ভারতে ভয়াবহ বিদ্যুত বিপর্যয়, ভোগান্তিতে ৬০ কোটি মানুষ- তিনটি গ্রিড লাইন অচল ॥ ২০ রাজ্য অন্ধকারে, কয়েক শ’ ট্রেন আটকা
ভয়াবহ বিদ্যুত বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে ভারত। উত্তর, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব গ্রিড লাইন অচল হয়ে পড়ায় মঙ্গলবার ভারেতের অর্ধেকেরও বেশি এলাকা বিদ্যুতহীন হয়ে পড়ে। স্মরণকালের এই বিপর্যয়ে ২০ রাজ্যের ৬০ কোটিরও বেশি মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। এ নিয়ে পর পর দুই দিন বিদ্যুত বিপর্যয়ের মুখে পড়ল দেশটি।
সোমবার এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিদ্যুত বিপর্যয়ে উত্তর ভারতের আট রাজ্যে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার এর চেয়েও ভয়াবহ বিদ্যুত বিপর্যয় ঘটেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। রাজধানী নয়াদিল্লীর সবক’টি মেট্রো অচল হয়ে পড়েছে। শতাব্দী এবং রাজধানী ট্রেন দু’টি লাইনের উপরে আটকে পড়ে। মেট্রো স্টেশনগুলোতে হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছে। উত্তরাঞ্চলে প্রায় তিন শ’ ট্রেনের চলাচলে বিঘœ ঘটেছে। বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকায় পশ্চিমবঙ্গের একটি কয়লা খনিতে দু’শ’ শ্রমিক আটকা পড়েছে। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। খবর এএফপি, বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি অনলাইনের।
সোমবার বিপর্যয়ের পর বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা ওইদিন সন্ধ্যায় উত্তরাঞ্চলের গ্রিড সচল করে ৬০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে আবার তা অচল হয়ে পড়ে। প্রথমদিন উত্তর ভারতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। পরদিন মঙ্গলবার ভারতের প্রধান তিনটি সরবরাহ গ্রিডে সমস্যা দেখা দেয়ায় আক্রান্ত হয় পূর্ব ভারতও। বিদ্যুতহীন হয়ে পড়ে ২০ রাজ্য। মঙ্গলবার আক্রান্ত হয় হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর, বিহার, উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরখণ্ড, দিল্লী ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য। সোমবারের বিপর্যয়ে আট রাজ্যের প্রায় ৩৭ কোটি মানুষ বিদ্যুতহীন থাকে। এরপর মঙ্গলবারও উত্তর ও পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথের শত শত ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে হাজার হাজার যাত্রী। দিল্লীর মেট্রো সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে প্রায় দুই ঘণ্টা।
ভারতের এ বিদ্যুত বিপর্যয়কে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং দীর্ঘ সময়ের ব্ল্যাকআউট বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার বিদ্যুতমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দে জানিয়েছিলেন, বেলা ১১টার মধ্যে ৬০ শতাংশ সরবরাহ পুনরায় চালু করা গেছে। সাড়ে ১২টার মধ্যে পুরোপুরি সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে। কিন্তু একদিন পরও সরবরাহ নিশ্চিত করা তো সম্ভব হয়ইনি, বরং আরও কয়েকটি রাজ্যে ব্ল্যাকআউট শুরু হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সঙ্কট শুরু হয়েছে মূলত রাজস্থান, হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশ- এ চারটি রাজ্যে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়ার পর। প্রথমে উত্তরাঞ্চলীয় গ্রিডে সরবরাহ বন্ধ হওয়ার পর পরই পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডেও সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর ৪০ মিনিট পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডের পতন ঘটে। এরপরই স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে ভারতের ৬০ কোটি মানুষের ভোগান্তি শুরু হয়।
এদিকে রাজধানী দিল্লীতে দুপুর দেড়টার দিকে সরবরাহ স্মরণকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। এ সময় সরবরাহ লাইনে ভোল্টেজ নেমে যায় মাত্র ৪০ মেগাওয়াটে যেখানে নিয়মিত চাহিদা ৪ হাজার মেগাওয়াট। এ ভয়াবহ বিদ্যুত বিপর্যয়ে রাজধানী প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
