কমলাপুরে আজও সোনার হরিণের অপেক্ষা
ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে মিলেছে টিকিট। আনন্দ আর দেখে কে! ছবি: ফোকাস বাংলা |
রাজধানীর
কমলাপুর রেলস্টেশনে গতকালের চেয়ে আজ শুক্রবার ভিড় আরও বেশি। মানুষের লাইন
আরও লম্বা। লাইন প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বাইরে চলে গেছে। বৃষ্টিতে ভিজে ট্রেনের
অগ্রিম টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছেন ঈদে বাড়ি যেতে প্রত্যাশী শত শত মানুষ।
কখন মিলবে সেই সোনার হরিণ? সে অপেক্ষায় কাটছে সময়।
সকাল নয়টা থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ ১৪ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। টিকিট পেতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অনেকে এসেছেন স্টেশনে। সারা রাত স্টেশনেই কাটিয়েছেন তাঁরা। পেপার বিছিয়ে ঘুমিয়ে, তাস খেলে, টিভি দেখে সময় কাটিয়েছেন। কেউ আবার খুব ভোরে চলে এসেছেন।
লাইনের মাঝামাঝি বা পেছনে যাঁরা দাঁড়িয়ে, তাঁদের আশঙ্কা বেশি। টিকিট শেষ হয়ে যাবে না তো? রেল কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত টিকিট রয়েছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
লাইনের মাঝামাঝি চিন্তিত মুখে দাঁড়িয়ে মোহাব্বত জান। যাবেন পাবনার চাটমোহরে। বলেন, সকাল ছয়টার দিকে লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন। লাইনের মাঝখানে থাকায় টিকিট পাবেন কি না, এ নিয়ে চিন্তা করছেন। একই অবস্থা জহিরউদ্দিনেরও। গতকাল রাত ১০টার দিকে তিনি এসেছেন। এখনো লাইনের মাঝখানে দাঁড়ানো। টিকিট শেষ হয়ে যাবে কি না, তা নিয়ে তিনি চিন্তিত।
লাইনে দাঁড়ানো আরিফুজ্জামানের চোখেমুখে বিরক্তি। তাঁর অভিযোগ, খুবই ধীর গতিতে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে সময় বেশি লাগছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট নামের সোনার হরিণের দেখা মিলছে না। ধীর গতিতে টিকিট দেওয়া অভিযোগ করলেন আরও কয়েকজন যাত্রী। আরিফুজ্জামানের দাবি, সকাল নয়টার পরিবর্তে রেল কর্তৃপক্ষ সকাল ছয়টা থেকে টিকিট দেওয়া শুরু করতে পারে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হবে বলে তিনি মনে করেন।
সকাল নয়টা থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ ১৪ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। টিকিট পেতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অনেকে এসেছেন স্টেশনে। সারা রাত স্টেশনেই কাটিয়েছেন তাঁরা। পেপার বিছিয়ে ঘুমিয়ে, তাস খেলে, টিভি দেখে সময় কাটিয়েছেন। কেউ আবার খুব ভোরে চলে এসেছেন।
লাইনের মাঝামাঝি বা পেছনে যাঁরা দাঁড়িয়ে, তাঁদের আশঙ্কা বেশি। টিকিট শেষ হয়ে যাবে না তো? রেল কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত টিকিট রয়েছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
লাইনের মাঝামাঝি চিন্তিত মুখে দাঁড়িয়ে মোহাব্বত জান। যাবেন পাবনার চাটমোহরে। বলেন, সকাল ছয়টার দিকে লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন। লাইনের মাঝখানে থাকায় টিকিট পাবেন কি না, এ নিয়ে চিন্তা করছেন। একই অবস্থা জহিরউদ্দিনেরও। গতকাল রাত ১০টার দিকে তিনি এসেছেন। এখনো লাইনের মাঝখানে দাঁড়ানো। টিকিট শেষ হয়ে যাবে কি না, তা নিয়ে তিনি চিন্তিত।
লাইনে দাঁড়ানো আরিফুজ্জামানের চোখেমুখে বিরক্তি। তাঁর অভিযোগ, খুবই ধীর গতিতে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে সময় বেশি লাগছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট নামের সোনার হরিণের দেখা মিলছে না। ধীর গতিতে টিকিট দেওয়া অভিযোগ করলেন আরও কয়েকজন যাত্রী। আরিফুজ্জামানের দাবি, সকাল নয়টার পরিবর্তে রেল কর্তৃপক্ষ সকাল ছয়টা থেকে টিকিট দেওয়া শুরু করতে পারে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হবে বলে তিনি মনে করেন।
রাজধানীর কমলাপুরে ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট নিতে মানুষের ভিড়। ছবি: আশরাফুল আলম |
টিকিট যাঁরা পেয়ে গেছেন, তাঁদের খুশি অন্যরকম। টিকিট পেয়ে দারুণ খুশি মলিনা শিকদার। তিনি বলেন, বাড়ি খুলনায়। টিকিট পেয়ে গেছেন।
তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটেছেন রোকেয়া ইসলাম। চোখেমুখে আনন্দ। বলেন, ঈদে বাড়ি যাওয়ার আনন্দই আলাদা।
টিকিট বিক্রিতে কালোবাজারি হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন রেলওয়ের ডিআইজি রুহুল আমিন। তাঁর ভাষ্য, এখানে কোনো কালোবাজারি হচ্ছে না। গতকাল থেকে কর্তৃপক্ষ সিসিটিভিতে ফুটেজ সংগ্রহ করছে। সেখান থেকে কেউ শনাক্ত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও গতকালের মতো আজও সকাল নয়টা থেকে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। টিকিট থাকা সাপেক্ষে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে। এতে প্রত্যাশী সবাই টিকিট পাবেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত টিকিট আছে। আশা করছেন কেউ বঞ্চিত হবেন না।
তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটেছেন রোকেয়া ইসলাম। চোখেমুখে আনন্দ। বলেন, ঈদে বাড়ি যাওয়ার আনন্দই আলাদা।
টিকিট বিক্রিতে কালোবাজারি হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন রেলওয়ের ডিআইজি রুহুল আমিন। তাঁর ভাষ্য, এখানে কোনো কালোবাজারি হচ্ছে না। গতকাল থেকে কর্তৃপক্ষ সিসিটিভিতে ফুটেজ সংগ্রহ করছে। সেখান থেকে কেউ শনাক্ত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও গতকালের মতো আজও সকাল নয়টা থেকে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। টিকিট থাকা সাপেক্ষে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে। এতে প্রত্যাশী সবাই টিকিট পাবেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত টিকিট আছে। আশা করছেন কেউ বঞ্চিত হবেন না।
No comments