দের পোশাক কেনার পরপরই ঈদে চাই নতুন জুতা তাই জুতার বাজারও বেশ সরগরম। শহরের বিভিন্ন দোকানসহ বাটা, এপেক্স বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা বিক্রি হচ্ছে।
ঈদ বাজার নিয়ে সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহসভাপতি সজীব রঞ্জন দাস বলেন, জেলায় ঈদ বাজার জমে শেষ মুহূর্তে। আর এবার ঈদের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে সুনামগঞ্জের তিনটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে অভ্যন্তরীণ জটিলতায় ভারত কয়লা রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে এতে বিপুল পরিমাণ শ্রমিকরা বেকার হয়েছেন। জেলার বালু পাথর মহালগুলোতেও একই অবস্থা বালু পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। এ কারণে নগদ টাকার সংকটে ব্যবসা বাণিজ্যে কিছুটা মন্দাভাব আছে। তবে শেষ মুহূর্তে বাজার জমবে বলে তিনি আশা করছেন।
২৫ রমজানের পর বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছেন সুনামগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। তবে বেশি বিক্রি হচ্ছে কিরণমালা আর মহারাণি কটকটি। আর জেলার তিনটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে অভ্যন্তরীণ জটিলতায় ভারত কয়লা রপ্তানি বন্ধ রাখায় ও বালু পাথর মহালগুলোতে উত্তোলন বন্ধ থাকায় এমনটা হচ্ছে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
এবারও ভারতীয় কাপড়ের দখলে সুনামগঞ্জের প্রতিটি দোকান। ঈদের কেনা কাটায় ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভারতের কাপড়। জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায়ই একই অবস্থা। ফ্যাশন হাউসগুলোর প্রায় ৬৫ ভাগ কাপড় ভারত থেকে আমদানিকৃত। তারপরও ব্যবসায়ীরা জানালেন দেশী কাপড়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি। তা দিন দিন আরও বাড়ছে।
সুনামগঞ্জ পৌর এলাকায় লন্ডন প্লাজা, দোজা শপিং সেন্টার, এলি প্লাজা, প্রিয়াঙ্গন মার্কেট, সুরমা হকার্স সমবায় মার্কেটে তৈরী পোশাক বিক্রি হচ্ছে বেশি। আর মধ্যবাজারে শাড়ি, আনরেডি থ্রি- পিস এবং পৌর মার্কেটে টেইলারিং শপে ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। তবে বেশির ভাগ টেইলারিং শপে লাগানো হয়েছে “২০ রোজার পরে অর্ডার নেয়া হয় না” এমন সাইনবোর্ড।
ঈদ বাজার সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের নামে মেয়েদের রেডিমেট পোশাক কিরণমালা, মহারানি কটকটি, সারারা এ তিনটি রেডিমেট ড্রেস বিক্রি হচ্ছে। তরুণীদের পছন্দের তালিকায় ওই তিনটি ড্রেস থাকায় প্রতিটি রেডিমেট দোকানেই বেশি মজুদও রয়েছে ড্রেসগুলোর।
তবে হাওর পাড়ের গরিব নিম্নবিত্ত মানুষদের কাছে কিরণবালা নামের দেশীয় উৎপাদিত পোশাক বেশ চাহিদা দেখা গেছে। দামে কম আর বাহারি রঙয়ের কারণে বিক্রিও বেশ ভাল হচ্ছে।
সুরমা মার্কেটের সুমা গার্মেন্টসের জাহিদ মিয়া জানান, বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে কিরণমালা। এরপরই তরুণীদের চাহিদায় রয়েছে মহারানি কটকটি ও সারারা। এগুলো ২ থেকে ৫-৭ হাজারের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। সুরমা মার্কেটে নিম্ন মধ্যবিত্তরাই কাপড় কিনে থাকেন বেশি। তবে বাজারে নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে দেশী প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত কিরণবালা পোশাকের বেশ চাহিদা রয়েছে বিক্রিও হচ্ছে ভাল। তা ৫শ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে কিরণবালা।
