ঈদের কেনাকাটায় সরগরম জহুর হকার্স মার্কেট
পুরনো
কাপড়ের জন্য এক নামে পরিচিত নগরীর জহুর হকার্স মার্কেট। তাই একসময় খোঁচা
দিয়ে ডাকা হতো ‘টাল কোম্পানির মার্কেট’। এ ছাড়া একসময় শুধু নিম্নবিত্ত
শ্রেণীর মানুষই এ মার্কেটের ক্রেতা ছিলেন। তবে সেই অবস্থা এখন আর নেই।
পাল্টেছে পরিস্থিতি। বছরজুড়েই নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত, সব শ্রেণীর
ক্রেতাই এখন ভিড় করেন জহুর হকার্স মার্কেটে। ঈদের কেনাবেচাতেও জহুর হকার্স
মার্কেট এখন টেক্কা দেয় নগরীর নামীদামি বিপণিকেন্দ্রগুলোকে। ইতিমধ্যেই ঈদের
বিকিকিনিতে সরগরম হয়ে উঠেছে নগরীর অন্যতম প্রাচীন এ মার্কেটটি।
সরজমিন হকার্স মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অত্যাধুনিক মার্কেটগুলোর মতো অতটা জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও এখানেও শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই অনেকে এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। কেউ বন্ধু-বান্ধব, কেউবা আবার সপরিবারে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। কেউ কিনছেন নিজের জন্য, অনেকে নিজের পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্যও কিনছেন।
সাধারণত কিশোর ও তরুণদের বিভিন্ন নতুন ডিজাইনের পোশাকের জন্য সুনাম আছে হকার্স মার্কেটের। ফলে এ মার্কেটের বেশির ভাগ ক্রেতাই তরুণ। তাই তরুণ প্রজন্মের পছন্দের বিভিন্ন পোশাকের কথা মাথায় রেখেই দোকানিরা তাদের দোকান সাজিয়েছেন। ছেলেদের পোশাকের দোকান বেশি হলেও বর্তমানে কিছু কিছু দোকানে মেয়েদের পোশাকও বিক্রি হচ্ছে। মার্কেটে অন্যান্য দোকানের পাশাপাশি দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকানও চালু হয়েছে ইতিমধ্যে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ‘চাটি’, ‘শিরোনামহীন’, ‘অঙ্গাবরণ’ ইত্যাদি।
চাটির স্বত্বাধিকারী মুসা রেজা বলেন, ঈদ উপলক্ষে নতুন ডিজাইনের টি-শার্ট, শার্ট, গ্যাবার্ডিন ও জিন্স প্যান্ট ইতিমধ্যে চলে এসেছে। সামনে আরও আসবে। তিনি জানান, এবারের ঈদে সেমি-ন্যারো ফ্যাশনের জিন্স চলবে। এ ছাড়া নানা রঙের ইন্ডিয়ান গ্যাবার্ডিন প্যান্টও তরুণদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। এ ছাড়া আছে চায়নিজ টি-শার্ট, ভারতীয় বিভিন্ন ডিজাইনের শার্ট। বিদেশী পোশাকের পাশাপাশি দেশীয় ব্র্যান্ডের শার্ট, টি-শার্টও রয়েছে।
তিনি জানান, চাটিতে চায়নিজ জিন্সের দাম পড়বে ১ হাজার থেকে ১২ শ, ভারতীয় নানা ডিজাইনের গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পাওয়া যাবে সাড়ে ১১ শ থেকে ১৪ শ টাকা। চায়নিজ টি-শার্ট মিলবে ৬ শ থেকে সাড়ে ৬ শ, ভারতীয় শার্ট সাড়ে ৯ শ থেকে ১২ শ টাকা, দেশী ব্র্যান্ডের শার্ট সাড়ে ৬ শ থেকে ৮ শ টাকা এবং টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে আড়াই শ থেকে সাড়ে ৪ শ টাকার ভেতর।
