আমানত শাহ্ লুঙ্গি অলিম্পিক আপডেট-চীন-যুক্তরাষ্ট্র লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার চমক by মাসুদ পারভেজ
খ্যাতির চূড়া থেকে কেউ পা হড়কান আবার অচেনা কেউ হয়তো এমন বাজিমাত করে দেন যে পাদদেশ থেকে সরাসরি শীর্ষে আরোহণ করে ফেলেন। চার বছর ঘুরে আসা একেকটি অলিম্পিক উত্থান-পতনের তেমন সব ছবিই উপহার দিয়ে যায়। স্ট্রাটফোর্ডের অলিম্পিক পার্কের অ্যাকুয়াটিকস সেন্টার গত পরশু সে রকমই এক দৃশ্যের মঞ্চায়ন দেখল।
যেখানে শ্রেষ্ঠত্বের মহামঞ্চে দাঁড়ানোর কথা এক বিশ্বচ্যাম্পিয়নের, সেখানে কিনা দাঁড়িয়ে গেল ১৫ বছরের এক কিশোরী।
যে কিশোরীর হাত ধরে সোনা দিয়েই পদক তালিকায় নাম উঠিয়ে ফেলল লিথুয়ানিয়া। মেয়েদের ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকের ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের রেবেকা সনিকে ফেভারিট বলে ধরে নেওয়ায় দোষের ছিল না। এ ইভেন্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তিনি। কাজেই সাঁতার শুরুর আগে তাঁর পক্ষে বাজি ধরার লোকের অভাব ছিল না। অথচ সাঁতার শেষে সবাই হতবাক। এক মিনিট ৫.৫৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন ইউরোপিয়ান রেকর্ড গড়ে যে ততক্ষণে নিজ দেশের পাশাপাশি ব্রিটেনকেও আনন্দে ভাসিয়ে ফেলেছে মেলিতাইত রুতা। একসঙ্গে দুটি দেশকে তরঙ্গায়িত করতে পেরেছে, কারণ তার এ সাফল্যের পেছনে লন্ডন থেকে শখানেক মাইল দূরের বিশেষায়িত সাঁতার স্কুল প্লাইমাউথের অবদানই যে সবচেয়ে বেশি।
উন্নত জীবনের সন্ধানে বাবা চলে এসেছিলেন ইংল্যান্ডে। নিজে একটু থিতু হয়ে প্লাইমাউথের সন্ধান পেতেই মেয়েকেও নিয়ে আসেন। ২০১০ সালে এসে প্লাইমাউথে ভর্তি হওয়া এ কিশোরী নিজেও যেন হঠাৎই তার জন্য আলোকিত হয়ে উঠে পৃথিবীর ভার সইতে পারছিল না। সোনার পদক নিতে পোডিয়ামে উঠে কান্নায় ভেঙে পড়া এ কিশোরী বলছিল, 'পোডিয়ামে উঠে আমার পা দুটি কাঁপছিল। কেবলই মনে হচ্ছিল আমি পড়ে যাব।' পদক জেতার লড়াইয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা হাসি-কান্না আর আনন্দ-বেদনার এমন মহাকাব্য যেমন লেখা হয়েই চলেছে, তেমনি বেইজিংয়ের মতো লন্ডনেও পদক তালিকায় চীন আধিপত্য বিস্তার করেই চলেছে। বেইজিংয়ে সবচেয়ে বেশি ৫১ সোনা জেতা চীন যে এবারও শীর্ষে থেকেই দেশে ফেরার পণ করে এসেছে, ৯ সোনা নিয়ে এখন পর্যন্ত তাদের শীর্ষে থাকাই সে সাক্ষ্য দিচ্ছে। ৬ সোনা নিয়ে তাদের ঠিক পরেই আছে যুক্তরাষ্ট্র। সাঁতারের সাফল্য দিয়ে অনেকখানি এগিয়ে যাওয়া ফ্রান্স ৪ সোনা নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে।
তবে পদক তালিকায় এর পরের নামটাই বেশি আলোচিত। কারণ দেশটির নাম যে উত্তর কোরিয়া। নানা কারণে বিতর্কিত এ দেশটিকে নিয়ে অলিম্পিক শুরুর আগেও বিতর্ক হয়েছিল। তবে তাতে তাদের দায় একদমই ছিল না। ফুটবল ম্যাচে তাদের বদলে দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা উঁড়িয়ে ফেলা নিয়ে এমনকি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকেও করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়েছে। এটা এমনই এক দেশ বহির্বিশ্বের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ খুব একটা নিরবচ্ছিন্ন নয়। সেই দেশই এবার তিন-তিনটি সোনা জিতে নিয়ে আছে পদক তালিকার ৪ নম্বরে। জুডোতে মেয়েদের ৫২ কেজি ওজন শ্রেণীতে সোনা এসেছে আন কুমের হাত ধরে। আর ছেলেরা ২টি সোনা এনে দিয়েছেন ভারোত্তোলোনে। ৫৬ কেজি ওজন শ্রেণীতে ওম ইয়ুন চো ও ৬২ কেজিতে কিন উন গুক। সোনা জিতলে এমন খটমটে কত নাম যে কষ্ট করে উচ্চারণ করতে হয়। অখ্যাত অনেকে চলে আসেন পাদপ্রদীপের আলোয়। উত্তর ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়ার ১৫ বছরের সেই কিশোরী রুতা যেমন!
