স্টার প্রোফাইল
খেলার মাঠে সুন্দরীদের দেখতে দর্শককুলের চিত্ত আনচান করে। তাই সুযোগ পেলেই গাঁটের পয়সা খরচ করে বার বার তাঁরা ছুটে যান মাঠে। প্রমীলা রূপসীরা খেলোয়াড় হিসেবে যে মাপেরই হোন না কেন, তাতে কিছুই আসে যায় না সৌন্দর্যের পূজারীদের।
তাঁরা শুধু চান অপলক চিত্তে বসে তাঁদের স্বপ্নদেবীদের নৈপুণ্য অবলোকনের পাশাপাশি আকণ্ঠ রূপসুধা পান করতে। একেই বুঝি বলে অন্ধভক্ত। এ ভক্তরা তাঁদের পছন্দের স্টারদের জন্য কত কি না করেন। মিছিল, অনশন, পিছু নেয়া, অটোগ্রাফ সংগ্রহ, প্রেমের প্রস্তাবÑ এমনকি পুলিশের হাতে গ্রেফতার... কিছুই বাকি থাকে না। এবারের চলমান লন্ডন অলিম্পিকে এমন একজন আছেন, যার জন্য মরতেও রাজি আছেন তাঁর ভক্ত-সমর্থক-অনুরাগীরা। ৩০ বছরের এ অনিন্দ্য সুন্দরী, আবেদনময়ী, আকর্ষণীয়ার নাম লেরিন ফ্রাঙ্কো। প্যারাগুয়ের জ্যাভলিন থ্রোয়ার। তাঁকে দেখলেই ভক্তদের হৃদয় উথালপাথাল করে ওঠে, পার হয় অনিদ্রার দীর্ঘ রজনী, বুকের ভেতরটা কেমন হাহাকার করে ওঠে! ২০০৪ ও ২০০৮-এর অলিম্পিকেও অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু কোন পদক জিততে পারেননি। নিজের ইভেন্টে হয়েছিলেন ৫১তম। কিন্তু জিতে নিয়েছিলেন অগুণিত দর্শকের অন্তর। সেটা তাঁর মোহনীয় রূপ-লাবণ্য এবং নয়নাভিরাম দেহবল্লরী দিয়ে। সে আসরের সবচেয়ে সুন্দরী এ্যাথলেট হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন সবার কাছে। তাঁরা সবাই আশা করেছিলেন চলমান লন্ডন অলিম্পিকেও দর্শক মাতাতে হাজির থাকবেন লেরিন। তাঁদের সে আশাকে জলে ভেসে যেতে দেননি প্যারাগুয়েন এ এ্যাথলেট। তিনি আছেন এবারও।
সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচের বান্ধবী খ্যাত ‘হটেস্ট ফিমেল অলিম্পিয়ান’ লেরিন শুধু তাঁর রূপের মাধুর্য দিয়েই এবার লন্ডন মাত করতে চান না গত বেজিং আসরের মতো। চান বহু অধরা অলিম্পিকের প্রথম পদকটি জিততেও। আগামী ৭ আগস্ট লেরিনের ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। পারবেন কি লেরিন তাঁর অভীষ্ট লক্ষ্যের পানে উপনীত হতে?
* একনজরে লেরিন ফ্রাঙ্কো
পুরোনাম : লেরিন দাহিয়ানা ফ্রাঙ্কো স্তেনেরি, পেশাদার জ্যাভলিন থ্রো ইভেন্টে প্রবেশ : ১৫ বছর বয়সে, ডাক নাম : স্তেনেরি, জন্মস্থান : আসুননিয়ন, দেশ : প্যারাগুয়ে, জন্মতারিখ : ১ মার্চ, ১৯৮২, উচ্চতা : ৬ ফুট ১ ইঞ্চি, ওজন : ৬৯ কেজি, বিশেষত্ব : ১৯৯৮ সালে বর্শা নিক্ষেপে জাতীয় রেকর্ড ভাঙ্গেন, সম্মননা : ‘মাক্সিম’ ম্যাগাজিনের জরিপে নির্বাচিত হন ‘সেক্সিয়েস্ট ওম্যান অব দ্য অলিম্পিক’, ‘ইয়াহু’র বিচারে ‘সেকেন্ড-মোস্ট সার্চড অলিম্পিয়ান’ এবং ২৩ আগস্ট, ২০১০ সালে ম্যাগাজিন ‘ব্যাচেলর’-এর বিচারে নির্বাচিত হন ‘নাম্বার ওয়ান হটেস্ট এ্যাথলেট অব অল টাইম, প্রিয় পানীয় : কমলার রস, ভাষা দক্ষতা : সার্ব ও স্প্যানিশ, অবকাশ কাটানোর প্রিয় স্থান : প্যারিস, প্রিয় সিনেমা : রোমাঞ্চকর জাতীয় চলচ্চিত্র, প্রিয় রং : নীল ও লাল, প্রিয় সঙ্গীত : পপ ও আর এ্যান্ড বি, প্রিয় খাবার : চাইনিজ, শখ : ফটোসেশন করা, আক্ষেপের স্মৃতি : দু’বার (২০০৪ ও ২০০৮) অলিম্পিকে অংশ নিয়েও কোন পদক না জেতা, স্পন্সর : নাইকি, ভবিষ্যত লক্ষ্য : ক্যারিয়ার শেষ করার আগে অলিম্পিকে স্বর্ণজয়।
সায়মা শারমিন
No comments