মার্কেটের এনএ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী নোমান আল মাহমুদ জানান, ঈদ উপলক্ষে তার দোকানে শার্ট, প্যান্টের পাশাপাশি পাঞ্জাবি-পায়জামাও রেখেছেন। কারণ ঈদের দিনে বেশির ভাগ তরুণ পাঞ্জাবি পরতে পছন্দ করেন। এ দোকানে বিভিন্ন রং ও ডিজাইনের সুতি পাঞ্জাবি পাওয়া যাবে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায়, পায়জামা মিলবে আড়াই শ থেকে ৫ শ টাকার ভেতর। আরও আছে ‘বয়েজ শার্ট’ নামের ভারতে তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের হাফ হাতা শার্ট। এগুলো কিনতে গুনতে হবে সাড়ে ৪ শ থেকে সাড়ে ৭ শ টাকা।
ছেলেদের পোশাকের প্রাধান্য থাকলেও কয়েক বছরের ব্যবধানে হকার্স মার্কেটে মেয়েদের ও শিশুদের পোশাকের দোকান গড়ে উঠেছে। ক্রেতার সমাগম ও বেচাবিক্রিও ভাল। ঈদ উপলক্ষে এসব দোকানেও নতুন পোশাকের সমাহার।
বিসমিল্লাহ গার্মেন্টসের বিক্রয়কর্মী কৃষ্ণ বাবু জানান, তাদের দোকানে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক পাওয়া যাবে। এখানে মেয়েদের বিভিন্ন কাটের শার্টের দাম পড়বে ৫ শ থেকে সাড়ে ৮ শ, ফতুয়া ৩ শ থেকে ৭ শ, লং কাপ্তান ৩ শ থেকে ১ হাজার, কুর্তি ৬ শ থেকে ১৪ শ, লং গেঞ্জি ২ শ থেকে ৪ শ, লং কামিজ ৫ শ থেকে ১ হাজার, কোটি ৩ শ থেকে ৬ শ, লেগিংস ৩ শ ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পাওয়া যাবে ৪ শ থেকে ৭ শ টাকার ভেতর।
শিশুদের পোশাকের দোকান ভবের হাটের স্বত্বাধিকারী মো. আলমগীর জানান, তার দোকানে ছেলেশিশুদের শার্ট বিক্রি হচ্ছে ৪ শ থেকে ৫ শ, প্যান্ট ৪ শ থেকে ৮ শ, টি-শার্ট ২ শ থেকে ৬ শ ও পাঞ্জাবি ৪ শ থেকে ৮ শ টাকার ভেতর। মেয়েশিশুদের গেঞ্জি পাওয়া যাবে ৪ শ থেকে ৬ শ, প্যান্ট ৩ শ থেকে ৫ শ, ফতুয়া ৩ শ থেকে ৬ শ এবং ফ্রগ বিক্রি হচ্ছে ৪ শ থেকে ১ হাজার টাকায়।
এদিকে তৈরী পোশাকের বাজার এখনও তেমন একটা জমে না উঠলেও ইতিমধ্যেই সরগরম হয়ে উঠেছে হকার্স মার্কেটের দর্জি দোকানগুলো। মার্কেটের দুই নম্বর গলিতে অধিকাংশ দর্জি দোকান। সারা বছরই এখানে পোশাক তৈরি হলেও ঈদের আগে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। ঈদের আগে একটি নির্দিষ্ট সময় পর দোকানিরা অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দেন বলে রোজা শুরু হওয়ার দু-একদিন পরই মানুষ দর্জি দোকানে পছন্দের পোশাকটির ফরমায়েশ দিতে চলে আসেন।
