অবৈধভাবে সাগর পথে মালয়েশিয়াগামী ২৪ যাত্রীর অনাহারে মৃত্যু- মিয়ানমারে বন্দী ৮২
দালালের হাত ধরে সাগর পথে মালয়েশিয়াগামী ১০৮ বাংলাদেশীর করুণ পরিণতি ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। অনাহারে ২৪ জন মারা গেছে ট্রলারে। তাদের মৃতদেহ ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে সাগরে। দুই দালালসহ ৮২ জন বন্দী অবস্থায় রয়েছে মিয়ানমারের কারাগারে।
আটককৃতদের মধ্যে ৮২ জনকে ১ বছর করে কারাদ- দিয়েছে মিয়ানমারের স্থানীয় আদালত। বয়স কম হওয়ায় দুইজনকে কারাদ- না দিয়ে নিরাপত্তা হেফাজতে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। মিয়ানমারের সংবাদপত্র দৈনিক ইরাবতি এ খবর দিয়েছে। খবর নিজস্ব সংবাদদাতা ও সংবাদদাতার।
সীমান্তের বিভিন্ন সূত্র জানায়, দেশটির মন প্রদেশের ইয়ে শহরের কাছের এইম দেইং গ্রামের উপকূলে সাগর থেকে ৮৪ বাংলাদেশীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে তারা সাগরে ভাসছিল। বার্মিজ ভাষা বলতে না পারলেও তারা গ্রামবাসীকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে, তারা মালয়েশিয়া যাচ্ছিল এবং তাদের সঙ্গে থাকা ২৪ ব্যক্তি খাবার ও পানির অভাবে মারা গেছে। তাদের লাশ সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের পত্রিকাটি তাদের খবরে জানায়, এইম দেইং গ্রামের স্থানীয়রা বাংলাদেশী ব্যক্তিদের খাবার ও পানির যোগান দেয়। পরে তাদের আটক করে নিয়ে যায় বার্মিজ নৌবাহিনী ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ। ছোট্ট শহরটিতে এত বেশি লোককে বন্দী করে রাখার মতো কারাগারে স্থান না থাকায় ফুটবল স্টেডিয়াম মাঠে পুলিশ তাদের আটকে রাখে। মিয়ানমারের অভিবাসন আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় স্থানীয় আদালতে। ১৯ জুলাই এক খবরে দৈনিক ইরাবতি জানায়, আটককৃতদের মধ্যে ৮২ জনকে ১ বছর করে কারাদ- দিয়েছে স্থানীয় আদালত। দুই অপ্রাপ্ত বয়স্ককে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে শহরের দক্ষিণে অপর একটি ছোট্ট শহর কাওজারের কাছে থায়ে কোং গ্রামে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ওই ১০৮ বাংলাদেশীর বাড়ি কক্সবাজার জেলার ঈদগাও, রশিদনগর, টেকনাফ ও উখিয়ায়। দালাল ও মন প্রদেশের অন্যান্য সূত্রের ভিত্তিতে তাদের আত্মীয়স্বজনরা নিশ্চিত করেছেন যে, যে ট্রলার থেকে আটককৃতরা গত ২৫ মে মিয়ানমারের মন প্রদেশে বন্দী হয়, সেই ট্রলারেই ছিলেন তাদের স্বজনরা। এমন তথ্যের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হচ্ছে, জেলার টেকনাফ কুতুবদিয়া পাড়ার আবদুর রহিমের পুত্র নুরুল আবছারসহ একই গ্রামের আটজন ও সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ঘোনা পাড়ার নুরুল আবছার (২০), মোঃ ইউনুছ (১৮), রশিদনগরের নূরুল ইসলাম, বড় ধলিরছড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম, নূরুল আজিম, দেলওয়ার হোছেন, ধলিরছড়া জেটি রাস্তার আমির হোসেন (১৬), পশ্চিম বড় ধলির ছড়ার আবুল হোসেন (২৩), লামারপাড়ার কামাল উদ্দিন (২২), মোরাপাড়ার নুরু মিস্ত্রী। ১০৮ যুবক চাকরির আশায় দালালের হাত ধরে সাগরে পথে ১০ মে টেকনাফের সাবরাং থেকে ট্রলারযাগে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে।
সীমান্তের বিভিন্ন সূত্র জানায়, দেশটির মন প্রদেশের ইয়ে শহরের কাছের এইম দেইং গ্রামের উপকূলে সাগর থেকে ৮৪ বাংলাদেশীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে তারা সাগরে ভাসছিল। বার্মিজ ভাষা বলতে না পারলেও তারা গ্রামবাসীকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে, তারা মালয়েশিয়া যাচ্ছিল এবং তাদের সঙ্গে থাকা ২৪ ব্যক্তি খাবার ও পানির অভাবে মারা গেছে। তাদের লাশ সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের পত্রিকাটি তাদের খবরে জানায়, এইম দেইং গ্রামের স্থানীয়রা বাংলাদেশী ব্যক্তিদের খাবার ও পানির যোগান দেয়। পরে তাদের আটক করে নিয়ে যায় বার্মিজ নৌবাহিনী ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ। ছোট্ট শহরটিতে এত বেশি লোককে বন্দী করে রাখার মতো কারাগারে স্থান না থাকায় ফুটবল স্টেডিয়াম মাঠে পুলিশ তাদের আটকে রাখে। মিয়ানমারের অভিবাসন আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় স্থানীয় আদালতে। ১৯ জুলাই এক খবরে দৈনিক ইরাবতি জানায়, আটককৃতদের মধ্যে ৮২ জনকে ১ বছর করে কারাদ- দিয়েছে স্থানীয় আদালত। দুই অপ্রাপ্ত বয়স্ককে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে শহরের দক্ষিণে অপর একটি ছোট্ট শহর কাওজারের কাছে থায়ে কোং গ্রামে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ওই ১০৮ বাংলাদেশীর বাড়ি কক্সবাজার জেলার ঈদগাও, রশিদনগর, টেকনাফ ও উখিয়ায়। দালাল ও মন প্রদেশের অন্যান্য সূত্রের ভিত্তিতে তাদের আত্মীয়স্বজনরা নিশ্চিত করেছেন যে, যে ট্রলার থেকে আটককৃতরা গত ২৫ মে মিয়ানমারের মন প্রদেশে বন্দী হয়, সেই ট্রলারেই ছিলেন তাদের স্বজনরা। এমন তথ্যের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হচ্ছে, জেলার টেকনাফ কুতুবদিয়া পাড়ার আবদুর রহিমের পুত্র নুরুল আবছারসহ একই গ্রামের আটজন ও সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ঘোনা পাড়ার নুরুল আবছার (২০), মোঃ ইউনুছ (১৮), রশিদনগরের নূরুল ইসলাম, বড় ধলিরছড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম, নূরুল আজিম, দেলওয়ার হোছেন, ধলিরছড়া জেটি রাস্তার আমির হোসেন (১৬), পশ্চিম বড় ধলির ছড়ার আবুল হোসেন (২৩), লামারপাড়ার কামাল উদ্দিন (২২), মোরাপাড়ার নুরু মিস্ত্রী। ১০৮ যুবক চাকরির আশায় দালালের হাত ধরে সাগরে পথে ১০ মে টেকনাফের সাবরাং থেকে ট্রলারযাগে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে।
No comments