বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়- বাংলায় রূপান্তর: এনামুল হক
(পূর্ব প্রকাশের পর) দোষী সাব্যস্ত করা ও দণ্ডদান সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জকৃত আদেশটির দ্বারা সংুব্ধ হওয়ায় আপীলকারী ফারুক রহমান ১৯৯৮ সালের ২৬১৬ নং ফৌজদারি আপীল পেশ করে, আপীলকারী সুলতান শাহরিয়ার ১৯৯৮ সালের ২৬০৪ নং ফৌজদারি আপীল পেশ করে এবং আপীলকারী মহিউদ্দিন (আর্টিলারি) ১৯৯৮ সালের ১৬১৭নং ফৌজদারি আপীল পেশ করেন।
আপীলকারী বজলুল হুদা বিচারের সময়জুড়ে যদিও পলাতক ছিলেন তথাপি ব্যাংককে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত বহিসমর্পণ মামলার জের ধরে তাকে বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার দিন অর্থাৎ ৮.১১.১৯৯৮ তারিখে ব্যাঙ্কক থেকে ঢাকায় ফেরত আনা হয় এবং সে তখন তার দোষী সাব্যস্তকরণ ও দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে ১৯৯৮ সালের ২৬১৩ নং ফৌজদারি আপীল বলে নিয়মিত আপীল পেশ করে।
এরপর দু'জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চে ডেথ্ রেফারেন্স ও উপরোক্ত চারটি আপীল মামলার সব কটির শুনানি একত্রে অনুষ্ঠিত হয়। দুই বিচারকের মধ্যে পরিচালনাকারী বিচারক বিচারপতি মোঃ রুহুল আমীন বর্তমান আপীলকারীদের এবং তাদের সঙ্গে আরও চারজনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ব্যাপারে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং ১৯৯৭ সালের ৩১৯নং দায়রা মামলায় বিচারিক আদালত দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারা এবং ১২০খ ধারায় আসামীদের দোষী সাব্যস্ত করে ও দণ্ডাদেশ দিয়ে যে রায় নিয়েছিলেন সেটি বহাল রাখেন এবং মৃতু্যদণ্ড প্রয়োগের পদ্ধতির সংশোধনীসহ ডেথ্ রেফারেন্সকে বর্তমান আপীলকারীদের মধ্যে চারজনসহ আরও চার জনের েেত্র গ্রহণ করেন। এইভাবে তিনি ডেথ্ রেফারেন্সকে আংশিকভাবে গ্রহণ করেন এবং দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারা ও ১২০ খ ধারায় আপীলকারী মহিউদ্দীন (আর্টিলারি)সহ পাঁচ আসামির সঙ্গে সম্পর্কিত দোষী সাব্যস্তকরণ ও দণ্ডাদেশটি নাকচ করে দেন এবং তদানুযায়ী তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেথ্ রেফারেন্সটি গ্রহণ করা হয়নি।
বেঞ্চের অপর বিচারক বিচারপতি খায়রুল হক অবশ্য আপীলকারীসহ আসামী ১৫ জনের সবাইকে আনীত অভিযোগের ব্যাপারে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং তদানুযায়ী বিচারিক আদালতের দেয়া রায় ও দণ্ডাদেশ সত্যাপন করেন এবং ডেথ্ রেফারেন্স গ্রহণ করেন।
১৯৯৮ সালের ৩০ নং ডেথ রেফারেন্স এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত আপীলগুলোর েেত্র রায় দ্বিধাবিভক্ত হওয়ায় উপরোক্ত ডেথ্ রেফারেন্স ও সংশ্লিষ্ট আপীলগুলো ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৮ ও ৪২৯ ধারায় বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আদেশ/নির্দেশের জন্য বিজ্ঞ প্রদান বিচারপতির কাছে পেশ করা হয়। বিজ্ঞ প্রধান বিচারপতি তখন ডেথ্ রেফারেন্স ও তৎসম্পর্কিত আপীলগুলো নি্#৬৩৭৪৩;ত্তি করার জন্য বিচারপতি ফজলুল করিমকে তৃতীয় বিচারক হিসাবে নিয়োগ করেন।
তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারক তখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৮ ও ৪২৯ ধারার বিধান অনুযায়ী মাত্র ৬ জন আসামীর েেত্র উপরোক্ত ডেথ্ রেফারেন্স ও আপীলের শুনানি করেন। এই ৬ আসামীর মধ্যে আপীলকারী মহিউদ্দিন (আর্টিলারি)ও ছিল যার ব্যাপারেও ডিভিশন বেঞ্চের বিজ্ঞ বিচারকরা দ্বিধাবিভক্ত রায় দিয়েছিলেন।
তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারক শুনানির পর মামলার বাস্তব ঘটনা ও পরিস্থিতি এবং রেকর্ডভুক্ত তথ্য প্রমাণাদি বিবেচনা করে অভিমত দেন যে সরকার প আসামী মেজর আহমেদ শরিফুল হোসেন ও ওরফে শরিফুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মোঃ কিসমত হাসেম ও ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন আনসারের বিরুদ্ধে আনীত মামলার অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন। আনীত অভিযোগের ব্যাপারে নির্দোষ সাব্যস্ত হওয়ায় তিনি তাদের অভিযোগ থেকে খালাস দেন। (ক্রমশ)
এরপর দু'জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চে ডেথ্ রেফারেন্স ও উপরোক্ত চারটি আপীল মামলার সব কটির শুনানি একত্রে অনুষ্ঠিত হয়। দুই বিচারকের মধ্যে পরিচালনাকারী বিচারক বিচারপতি মোঃ রুহুল আমীন বর্তমান আপীলকারীদের এবং তাদের সঙ্গে আরও চারজনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ব্যাপারে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং ১৯৯৭ সালের ৩১৯নং দায়রা মামলায় বিচারিক আদালত দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারা এবং ১২০খ ধারায় আসামীদের দোষী সাব্যস্ত করে ও দণ্ডাদেশ দিয়ে যে রায় নিয়েছিলেন সেটি বহাল রাখেন এবং মৃতু্যদণ্ড প্রয়োগের পদ্ধতির সংশোধনীসহ ডেথ্ রেফারেন্সকে বর্তমান আপীলকারীদের মধ্যে চারজনসহ আরও চার জনের েেত্র গ্রহণ করেন। এইভাবে তিনি ডেথ্ রেফারেন্সকে আংশিকভাবে গ্রহণ করেন এবং দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারা ও ১২০ খ ধারায় আপীলকারী মহিউদ্দীন (আর্টিলারি)সহ পাঁচ আসামির সঙ্গে সম্পর্কিত দোষী সাব্যস্তকরণ ও দণ্ডাদেশটি নাকচ করে দেন এবং তদানুযায়ী তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেথ্ রেফারেন্সটি গ্রহণ করা হয়নি।
বেঞ্চের অপর বিচারক বিচারপতি খায়রুল হক অবশ্য আপীলকারীসহ আসামী ১৫ জনের সবাইকে আনীত অভিযোগের ব্যাপারে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং তদানুযায়ী বিচারিক আদালতের দেয়া রায় ও দণ্ডাদেশ সত্যাপন করেন এবং ডেথ্ রেফারেন্স গ্রহণ করেন।
১৯৯৮ সালের ৩০ নং ডেথ রেফারেন্স এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত আপীলগুলোর েেত্র রায় দ্বিধাবিভক্ত হওয়ায় উপরোক্ত ডেথ্ রেফারেন্স ও সংশ্লিষ্ট আপীলগুলো ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৮ ও ৪২৯ ধারায় বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আদেশ/নির্দেশের জন্য বিজ্ঞ প্রদান বিচারপতির কাছে পেশ করা হয়। বিজ্ঞ প্রধান বিচারপতি তখন ডেথ্ রেফারেন্স ও তৎসম্পর্কিত আপীলগুলো নি্#৬৩৭৪৩;ত্তি করার জন্য বিচারপতি ফজলুল করিমকে তৃতীয় বিচারক হিসাবে নিয়োগ করেন।
তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারক তখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৮ ও ৪২৯ ধারার বিধান অনুযায়ী মাত্র ৬ জন আসামীর েেত্র উপরোক্ত ডেথ্ রেফারেন্স ও আপীলের শুনানি করেন। এই ৬ আসামীর মধ্যে আপীলকারী মহিউদ্দিন (আর্টিলারি)ও ছিল যার ব্যাপারেও ডিভিশন বেঞ্চের বিজ্ঞ বিচারকরা দ্বিধাবিভক্ত রায় দিয়েছিলেন।
তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারক শুনানির পর মামলার বাস্তব ঘটনা ও পরিস্থিতি এবং রেকর্ডভুক্ত তথ্য প্রমাণাদি বিবেচনা করে অভিমত দেন যে সরকার প আসামী মেজর আহমেদ শরিফুল হোসেন ও ওরফে শরিফুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মোঃ কিসমত হাসেম ও ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন আনসারের বিরুদ্ধে আনীত মামলার অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন। আনীত অভিযোগের ব্যাপারে নির্দোষ সাব্যস্ত হওয়ায় তিনি তাদের অভিযোগ থেকে খালাস দেন। (ক্রমশ)
No comments