শাওন ও মাজহারের বিরুদ্ধে হুমায়ূন আহমেদ হত্যা মামলা দায়ের
প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে চট্টগ্রামের একটি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। চট্টগ্রামের আইনজীবী ও লেখক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম এবিএম নিজামুল হকের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১২০ (খ), ৩০২, ৩০৪ (ক), ৪০৬, ৪২০ ও ৩৪ ধারায় দায়ের করা এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, অর্থ ও সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিতভাবে ও পরস্পরের যোগসাজশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য মহানগর হাকিম এবিএম নিজামুল হক। মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের কথা উল্লেখ করে মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, অপারেশনের পর গত ১৭ জুলাই হুমায়ূন আহমেদ তার আমেরিকার ভাড়া বাসায় চেয়ার থেকে পড়ে গেলে তার সেলাই খুলে গিয়ে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে স্ত্রী শাওন যে হাসপাতালে অপারেশন হয়েছিল সেই বেলভ্যু হাসপাতালে না নিয়ে পরদিন অখ্যাত জ্যামাইকা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শাওন ও মাজহার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিলারের কাছে হুমায়ূনের চেয়ার থেকে পড়ে যাবার ঘটনা সম্পূর্ণ চেপে যান।
এর আগে হুমায়ূন আহমেদ সুস্থ হয়ে বেলভ্যু হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে আসার পর ১২ জুলাই সন্ধ্যায় শাওন ও মাজহার আমেরিকার ভাড়া বাসায় একটি পার্টির আয়োজন করেন। সেখানে অসুস্থ ক্যান্সার আক্রান্ত হুমায়ূনকে মাংস ও পানীয় খেতে দেন শাওন ও মাজহার। এছাড়া অপারেশনের সময় মাজহার ও শাওন দু’ঘন্টা হাসপাতালে না থেকে অজ্ঞাতস্থানে ছিলেন। অর্থাভাবে অপারেশন বিলম্ব হওয়ার কথা শাওন প্রচার করলেও প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের প্রস্তাব দিলেও শাওন সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এরপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ হাজার ডলারের চেক জোর করে হুমায়ূন আহমেদের হাতে দেন। কিন্তু পরে শাওন প্রচার করেন, অর্থাভাবে হুমায়ূন আহমেদকে বিশ্ববিখ্যাত স্লোয়ান মেমোরিয়াল ক্যাটারিং ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। অথচ ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে শতভাগ সুস্থ করা সম্ভব বলে জানিয়েছিলেন।
১৭ জুলাই ও ১৮ জুলাই বিভিন্ন গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে ফোন করে হুমায়ূনের শারিরীক অবস্থার কথা জানতে চাইলে শাওন ও মাজহার তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখার কথা গোপন করেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বাদির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, শাওন ও মাজহার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ও নগদ টাকা যা শাওনের কাছে গচ্ছিত ছিল, তা আত্মসাৎ করার জন্য এবং মাজহারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য দায়সারাভাবে চিকিৎসা করিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে পরস্পরের যোগসাজশে হুমায়ূন আহমেদকে হত্যা করেছেন। এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক জঘন্য পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে তিনজনকে। এরা হচ্ছেন- ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার দেশের বার্তা সম্পাদক, চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদীর বার্তা সম্পাদক এবং কবি-লেখক আবদুল হাই শিকদার।
গত ১৯ জুলাই নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হুমায়ূন আহমেদ অস্ত্রোপচার-পরবর্তী জীবাণু সংক্রমণে (ইনফেকশন) মারা যান। সেখানে জানাজা শেষে ২৩ জুলাই সকাল ০৮টা ৫৫ মিনিটে তার মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে মরদেহ সরাসরি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয় হলে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন ও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে তার লাশ বারডেম হাসপাতালে হিমঘরে রাখা হয়। ২৩ জুলাই রাতভর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চলে হুমায়ূন আহমেদের দাফন নিয়ে একের পর এক বৈঠক। হুমায়ূনের মা আয়েশা ফয়েজ ও তিন সন্তান নোভা, শীলা ও নুহাশ তাকে ঢাকায় দাফন করার কথা বললেও তাতে বাধ সাধেন হুমায়ূনের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। শেষ পর্যন্ত শাওনের ইচ্ছারই জয় হয়। শাওনের ইচ্ছায় ২৪ জুলাই তাকে দাফন করা হয় গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে।