দুপুর আড়াইটার দিকে বিদ্যুতমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দে বলেন, দেড় ঘণ্টার মধ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশা করছেন। কিন্তু রাত আটটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানীর ভিভিআইপি এলাকায় জরুরীভিত্তিতে এক শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ করা হচ্ছে। এ সরবরাহে হাসপাতাল, ট্রফিক সিগন্যাল এবং মেট্রোকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। মেট্রো স্টেশনগুলোতে হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছে। তারা যাতে নিকটবর্তী স্টেশন পর্যন্ত যেতে পারে সে জন্য জরুরী বিদ্যুতের একটা অংশ মেট্রোতে দেয়া হচ্ছে।
সোমবার বিপর্যয়ের পর বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা ওইদিন সন্ধ্যায় উত্তরাঞ্চলের গ্রিড সচল করে ৬০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে আবার তা অচল হয়ে পড়ে। প্রথমদিন উত্তর ভারতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। পরদিন মঙ্গলবার ভারতের প্রধান তিনটি সরবরাহ গ্রিডে সমস্যা দেখা দেয়ায় আক্রান্ত হয় পূর্ব ভারতও। বিদ্যুতহীন হয়ে পড়ে ২০ রাজ্য। মঙ্গলবার আক্রান্ত হয় হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর, বিহার, উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরখণ্ড, দিল্লী ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য। সোমবারের বিপর্যয়ে আট রাজ্যের প্রায় ৩৭ কোটি মানুষ বিদ্যুতহীন থাকে। এরপর মঙ্গলবারও উত্তর ও পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথের শত শত ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে হাজার হাজার যাত্রী। দিল্লীর মেট্রো সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে প্রায় দুই ঘণ্টা।
ভারতের এ বিদ্যুত বিপর্যয়কে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং দীর্ঘ সময়ের ব্ল্যাকআউট বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার বিদ্যুতমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দে জানিয়েছিলেন, বেলা ১১টার মধ্যে ৬০ শতাংশ সরবরাহ পুনরায় চালু করা গেছে। সাড়ে ১২টার মধ্যে পুরোপুরি সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে। কিন্তু একদিন পরও সরবরাহ নিশ্চিত করা তো সম্ভব হয়ইনি, বরং আরও কয়েকটি রাজ্যে ব্ল্যাকআউট শুরু হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সঙ্কট শুরু হয়েছে মূলত রাজস্থান, হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশ- এ চারটি রাজ্যে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়ার পর। প্রথমে উত্তরাঞ্চলীয় গ্রিডে সরবরাহ বন্ধ হওয়ার পর পরই পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডেও সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর ৪০ মিনিট পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডের পতন ঘটে। এরপরই স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে ভারতের ৬০ কোটি মানুষের ভোগান্তি শুরু হয়।
এদিকে রাজধানী দিল্লীতে দুপুর দেড়টার দিকে সরবরাহ স্মরণকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। এ সময় সরবরাহ লাইনে ভোল্টেজ নেমে যায় মাত্র ৪০ মেগাওয়াটে যেখানে নিয়মিত চাহিদা ৪ হাজার মেগাওয়াট। এ ভয়াবহ বিদ্যুত বিপর্যয়ে রাজধানী প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
দুপুর আড়াইটার দিকে বিদ্যুতমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দে বলেন, দেড় ঘণ্টার মধ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশা করছেন। কিন্তু রাত আটটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানীর ভিভিআইপি এলাকায় জরুরীভিত্তিতে এক শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ করা হচ্ছে। এ সরবরাহে হাসপাতাল, ট্রফিক সিগন্যাল এবং মেট্রোকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। মেট্রো স্টেশনগুলোতে হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছে। তারা যাতে নিকটবর্তী স্টেশন পর্যন্ত যেতে পারে সে জন্য জরুরী বিদ্যুতের একটা অংশ মেট্রোতে দেয়া হচ্ছে।
No comments