মার্কেটের মিতুয়া টেইলার্স ও ফেব্রিকসের স্বত্বাধিকারী এসকান্দর আলম জানান, এবারের ঈদে সেমি ন্যারো কাটিংয়ের প্যান্ট চলবে। ক্রেতাদেরও সেদিকে ঝোঁক বেশি। যেহেতু ঈদ এবার গরমকালে পড়েছে তাই শার্ট ও পাঞ্জাবির কাপড়ের মধ্যে সুতি কাপড়ই প্রাধান্য পাচ্ছে। এখানে প্যান্ট সেলাইয়ে খরচ পড়বে ৪ শ, শার্ট সাড়ে ৩ শ, পাঞ্জাবির কাপড়সহ ১ থেকে দেড় হাজার টাকা এবং পায়জামা বানাতে গুনতে হবে সাড়ে ৩ শ থেকে ৫ শ টাকা।
সরজমিন হকার্স মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অত্যাধুনিক মার্কেটগুলোর মতো অতটা জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও এখানেও শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই অনেকে এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। কেউ বন্ধু-বান্ধব, কেউবা আবার সপরিবারে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। কেউ কিনছেন নিজের জন্য, অনেকে নিজের পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্যও কিনছেন।
সাধারণত কিশোর ও তরুণদের বিভিন্ন নতুন ডিজাইনের পোশাকের জন্য সুনাম আছে হকার্স মার্কেটের। ফলে এ মার্কেটের বেশির ভাগ ক্রেতাই তরুণ। তাই তরুণ প্রজন্মের পছন্দের বিভিন্ন পোশাকের কথা মাথায় রেখেই দোকানিরা তাদের দোকান সাজিয়েছেন। ছেলেদের পোশাকের দোকান বেশি হলেও বর্তমানে কিছু কিছু দোকানে মেয়েদের পোশাকও বিক্রি হচ্ছে। মার্কেটে অন্যান্য দোকানের পাশাপাশি দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকানও চালু হয়েছে ইতিমধ্যে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ‘চাটি’, ‘শিরোনামহীন’, ‘অঙ্গাবরণ’ ইত্যাদি।
চাটির স্বত্বাধিকারী মুসা রেজা বলেন, ঈদ উপলক্ষে নতুন ডিজাইনের টি-শার্ট, শার্ট, গ্যাবার্ডিন ও জিন্স প্যান্ট ইতিমধ্যে চলে এসেছে। সামনে আরও আসবে। তিনি জানান, এবারের ঈদে সেমি-ন্যারো ফ্যাশনের জিন্স চলবে। এ ছাড়া নানা রঙের ইন্ডিয়ান গ্যাবার্ডিন প্যান্টও তরুণদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। এ ছাড়া আছে চায়নিজ টি-শার্ট, ভারতীয় বিভিন্ন ডিজাইনের শার্ট। বিদেশী পোশাকের পাশাপাশি দেশীয় ব্র্যান্ডের শার্ট, টি-শার্টও রয়েছে।
তিনি জানান, চাটিতে চায়নিজ জিন্সের দাম পড়বে ১ হাজার থেকে ১২ শ, ভারতীয় নানা ডিজাইনের গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পাওয়া যাবে সাড়ে ১১ শ থেকে ১৪ শ টাকা। চায়নিজ টি-শার্ট মিলবে ৬ শ থেকে সাড়ে ৬ শ, ভারতীয় শার্ট সাড়ে ৯ শ থেকে ১২ শ টাকা, দেশী ব্র্যান্ডের শার্ট সাড়ে ৬ শ থেকে ৮ শ টাকা এবং টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে আড়াই শ থেকে সাড়ে ৪ শ টাকার ভেতর।
