কতদূর যাবে জামায়াতের ভণ্ডামি? by আবদুল মান্নান

ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। বাঙালীর অহঙ্কারের মাস। ৩৮ বছর আগে এদিন বাংলার দামাল ছেলেরা দেশ মাতৃকাকে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর জামায়াতের গোলাম আযম, নিজামীর ঘাতক বাহিনী আলবদর, আলশামসের দখল হতে মুক্ত করতে চূড়ান্ত লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।


১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর রমনা রেসকোর্স ময়দানে মিত্র বাহিনীর হাতে তাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধের সমাপ্তি হয়েছিল। বিশ্বে খুব বেশি দেশে এ রকম একটা বিজয়ের মাস অথবা বিজয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্ত পালন করা হয় না। এই মাস নিয়ে বাঙালীর আহঙ্কার চিরন্তন হয়ে থাকবে।
ঈদে-পরবে বা বিভিন্ন পালাপার্বণে অনেক প্রবাসী দেশে আসেন তাঁদের আনন্দের মুহূর্তগুলো আত্মীয়-স্বজন আর বন্ধু-বান্ধবের সাথে ভাগ করে নিতে। ইদানীং পয়লা বৈশাখ আর একুশের বইমেলাও বাদ যায় না। সাথে যোগ হয়েছে ২৬ মার্চ আর ১৬ ডিসেম্বর। এটি বেশি সত্য মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের েেত্র। যে দেশের স্বাধীনতার জন্য তারা একদিন নিজের জীবনবাজি রেখেছিল, তারা দেখতে চায় কেমন আছে তাদের রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ তাদের পরবতর্ী প্রজন্মের হাতে। এমনি একজন আমার প্রবাসী বন্ধু মজিদ দীর্ঘদিন পর যুক্তরাষ্ট্র হতে এবারের বিজয় দিবসে দেশে এসেছিল সস্ত্রীক। আসার সময় পবিত্র হজব্রত পালন করে এসেছে। আসার অনেক আগে হতেই বন্ধু মজিদ আমাকে বলে রেখেছিল এবার সে দীর্ঘ দিন পর বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পরে শক্তির সরকারের আমলে বিজয় দিবস উদযাপনের অভিজ্ঞতাটা নিয়ে সে ফিরতে চায়। বন্ধু মজিদ ১৯৭১-এর অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা। চট্টগ্রামে একটা অপারেশন শেষে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে দীর্ঘ তেরো দিন সেনা ফিল্ড ইন্টারোগেশনের মুখোমুখি হয়ে চরম নির্যাতন ভোগ করে ভাগ্যজোরে বেঁচে গিয়েছিল। নিপ্তি হয়েছিল কারাগারে। মুক্তি পায় সতেরোই ডিসেম্বর। এবার বিজয় দিবসে সে তার পুরনো শহর চট্টগ্রামে কাটিয়েছে। ফিরে এসে বলেছে, নতুন প্রজন্মকে বিজয় দিবসের আনন্দের সাথে শরিক হতে দেখে বেশ ভাল লেগেছে। তবে এবারের যাত্রায় কয়েকটি বিষয় বন্ধুকে বেশ বিচলতি করেছে। ক'দিন আগে মজিদ তার কর্মত্রে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত গেছে মিশ্র অনুভূতি নিয়ে।
এবারের বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে একাত্তরের ঘাতক দল জামায়াতের নতুন ভূমিকা দেখে প্রবাসী বন্ধু মজিদের মতো দেশের কোটি কোটি মানুষকে যারা জামায়াতের ভণ্ডামিসর্বস্ব রাজনৈতিক দর্শনের সাথে পরিচিত সেই জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী সাজার নতুন ভণ্ডামি দেখে তাদের ুব্ধ করেছে। তাদের এই ভণ্ডামির আসল উদ্দেশ্য ছিল আবার নতুন করে বাঙালীর অহঙ্কার মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে তামাশা করা।
আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ জামায়াত নেতা। ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের (ছাত্র শিবিরের পূর্বসূরি) প্রধান ছিলেন। তার নেতৃত্বে ১৯৭১-এর বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে জামায়াতের ঘাতক বাহিনী আলবদর বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি অথবা কর্মস্থল থেকে তুলে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। এই ঘাতক বেগম জিয়ার আমলে সমাজকল্যাণমন্ত্রী হয়েছিলেন। সেই মুজাহিদ বিজয় দিবস উপল ে১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বলেছেন "আমরা স্বাধীনতা এনেছি। প্রয়োজন হলে রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা রা করব। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে আমরা হুমকির মুখে ঠেলে দেব না"। এই মুজাহিদ ১৯৭১ সালে তার ভাষায় 'কুলাঙ্গার' (মুক্তিবাহিনী) খতম করে এছলামী ছাত্রসংঘ ও আলবদর বাহিনীর কাফেলা নিয়ে দিল্লী দখল করতে চেয়েছিলেন। (দৈনিক আজাদ, ৮ নবেম্বর ১৯৭১)। বন্ধুর প্রশ্ন_ মুজাহিদের মতো যুদ্ধাপরাধীরা যদি বাংলাদেশ স্বাধীন করে তাহলে আমরা কী ঘোড়ার ঘাস কেটেছিলাম? একই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। একাত্তরের আর একজন ঘাতক। বেগম জিয়া তাকে শিল্পমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। ১৯৭১-এ তিনি নিখিল পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন। তার তত্ত্বাবধানেই জামায়াতের জল্লাদ বাহিনী আলবদর সৃষ্টি করা হয়। তিনি ছিলেন তার প্রধান সেনাপতি। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন 'বাংলাদেশের স্বাধীনতার রাকবচ ১৯৪৭ সালের চেতনা, যা স্বাধীনতার ভিত্তি রচনা করেছে। আমাদের স্বাধীনতাকে মজবুত করতে হলে আমাদের মুসলিম পরিচয়কে আরও বেশি করে তুলে ধরতে হবে। জামায়াত, মুসলিম লীগ এবং বিএনপির কোন কোন নেতা এখনও মনে করেন ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশ হতো না। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সাথে মিলিয়ে 'হিন্দু ভারতের' দুই প্রান্তে দুটি মুসলিম রাষ্ট্র হিসাবে দেখতে এবং দেখাতে আগ্রহী। এমন চিন্তা এখনও পাকিস্তানের অনেক রাজনীতিবিদ, বিশ্লেষক, বুদ্ধিজীবী করে থাকেন। (ড. শিরিন মাজহারি, দি নেশন, ড্ডওটবণ ঋভণবধণ্র, ্রটবণ ঠফলভঢণর্র?' ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯)। তথাকথিত ইসলামী রাষ্ট্র পাকিস্তান এখন পতনোন্মুখ। জামায়াত এখনও তাদের প্রভু পাকিস্তানের মতো মনে করে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি গৃহযুদ্ধ, যাতে শুধু হিন্দুরা অংশগ্রহণ করেছিল এবং আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এ সময় কলকাতায় নারী ও সুরা নিয়ে মশগুল ছিল। এহেন জামায়াতের ফেরেববাজি দেখে বন্ধু মজিদের মতো এ দেশের কোটি কোটি মানুষ ুব্ধ হয়েছে।
ইদানীং জামায়াত আবার বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে ান্ত হয় না। ভণ্ডামির নির্লজ্জ প্রদর্শনী নিয়ে তারা আবার মাঠেও নামছে। নিজামী-মুজাহিদদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জন্ম দিয়েছে 'জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ।' এরা এবার বিজয় দিবসে বগুড়ার দুপচাঁপিয়া উপজেলায় 'মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা' দেয়ার কর্মসূচী নিয়েছিল। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিলে সে কর্মসূচী তারা বাতিল করে। বন্ধু মজিদকে বলেছি অনেক হতাশার মাঝেও মুক্তিযোদ্ধাদের এহেন অবস্থান দীর্ঘ ৩৮ বছর পর হলেও আমাদের গর্বিত করে। এই ঘটনা আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে তা বগুড়ায় ঘটেছে, যা জামায়াতের দ্বিতীয় জন্মদাতা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়ার পিতৃভূমি এবং এখনও তার পরিবারের বিচরণত্রে।