এদিকে, হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকেই নিউ ইয়র্কে ও পরে দেশে তার মৃত্যু নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হতে থাকে। অনেকেরই অভিযোগ পারিবারিক অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে হুমায়ূন আহেমেদের। তারই জের ধরে বুধবার চট্টগ্রামের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এর বাদী আইনজীবী নজরুল ইসলাম।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের কথা উল্লেখ করে মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, অপারেশনের পর গত ১৭ জুলাই হুমায়ূন আহমেদ তার আমেরিকার ভাড়া বাসায় চেয়ার থেকে পড়ে গেলে তার সেলাই খুলে গিয়ে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে স্ত্রী শাওন যে হাসপাতালে অপারেশন হয়েছিল সেই বেলভ্যু হাসপাতালে না নিয়ে পরদিন অখ্যাত জ্যামাইকা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শাওন ও মাজহার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিলারের কাছে হুমায়ূনের চেয়ার থেকে পড়ে যাবার ঘটনা সম্পূর্ণ চেপে যান।
এর আগে হুমায়ূন আহমেদ সুস্থ হয়ে বেলভ্যু হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে আসার পর ১২ জুলাই সন্ধ্যায় শাওন ও মাজহার আমেরিকার ভাড়া বাসায় একটি পার্টির আয়োজন করেন। সেখানে অসুস্থ ক্যান্সার আক্রান্ত হুমায়ূনকে মাংস ও পানীয় খেতে দেন শাওন ও মাজহার। এছাড়া অপারেশনের সময় মাজহার ও শাওন দু’ঘন্টা হাসপাতালে না থেকে অজ্ঞাতস্থানে ছিলেন। অর্থাভাবে অপারেশন বিলম্ব হওয়ার কথা শাওন প্রচার করলেও প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের প্রস্তাব দিলেও শাওন সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এরপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ হাজার ডলারের চেক জোর করে হুমায়ূন আহমেদের হাতে দেন। কিন্তু পরে শাওন প্রচার করেন, অর্থাভাবে হুমায়ূন আহমেদকে বিশ্ববিখ্যাত স্লোয়ান মেমোরিয়াল ক্যাটারিং ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। অথচ ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে শতভাগ সুস্থ করা সম্ভব বলে জানিয়েছিলেন।
১৭ জুলাই ও ১৮ জুলাই বিভিন্ন গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে ফোন করে হুমায়ূনের শারিরীক অবস্থার কথা জানতে চাইলে শাওন ও মাজহার তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখার কথা গোপন করেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বাদির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, শাওন ও মাজহার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ও নগদ টাকা যা শাওনের কাছে গচ্ছিত ছিল, তা আত্মসাৎ করার জন্য এবং মাজহারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য দায়সারাভাবে চিকিৎসা করিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে পরস্পরের যোগসাজশে হুমায়ূন আহমেদকে হত্যা করেছেন। এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক জঘন্য পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে তিনজনকে। এরা হচ্ছেন- ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার দেশের বার্তা সম্পাদক, চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদীর বার্তা সম্পাদক এবং কবি-লেখক আবদুল হাই শিকদার।
গত ১৯ জুলাই নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হুমায়ূন আহমেদ অস্ত্রোপচার-পরবর্তী জীবাণু সংক্রমণে (ইনফেকশন) মারা যান। সেখানে জানাজা শেষে ২৩ জুলাই সকাল ০৮টা ৫৫ মিনিটে তার মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে মরদেহ সরাসরি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয় হলে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন ও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে তার লাশ বারডেম হাসপাতালে হিমঘরে রাখা হয়। ২৩ জুলাই রাতভর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চলে হুমায়ূন আহমেদের দাফন নিয়ে একের পর এক বৈঠক। হুমায়ূনের মা আয়েশা ফয়েজ ও তিন সন্তান নোভা, শীলা ও নুহাশ তাকে ঢাকায় দাফন করার কথা বললেও তাতে বাধ সাধেন হুমায়ূনের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। শেষ পর্যন্ত শাওনের ইচ্ছারই জয় হয়। শাওনের ইচ্ছায় ২৪ জুলাই তাকে দাফন করা হয় গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে।
এদিকে, হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকেই নিউ ইয়র্কে ও পরে দেশে তার মৃত্যু নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হতে থাকে। অনেকেরই অভিযোগ পারিবারিক অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে হুমায়ূন আহেমেদের। তারই জের ধরে বুধবার চট্টগ্রামের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এর বাদী আইনজীবী নজরুল ইসলাম।
No comments