বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ শুরু আজ
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ শুরু হচ্ছে আজ। মা ও শিশুর পুষ্টি উন্নয়নে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে এই সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সপ্তাহের তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেছেন, গুঁড়াদুধ শিশুদের জন্য মারাত্মক রোগ ও মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এ জন্য প্রতিটি বাবা-মাকে গুঁড়াদুধ প্রস্তুতকারকদের চটকদার বিজ্ঞাপন ও প্রচার থেকে সাবধান থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক কোড ও ১৯৮৪ সালের অধ্যাদেশের মূলনীতি ভঙ্গ করে গুঁড়াদুধ কোম্পানিগুলো শিশুদের যাতে ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। আন্তর্জাতিক কোড ও ৮৪ সালের অধ্যাদেশে গুঁড়াদুধের প্রচার চালানো নিষিদ্ধ রয়েছে। বাংলাদেশে বিকল্প শিশু খাদ্য আইন শক্তিশালী করে তা চূড়ান্ত করতে মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে। ১ আগস্ট থেকে ইউনিসেফের সহায়তায় বিকল্প শিশু খাদ্য আইন পর্যবেক্ষণ কর্মসূচী শুরু হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ প্রক্রিয়াজাত শিশুখাদ্যের পক্ষে না দাঁড়িয়ে এর প্রতিরোধে সক্রিয় হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রক্রিয়াজাত শিশুখাদ্যের নির্বিচার ব্যবহারে শিশুদের মারাত্মক ক্ষতির বিষয়টি প্রচার করতে হবে। ১৯৮৪ সালে কোডের অধ্যাদেশ প্রণীত হয়। ১৯৯০ সালে সংশোধন করা হয়। মাতৃদুগ্ধ পানের হার বেড়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ২০০৭ সালের তথ্য অনুযায়ী এক ঘণ্টার মধ্যে মাতৃদুগ্ধ দেয়া হয় ৪২ শতাংশ শিশুকে। ২০১২ সালে এর হার ৬৪ শতাংশ হয়েছে। ২০১১ সাল পর্যন্ত ৬শ’ হাসপাতালের মধ্যে ৪৯৯টি হাসপাতাল প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়নের মাধ্যমে শিশুবান্ধব হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়। এর মধ্যে কিছু হাসপাতাল আবার শক্তিশালী করা প্রয়োজন। এজন্য জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ও বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৬৩টি হাসপাতাল/উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে পুনরুজ্জীবিত করা হচ্ছে।
No comments