মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, আজও শৈত্যপ্রবাহ
দেশে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে আজ রবিবারও। শীতজনিত রোগে আক্রানত্ম এবং মৃতু্যর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত রোগে আক্রানত্ম হয়ে নতুন করে আরও সাতজনের মৃতু্য হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে তিন, ঠাকুরগাঁওয়ে তিন এবং বাগেরহাটে একজনের মৃতু্য ঘটেছে।
তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে। শুক্রবারের তুলনায় শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেড়েছে। কনকনে শীতে মানুষের চরম দুর্ভোগ অব্যাহত রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ রবিবার যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসহ রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে বিরাজমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এবং এটা ঢাকা ও শ্রীমঙ্গল অঞ্চলে বিসত্মারলাভ করতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যনত্ম সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। শনিবার দেশের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ সিলেটে ২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। শনিবার চট্টগ্রাম ছাড়া দেশের বাকি পাঁচটি বিভাগেই শুক্রবারের তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছে। শুক্রবারের তুলনায় শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঢাকা বিভাগে ১ দশমিক ৫, রাজশাহীতে শূন্য দশমিক ৬, খুলনায় শূন্য দশমিক ৫, বরিশালে শূন্য দশমিক ৬ ও সিলেট বিভাগে শূন্য দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেড়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম থেকে জানান, কুড়িগ্রাম ও তার আশপাশের এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুর ১২টা পর্যনত্ম ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারদিক। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় শীতজনিত রোগে আক্রানত্ম হয়ে আরও ৩ জনের মৃতু্য ঘটেছে। সদর উপজেলা ফারাজীপাড়া গ্রামের আজগার মুন্সী (৯০), মিয়াপাড়ার হাবিবুর (৬৫) ও হোসেনখাঁপাড়ার বেবি (এক মাস) মারা গেছে। কনকনে শীতে জেলার প্রায় আড়াই লাখ পরিবার গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। সরকারীভাবে এ পর্যনত্ম ৪ হাজার কম্বল, ৫শ' সোয়েটার, ২শ'টি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে; যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
নিজস্ব সংবাদদাতা ঠাকুরগাঁও থেকে জানান, শীতজনিত রোগে আক্রানত্ম এবং মৃতু্যর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জেলায় গত দু'দিনে প্রচ- শীতে আরও ৩ জনের মৃতু্য হয়েছে। এ নিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। গত দু'দিনে মারা যায় সদর উপজেলার রহিমানপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার (৭০), মধুরাপুর গ্রামের আব্দুল খালেক (৬০) ও হাজীপাড়ার হাসিনা বেগম (৮০)। কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যসত্ম হয়ে পড়েছে। এখন পর্যনত্ম উলেস্নখযোগ্য সরকারী শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়নি।
স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, প্রচ- শীতে মুন্সীগঞ্জের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ছিন্নমূল ও দিনমজুর মানুষের কষ্ট চরমে উঠেছে। শীতজনিত রোগে আক্রানত্মের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। নদীভাঙ্গা মানুষের দুর্ভোগ যেন আরও বেশি। এদিকে শনিবার টঙ্গিবাড়ির বালিগাঁও ও লৌহজংয়ের মৌছা আমেনা হাকিম মাদ্রাসায় শীতবস্ত্র বিতরণ করেন হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, এমপি।
নিজস্ব সংবাদদাতা নেত্রকোনা থেকে জানান, প্রচ- শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় নেত্রকোনার জনজীবন বিপর্যসত্ম হয়ে পড়েছে। শীতে সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রানত্ম হচ্ছে মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে ছিন্নমূল মানুষ। শীতের পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় জেলার বিভিন্ন সড়কপথে যানবাহন চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা বাগেরহাট থেকে জানান, বাগেরহাটে রাজের বসু নামে আরও এক বৃদ্ধ শনিবার সকালে প্রচ- শীতে মারা গেছে। জেলার চিতলমারীর শিবপুর গ্রামের হরিদাসের ছেলে দু'সনত্মানের জনক হতদরিদ্র রাজের বসু। শনিবার সকালে পাশর্্ববর্তী খড়মখারীতে