যে কিশোরীর হাত ধরে সোনা দিয়েই পদক তালিকায় নাম উঠিয়ে ফেলল লিথুয়ানিয়া। মেয়েদের ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকের ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের রেবেকা সনিকে ফেভারিট বলে ধরে নেওয়ায় দোষের ছিল না। এ ইভেন্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তিনি। কাজেই সাঁতার শুরুর আগে তাঁর পক্ষে বাজি ধরার লোকের অভাব ছিল না। অথচ সাঁতার শেষে সবাই হতবাক। এক মিনিট ৫.৫৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন ইউরোপিয়ান রেকর্ড গড়ে যে ততক্ষণে নিজ দেশের পাশাপাশি ব্রিটেনকেও আনন্দে ভাসিয়ে ফেলেছে মেলিতাইত রুতা। একসঙ্গে দুটি দেশকে তরঙ্গায়িত করতে পেরেছে, কারণ তার এ সাফল্যের পেছনে লন্ডন থেকে শখানেক মাইল দূরের বিশেষায়িত সাঁতার স্কুল প্লাইমাউথের অবদানই যে সবচেয়ে বেশি।
উন্নত জীবনের সন্ধানে বাবা চলে এসেছিলেন ইংল্যান্ডে। নিজে একটু থিতু হয়ে প্লাইমাউথের সন্ধান পেতেই মেয়েকেও নিয়ে আসেন। ২০১০ সালে এসে প্লাইমাউথে ভর্তি হওয়া এ কিশোরী নিজেও যেন হঠাৎই তার জন্য আলোকিত হয়ে উঠে পৃথিবীর ভার সইতে পারছিল না। সোনার পদক নিতে পোডিয়ামে উঠে কান্নায় ভেঙে পড়া এ কিশোরী বলছিল, 'পোডিয়ামে উঠে আমার পা দুটি কাঁপছিল। কেবলই মনে হচ্ছিল আমি পড়ে যাব।' পদক জেতার লড়াইয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা হাসি-কান্না আর আনন্দ-বেদনার এমন মহাকাব্য যেমন লেখা হয়েই চলেছে, তেমনি বেইজিংয়ের মতো লন্ডনেও পদক তালিকায় চীন আধিপত্য বিস্তার করেই চলেছে। বেইজিংয়ে সবচেয়ে বেশি ৫১ সোনা জেতা চীন যে এবারও শীর্ষে থেকেই দেশে ফেরার পণ করে এসেছে, ৯ সোনা নিয়ে এখন পর্যন্ত তাদের শীর্ষে থাকাই সে সাক্ষ্য দিচ্ছে। ৬ সোনা নিয়ে তাদের ঠিক পরেই আছে যুক্তরাষ্ট্র। সাঁতারের সাফল্য দিয়ে অনেকখানি এগিয়ে যাওয়া ফ্রান্স ৪ সোনা নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে।
তবে পদক তালিকায় এর পরের নামটাই বেশি আলোচিত। কারণ দেশটির নাম যে উত্তর কোরিয়া। নানা কারণে বিতর্কিত এ দেশটিকে নিয়ে অলিম্পিক শুরুর আগেও বিতর্ক হয়েছিল। তবে তাতে তাদের দায় একদমই ছিল না। ফুটবল ম্যাচে তাদের বদলে দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা উঁড়িয়ে ফেলা নিয়ে এমনকি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকেও করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়েছে। এটা এমনই এক দেশ বহির্বিশ্বের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ খুব একটা নিরবচ্ছিন্ন নয়। সেই দেশই এবার তিন-তিনটি সোনা জিতে নিয়ে আছে পদক তালিকার ৪ নম্বরে। জুডোতে মেয়েদের ৫২ কেজি ওজন শ্রেণীতে সোনা এসেছে আন কুমের হাত ধরে। আর ছেলেরা ২টি সোনা এনে দিয়েছেন ভারোত্তোলোনে। ৫৬ কেজি ওজন শ্রেণীতে ওম ইয়ুন চো ও ৬২ কেজিতে কিন উন গুক। সোনা জিতলে এমন খটমটে কত নাম যে কষ্ট করে উচ্চারণ করতে হয়। অখ্যাত অনেকে চলে আসেন পাদপ্রদীপের আলোয়। উত্তর ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়ার ১৫ বছরের সেই কিশোরী রুতা যেমন!
No comments