বন্ধু দেশত্যাগের পূর্ব মুহূর্তেই আবার চরম ুব্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটল বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের শেষ সময় এসে ২৬ তারিখে। জামায়াতের 'জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ' আয়োজন করেছিল পাঁচ 'মুক্তিযোদ্ধার' সংবর্ধনা। যাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল তাঁরা হলেন মেজর এমএ জলিল (মরণোত্তর), কবি আল মাহমুদ, লে. কমান্ডার (অব.) আফাজউদ্দিন আহম্মদ, অনারারি ক্যাপ্টেন (অব.) মোঃ সালাউদ্দিন ও ডা. বেগম রওশন আরা। প্রত্যেককে দেয়া হয়েছে একটি করে ক্রেস্ট ও নগদ ৫০ হাজার টাকা। প্রধান অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও একাত্তরের ঘাতক শিরোমণি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত আসেননি। মেজর জলিলের পওে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। পাঁচ জনের মধ্যে মেজর জলিল ও কবি আল মাহমুদ সকলের কাছে সুপরিচিত। বাকিদের সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না।
মেজর জলিল ১৯৭১-এর রণাঙ্গনে নয় নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। এই সেক্টরটি ছিল একমাত্র সেক্টর যা অনিয়মিত বাহিনী নিয়ে গঠিত হয়েছিল। একাত্তরের অকুতভয় মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধপরবতর্ী বাংলাদেশে তার কর্মকাণ্ডের কারণে নানা বিতর্কের জন্ম দেন।
তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিরোধী দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসে। ১৯৭৩-এর সংসদ নির্বাচনে মেজর জলিল সাতটি আসনে প্রতিদ্বন্দি্বতা করে সবটিতেই পরাজিত হন। ১৯৭৪-এর ১৭ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) মনসুর আলীর বাড়ি ঘেরাও করতে গেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৭৫ সালের ৮ নবেম্বর পর্যন্ত তিনি কারারুদ্ধ ছিলেন। ১৯৮৪ সালে তাকে জাসদের সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হলে তিনি তার ভাষায় ইসলামী আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য জাতীয় মুক্তি আন্দোলন নামে একটি দল গঠন করেন। তবে কাকতালীয়ভাবে তিনি পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ১৯ নবেম্বর ১৯৮৯ সালে মৃতু্যবরণ করেন (বাংলাপিডিয়া)।
কবি আল মাহমুদ এ দেশের একজন প্রথিতযশা কবি। লোক লোকান্তর, কালের কলম, সোনালী কাবিন প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ তাঁকে অমরত্ব এনে দিয়েছে। কবি আল মাহমুদের শক্ত কোন রাজনৈতিক অবস্থান না থাকলেও তাকে মনে করা হয় রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে মধ্য-ডানপন্থী (ৗধথর্দ মতর্ দণ ডটর্ভরণ)। তিনি শুধু যে সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন তাই নয়, তিনি আরও বলেছেন তাঁর এই পুরস্কার নেয়া ন্যায়সঙ্গত। তিনি আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, 'এ সংবর্ধনা ইতিহাসের অনিবার্য'।