দোজা শপিং সেন্টারে শাওন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক মহিবুর আলম শাওন জানান, মেয়েদের কিরণমালা, বাচ্চাদের ড্রেসের মধ্যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মুদির নামে ‘মুদি ড্রেস’ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও বাচ্চাদের বাবা সেট, চায়না সেট বিক্রি হচ্ছে। বাচ্চাদের এ পোশাকগুলো বিক্রি হচ্ছে ৫শ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে।
এলি প্লাজায় বিএন্ডজি ফ্যাশনের মালিক মোজাম্মেল হোসেন জানান, ছেলে বা পুরুষরা ঈদের ঠিক আগের মুহূর্তের কেনাকাটা করে থাকেন বেশি। তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে টি-শার্ট, জিন্স আর পাঞ্জাবি। তবে বয়স্করাও কিনছেন পাঞ্জাবি। এবার টি-শার্ট ৪শ থেকে ২ হাজার, জিন্স প্যান্ট রয়েছে ৬শ থেকে ২ হাজার আর পাঞ্জাবির দাম রয়েছে ৬শ থেকে ১৬ হাজার টাকা।
লন্ডন প্লাজায় নওরিন কালেকশান্স-এর মালিক এমদাদুল হক জানান, এ বছর বিক্রি কিছুটা কম। আশা করি ঈদের কয়েক দিন আগে বিক্রি বাড়বে। এবার ধানের দাম কম থাকায় এবং কাপড়ের দাম বেশি থাকায় অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার বেচাকেনা কিছুটা কম। একই কথা জানান আরও অনেক ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
ঈদের কেনাকাটায় আসা ফাহমিদা ডায়না জানান, নিজের জন্য কিরণমালা ও কটকটি দুটি ড্রেস নিয়েছি। এখন পরিবারের বাকিদের জন্য কিনছেন। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যরা ঈদের কাপড়ের দাম নিয়ে রয়েছেন কিছুটা বিপাকে।
শহরতলির মুহাম্মদপুরের বাসিন্দা সাত্তার মিয়া, আমবাড়ি বাজারের শামীম, বেতগঞ্জ বাজারের শফিক মিয়াসহ আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সবকিছুর মতো ঈদের কাপড়ের দামও দিন দিন বাড়ছে কিন্তু বাড়ছে না উপার্জন। এবার ধান উৎপাদন হয়েছে ভাল তাই বাজারে ধানের আমদানি বেশি হওয়ায় বরাবরের মতই তাই ধানের দামও কম, সেই বাস্তবতায় সীমিত বাজেটে পরিবারের চাহিদা মেটাতে কর্তাব্যক্তিটি হিমশিম খাচ্ছেন। ঈদে পরিবারের লোকজনের জন্য অনেকটা বাধ্য হয়েই বেশি দাম দিয়ে কাপড় কিনছেন।
ঈদ উপলক্ষে টেইলারিং শপের ব্যস্ততা রোজার প্রথম দিকেই শুরু হয়েছে বলে জানান পৌর বিপণির ক্যামিলিয়া টেইলার্সের পরিচালক রোমান চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, ১৭ রমজানের পর আর কোন নতুন অর্ডার নিচ্ছেন না। যে অর্ডার রেখেছেন তা দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। একই চিত্র লেডিস টেইলারিং শপগুলোতে। পছন্দের পোশাক কেনার পরপরই ঈদে চাই নতুন জুতা তাই জুতার বাজারও বেশ সরগরম। শহরের বিভিন্ন দোকানসহ বাটা, এপেক্স বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা বিক্রি হচ্ছে।
ঈদ বাজার নিয়ে সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহসভাপতি সজীব রঞ্জন দাস বলেন, জেলায় ঈদ বাজার জমে শেষ মুহূর্তে। আর এবার ঈদের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে সুনামগঞ্জের তিনটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে অভ্যন্তরীণ জটিলতায় ভারত কয়লা রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে এতে বিপুল পরিমাণ শ্রমিকরা বেকার হয়েছেন। জেলার বালু পাথর মহালগুলোতেও একই অবস্থা বালু পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। এ কারণে নগদ টাকার সংকটে ব্যবসা বাণিজ্যে কিছুটা মন্দাভাব আছে। তবে শেষ মুহূর্তে বাজার জমবে বলে তিনি আশা করছেন।
No comments