‘ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় সরকার’ -নজরুল ইসলাম খান
বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সাজা দিয়ে সরকার আবারও
ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির
সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল
গঠনের পরিকল্পনার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রচলিত আইন ও
দ্রুত বিচার আইনে খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না বলে বিশেষ
ট্রাইব্যুনালে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার সাজা দেয়ার চেষ্টা করছে। তাকে
সাজা দিয়ে সরকার ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়। আজ রাজধানীর শাহজাহানপুরে মাহবুব
আলী মিলনায়তনে শ্রমিক দল (দক্ষিণ) আয়োজিত ইফতার পার্টি ও দোয়া মাহফিলে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের
সবাই সারিন্দা বাজাচ্ছেন। তারা ভাবেন খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে না
পারলে আওয়ামী লীগের জেতার সম্ভাবনা বেশি। কারণ বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে,
খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগ জেতে না। সরকারের উদ্দেশে তিনি
বলেন, এদেশের রাজনীতির মাঠে খেলোয়াড় শুধু আওয়ামী লীগ বা বিএনপি নয়। মূল
খেলোয়াড় জনগণ। তারা যখন মাঠে নামবে তখন কোন খেলোয়াড়ের খোঁজ থাকে না।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, এই সরকারের জনপ্রিয়তা এতই কমে গেছে যে তারা
এখন নির্বাচন দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। কারণ তারা জানে নির্বাচন দিলে
বিএনপি অংশ নেবে, তখন তাদের জেতার কোন চান্স থাকবে না। এজন্য খালেদা জিয়ার
বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেয়া হয়েছে। রাজধানীর ডেমরায় কে গাড়ি পোড়ালো সেজন্য
বিএনপি নেত্রীর নামে মামলা দেয়া হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ
কারাগারের আটক সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঈদের আগে মুক্তি দাবি করে নজরুল
ইসলাম বলেন, উচ্চ আদালত থেকে মির্জা আলমগীর, রিজভী আহমেদকে মুক্তি দেয়া
আদেশ দিলেও সরকার কৌশলে তাদের আটকে রাখতে চাইছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে সরিয়ে দেয়া
প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গম দুর্নীতিসহ সরকারের মন্ত্রীকের বিভিন্ন দায় থাকা
সত্ত্বেও মন্ত্রিত্ব যায় না সেখানে আশরাফ সাহেবের মন্ত্রিত্ব হারানো কোন
বিশেষ বার্তা নয়।
আওয়ামী লীগের বিচারও এই ট্রাইব্যুনালে হবে: শাহ মোয়াজ্জেম
এদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, শুধু সৈয়দ আশরাফুল নয়, বাংলার মানুষ এই অবৈধ সরকারের অব্যাহতি চায় । সৈয়দ আশরাফের মতো এবার গোটা জাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও অব্যাহতি চায়। জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল আয়োজিত ‘ঈদের পূর্বেই জাতীয় নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এ সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। অনির্বাচিত এই সরকার অবৈধ। অবৈধ সরকার থেকে কেন আশরাফুল ইসলামকে সরিয়ে দেয়া হলো তা জাতি জানতে চায়। তিনি বলেন, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে পোকা-খাওয়া মন্ত্রী নন, এই সরকারের মন্ত্রিপরিষদ দুর্নীতিগ্রস্ত। কামরুল ইসলামসহ মন্ত্রিপরিষদের সকল মন্ত্রী আজ দুর্নীতিবাজ। অথচ এই পোকা-খাওয়া মন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব রেখে একজন ভালো ব্যক্তিকে শেখ হাসিনা মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দিয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে- প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ার শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগও এক সময় বিরোধী দলে আসতে পারে। তাই ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এই ট্রাইব্যুনালেই কিন্তু তখন আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার করা হবে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ ওমর ফারুক পীর সাহেবের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়জ্জেম হোসেন আলাল,স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগের বিচারও এই ট্রাইব্যুনালে হবে: শাহ মোয়াজ্জেম
এদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, শুধু সৈয়দ আশরাফুল নয়, বাংলার মানুষ এই অবৈধ সরকারের অব্যাহতি চায় । সৈয়দ আশরাফের মতো এবার গোটা জাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও অব্যাহতি চায়। জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল আয়োজিত ‘ঈদের পূর্বেই জাতীয় নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এ সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। অনির্বাচিত এই সরকার অবৈধ। অবৈধ সরকার থেকে কেন আশরাফুল ইসলামকে সরিয়ে দেয়া হলো তা জাতি জানতে চায়। তিনি বলেন, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে পোকা-খাওয়া মন্ত্রী নন, এই সরকারের মন্ত্রিপরিষদ দুর্নীতিগ্রস্ত। কামরুল ইসলামসহ মন্ত্রিপরিষদের সকল মন্ত্রী আজ দুর্নীতিবাজ। অথচ এই পোকা-খাওয়া মন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব রেখে একজন ভালো ব্যক্তিকে শেখ হাসিনা মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দিয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে- প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ার শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগও এক সময় বিরোধী দলে আসতে পারে। তাই ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এই ট্রাইব্যুনালেই কিন্তু তখন আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার করা হবে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ ওমর ফারুক পীর সাহেবের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়জ্জেম হোসেন আলাল,স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
No comments