মাছ ধরতে গিয়ে প্রচ- শীতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে গত চবি্বশ ঘণ্টায় শীতের কবলে জেলায় ৩ ব্যক্তির মৃতু্য হলো। গত বৃহস্পতিবার বোরোক্ষেতে কাজ করা অবস্থায় প্রচ- শীতে চিতলমারীতে কৃষক আকতার শেখ (৫২) এবং কচুয়ায় ইমান উদ্দিন (৮০) নামে দু'জনের মৃতু্য ঘটে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ রবিবার যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসহ রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে বিরাজমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এবং এটা ঢাকা ও শ্রীমঙ্গল অঞ্চলে বিসত্মারলাভ করতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যনত্ম সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। শনিবার দেশের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ সিলেটে ২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। শনিবার চট্টগ্রাম ছাড়া দেশের বাকি পাঁচটি বিভাগেই শুক্রবারের তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছে। শুক্রবারের তুলনায় শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঢাকা বিভাগে ১ দশমিক ৫, রাজশাহীতে শূন্য দশমিক ৬, খুলনায় শূন্য দশমিক ৫, বরিশালে শূন্য দশমিক ৬ ও সিলেট বিভাগে শূন্য দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেড়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম থেকে জানান, কুড়িগ্রাম ও তার আশপাশের এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুর ১২টা পর্যনত্ম ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারদিক। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় শীতজনিত রোগে আক্রানত্ম হয়ে আরও ৩ জনের মৃতু্য ঘটেছে। সদর উপজেলা ফারাজীপাড়া গ্রামের আজগার মুন্সী (৯০), মিয়াপাড়ার হাবিবুর (৬৫) ও হোসেনখাঁপাড়ার বেবি (এক মাস) মারা গেছে। কনকনে শীতে জেলার প্রায় আড়াই লাখ পরিবার গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। সরকারীভাবে এ পর্যনত্ম ৪ হাজার কম্বল, ৫শ' সোয়েটার, ২শ'টি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে; যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
নিজস্ব সংবাদদাতা ঠাকুরগাঁও থেকে জানান, শীতজনিত রোগে আক্রানত্ম এবং মৃতু্যর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জেলায় গত দু'দিনে প্রচ- শীতে আরও ৩ জনের মৃতু্য হয়েছে। এ নিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। গত দু'দিনে মারা যায় সদর উপজেলার রহিমানপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার (৭০), মধুরাপুর গ্রামের আব্দুল খালেক (৬০) ও হাজীপাড়ার হাসিনা বেগম (৮০)। কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যসত্ম হয়ে পড়েছে। এখন পর্যনত্ম উলেস্নখযোগ্য সরকারী শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়নি।
স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, প্রচ- শীতে মুন্সীগঞ্জের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ছিন্নমূল ও দিনমজুর মানুষের কষ্ট চরমে উঠেছে। শীতজনিত রোগে আক্রানত্মের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। নদীভাঙ্গা মানুষের দুর্ভোগ যেন আরও বেশি। এদিকে শনিবার টঙ্গিবাড়ির বালিগাঁও ও লৌহজংয়ের মৌছা আমেনা হাকিম মাদ্রাসায় শীতবস্ত্র বিতরণ করেন হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, এমপি।
নিজস্ব সংবাদদাতা নেত্রকোনা থেকে জানান, প্রচ- শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় নেত্রকোনার জনজীবন বিপর্যসত্ম হয়ে পড়েছে। শীতে সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রানত্ম হচ্ছে মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে ছিন্নমূল মানুষ। শীতের পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় জেলার বিভিন্ন সড়কপথে যানবাহন চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা বাগেরহাট থেকে জানান, বাগেরহাটে রাজের বসু নামে আরও এক বৃদ্ধ শনিবার সকালে প্রচ- শীতে মারা গেছে। জেলার চিতলমারীর শিবপুর গ্রামের হরিদাসের ছেলে দু'সনত্মানের জনক হতদরিদ্র রাজের বসু। শনিবার সকালে পাশর্্ববর্তী খড়মখারীতে মাছ ধরতে গিয়ে প্রচ- শীতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে গত চবি্বশ ঘণ্টায় শীতের কবলে জেলায় ৩ ব্যক্তির মৃতু্য হলো। গত বৃহস্পতিবার বোরোক্ষেতে কাজ করা অবস্থায় প্রচ- শীতে চিতলমারীতে কৃষক আকতার শেখ (৫২) এবং কচুয়ায় ইমান উদ্দিন (৮০) নামে দু'জনের মৃতু্য ঘটে।
No comments