কবি আল মাহমুদের কবি হিসাবে যশ ও খ্যাতি নিয়ে কথা বলার কোন যোগ্যতাই আমার নেই। তবে নিজেকে প্রশ্ন করি তিনি কেমন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন যে একেবারে একাত্তরের ঘাতকদের দল থেকে পুরস্কার নিতে হবে? এই প্রসঙ্গে ইন্টারনেটে আরিফ জেবতিক নামে একজন কবির আত্মজীবনী 'বিচূর্ণ আয়নায় কবির মুখ' থেকে কিছু উদ্ধৃতি দিয়েছেন। বইটির প্রকাশক একুশে বাংলা। আরিফ উদ্ধৃতি দিতে গিয়ে লিখেছেন, কবির ভাষায় "আমার ভগি্নপতি পার্বত্য চট্টগ্রামের ডিসি হোসেন তৌফিক ইমাম সেখান থেকে সপরিবারে আগরতলায় পেঁৗছেছেন। ... জেনে আমি স্বস্তি পেয়েছিলাম। এ পরিস্থিতিতে নারায়ণপুরে আমি নিরাপদে ছিলাম না। মনে মনে দেশত্যাগ করে চলে যাওয়ার একটা আকাঙ্াও জেগে উঠেছিল।" এক সময় কবি কলকাতায় গেলেন। সেখানে তিনি তৌফিক ইমামের বাসায় আশ্রয় নেন। কবি লিখেছেন 'এখানে এসে উডস্ট্রিট থেকে আমি একদম বেরুতাম না। কারণ অতি কৈশোরে আমার খানিকটা জানা থাকলেও ওই সময়ে তা আগের মতো থাকার কথা নয়। আমি ভয় পেতাম ঠিক মতো বাসায় এসে পেঁৗছতে পারব না।' তিনি কলকাতায় অবস্থান কালে তাঁর বন্ধু কবি-সাহিত্যিকদের সাথে সময় কাটিয়েছেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সম্পর্কে তিনি লিখেছেন 'এ সময় আমি মাঝে মধ্যে বালুহাককাক লেনের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অফিসে হাজিরা দিতে যেতাম। কিন্তু রেডিওতে অংশগ্রহণ করিনি। কারণ আমার পরিবার-পরিজন তখনও বাংলাদেশে অনিশ্চিত অবস্থায় কাটাচ্ছিল এবং পরিবার-পরিজনের কোন খবরই আমার জানা ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কলকাতায় তার জীবন-যাপন সম্পর্কে নিজের দেয়া বেশ কিছু স্বীকারোক্তি আছে যা লিখলাম না। তবে এক জায়গায় তিনি লিখেছেন 'এর মধ্যে একদিন হঠাৎ একটি পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে একটি প্রবন্ধ ছাপা হলো। তাঁরা লিখেছেন, আমি নাকি ভিআইপিদের মতো পোশাক পরে কফি হাউসে ঘুরে বেড়াই। মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে কবি আল মাহমুদের মূল্যায়ন হিসাবে এই সব উদ্ধৃতি নয়, মূল্যায়নের দায়িত্ব পাঠকের। উদ্ধৃতি মুক্তিযুদ্ধের বৃহত্তর প্রোপটে তার অবস্থান বর্ণনা করা।
কেউ কেউ ুব্ধ হয়ে বলেছেন, জামায়াতের হাত থেকে পুরস্কারের নামে অর্থ গ্রহণ অনেকটা দারিদ্র্যের কারণে হয়েছে। তবে সকলে অবাক হয়েছেন কবি আল মাহমুদের অবস্থান দেখে। বন্ধু মজিদ কবি আল মাহমুদের একজন একনিষ্ঠ ভক্ত। যুক্তরাষ্ট্রে তার বইয়ের শেলফে এ দেশের অনেক কবির কবিতাগ্রন্থের সাথে কবি আল মাহমুদের বই সাজানো দেখেছি। আবৃত্তি করে চমৎকার। বলেছে, তার জন্য এখানেই সম্ভবত আল মাহমুদের সমাপ্তি। তাকে অভয় দিয়ে বলি, সত্তরোর্ধ যার বয়স আর সময়টা যখন শীতকাল তখন এ ধরনের প্রলাপকে (পুরস্কার নেয়ার সময় দেয়া) মেনে নেয়া ছাড়া আর কী করা যাবে? বন্ধু বলল, এবারের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর তার জন্য ভালভাবেই শুরু হয়েছিল। শেষটা খারাপ হওয়াতে মনোকষ্ট নিয়ে ফিরে যাচ্ছে। প্রশ্ন রেখে গেল_ আল মাহমুদরা যদি এ রকম আত্মঘাতী আচরণ করেন তাহলে বর্তমান প্রজন্ম কার দিকে তাকাবে? চিন্তা করছি কতদূর যাবে জামায়াতের ভণ্ডামি!
লেখক : শিাবিদ

No comments

Powered by Blogger.