মার্কেটের এনএ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী নোমান আল মাহমুদ জানান, ঈদ উপলক্ষে তার দোকানে শার্ট, প্যান্টের পাশাপাশি পাঞ্জাবি-পায়জামাও রেখেছেন। কারণ ঈদের দিনে বেশির ভাগ তরুণ পাঞ্জাবি পরতে পছন্দ করেন। এ দোকানে বিভিন্ন রং ও ডিজাইনের সুতি পাঞ্জাবি পাওয়া যাবে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায়, পায়জামা মিলবে আড়াই শ থেকে ৫ শ টাকার ভেতর। আরও আছে ‘বয়েজ শার্ট’ নামের ভারতে তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের হাফ হাতা শার্ট। এগুলো কিনতে গুনতে হবে সাড়ে ৪ শ থেকে সাড়ে ৭ শ টাকা।
ছেলেদের পোশাকের প্রাধান্য থাকলেও কয়েক বছরের ব্যবধানে হকার্স মার্কেটে মেয়েদের ও শিশুদের পোশাকের দোকান গড়ে উঠেছে। ক্রেতার সমাগম ও বেচাবিক্রিও ভাল। ঈদ উপলক্ষে এসব দোকানেও নতুন পোশাকের সমাহার।
বিসমিল্লাহ গার্মেন্টসের বিক্রয়কর্মী কৃষ্ণ বাবু জানান, তাদের দোকানে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক পাওয়া যাবে। এখানে মেয়েদের বিভিন্ন কাটের শার্টের দাম পড়বে ৫ শ থেকে সাড়ে ৮ শ, ফতুয়া ৩ শ থেকে ৭ শ, লং কাপ্তান ৩ শ থেকে ১ হাজার, কুর্তি ৬ শ থেকে ১৪ শ, লং গেঞ্জি ২ শ থেকে ৪ শ, লং কামিজ ৫ শ থেকে ১ হাজার, কোটি ৩ শ থেকে ৬ শ, লেগিংস ৩ শ ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পাওয়া যাবে ৪ শ থেকে ৭ শ টাকার ভেতর।
শিশুদের পোশাকের দোকান ভবের হাটের স্বত্বাধিকারী মো. আলমগীর জানান, তার দোকানে ছেলেশিশুদের শার্ট বিক্রি হচ্ছে ৪ শ থেকে ৫ শ, প্যান্ট ৪ শ থেকে ৮ শ, টি-শার্ট ২ শ থেকে ৬ শ ও পাঞ্জাবি ৪ শ থেকে ৮ শ টাকার ভেতর। মেয়েশিশুদের গেঞ্জি পাওয়া যাবে ৪ শ থেকে ৬ শ, প্যান্ট ৩ শ থেকে ৫ শ, ফতুয়া ৩ শ থেকে ৬ শ এবং ফ্রগ বিক্রি হচ্ছে ৪ শ থেকে ১ হাজার টাকায়।
এদিকে তৈরী পোশাকের বাজার এখনও তেমন একটা জমে না উঠলেও ইতিমধ্যেই সরগরম হয়ে উঠেছে হকার্স মার্কেটের দর্জি দোকানগুলো। মার্কেটের দুই নম্বর গলিতে অধিকাংশ দর্জি দোকান। সারা বছরই এখানে পোশাক তৈরি হলেও ঈদের আগে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। ঈদের আগে একটি নির্দিষ্ট সময় পর দোকানিরা অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দেন বলে রোজা শুরু হওয়ার দু-একদিন পরই মানুষ দর্জি দোকানে পছন্দের পোশাকটির ফরমায়েশ দিতে চলে আসেন।
মার্কেটের মিতুয়া টেইলার্স ও ফেব্রিকসের স্বত্বাধিকারী এসকান্দর আলম জানান, এবারের ঈদে সেমি ন্যারো কাটিংয়ের প্যান্ট চলবে। ক্রেতাদেরও সেদিকে ঝোঁক বেশি। যেহেতু ঈদ এবার গরমকালে পড়েছে তাই শার্ট ও পাঞ্জাবির কাপড়ের মধ্যে সুতি কাপড়ই প্রাধান্য পাচ্ছে। এখানে প্যান্ট সেলাইয়ে খরচ পড়বে ৪ শ, শার্ট সাড়ে ৩ শ, পাঞ্জাবির কাপড়সহ ১ থেকে দেড় হাজার টাকা এবং পায়জামা বানাতে গুনতে হবে সাড়ে ৩ শ থেকে ৫ শ টাকা।
No comments