তেল ও দুধের কারবার-রুখতে হবে দুষ্টচক্রকে
নিত্যপণ্য ও শিশুখাদ্য নিয়ে দেশের বাজারে একটি দুষ্টচক্র যে কাজ করছে, সেটা এখন নতুন করে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই চক্র কোনোভাবেই ভাঙা সম্ভব হয়নি। উল্টো এই চক্রে পড়ে পকেটের টাকা গুনতে হয়েছে ভোক্তাদের। দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের মধ্যে তেলের দাম নিয়ে নানা কারসাজি হয়েছে।
সেই কারসাজি ধরা পড়ার পর মিল কর্তৃপক্ষের কেউ কেউ ক্ষমা চাইলেও অনেকে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বাজার তদারকির এই খবর প্রকাশিত হয়েছে কালের কণ্ঠে।
ভোজ্য তেলের দাম নিয়ে তেলেসমাতি কারবার নতুন নয়। এবার যেমন কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে মিলমালিকরা নিজেদের যুক্তি দেখিয়েছেন, তেমনি অতীতেও নানা যুক্তিতে বাড়ানো হয়েছে ভোজ্য তেলের দাম। একটি সাধারণ যুক্তি হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়া। কিন্তু সেই যুক্তিও এবার ধোপে টিকছে না। মিলমালিকরা নিজেদের মতো করে ভোজ্য তেলের দাম বাড়িয়েছেন। বরাবারের মতো এবারও রোজার আগ থেকেই তেলের বাজার অস্থিতিশীল করে রাখা হয়েছে। অস্থিতিশীল বাজারে মিলমালিকরাই মুনাফার সিংহভাগ তুলে নিয়েছেন।
তেলের মতোই শিশুখাদ্য নিয়েও চলছে অবাধ কারবার। শিশুখাদ্যের নামে বিক্রি হচ্ছে গুঁড়ো দুধ। যেখানে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প খাদ্য বিপণন অধ্যাদেশ ১৯৮৪ অনুসারে দেশে শিশুদের জন্য মায়ের দুধের বিকল্প কোনো খাদ্য বা গুঁড়ো দুধ প্রদর্শন, প্রচারণা, বিজ্ঞাপন প্রচার এবং প্রভাবিত করা বেআইনি, সেখানে বড় বড় হাসপাতালের সামনের যেকোনো ফার্মেসি ও বড় বড় শপিং মলে থরে থরে সাজানো থাকে বেবি ফুড। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিজস্ব ফার্মেসিতেও এসব শিশুখাদ্য বিক্রি হতে দেখা যায়। এসব শিশুখাদ্য চালানো হচ্ছে মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে। প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করে গুঁড়ো দুধের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা চালানোর জন্য নানাভাবে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। শিশুদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর সামনে তো বটেই, বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে এসব প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধিদের উপস্থিতিই প্রমাণ করে কতভাবে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করার জন্য চেষ্টা করা হয়। এ ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের আনুকূল্যে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন অজুহাতে সভা-সেমিনার করা হয় বলেও অভিযোগ আছে। অনেক প্রতিষ্ঠান চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট অনেককে বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে বলেও অভিযোগ শোনা যায়।
ব্যবসায়ে এখন মুনাফাই প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। ফলে নীতি ও নৈতিকতার অভাব দেখা দিয়েছে। সেই সুযোগে একটি দুষ্টচক্র গড়ে উঠছে। এই চক্রের চক্রান্ত ভাঙতে ও রুখতে হবে। ভোক্তাদের সম্মিলিত প্রতিরোধ ছাড়া বাজার থেকে অসাধু চক্রকে দূর করা যাবে না।
ভোজ্য তেলের দাম নিয়ে তেলেসমাতি কারবার নতুন নয়। এবার যেমন কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে মিলমালিকরা নিজেদের যুক্তি দেখিয়েছেন, তেমনি অতীতেও নানা যুক্তিতে বাড়ানো হয়েছে ভোজ্য তেলের দাম। একটি সাধারণ যুক্তি হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়া। কিন্তু সেই যুক্তিও এবার ধোপে টিকছে না। মিলমালিকরা নিজেদের মতো করে ভোজ্য তেলের দাম বাড়িয়েছেন। বরাবারের মতো এবারও রোজার আগ থেকেই তেলের বাজার অস্থিতিশীল করে রাখা হয়েছে। অস্থিতিশীল বাজারে মিলমালিকরাই মুনাফার সিংহভাগ তুলে নিয়েছেন।
তেলের মতোই শিশুখাদ্য নিয়েও চলছে অবাধ কারবার। শিশুখাদ্যের নামে বিক্রি হচ্ছে গুঁড়ো দুধ। যেখানে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প খাদ্য বিপণন অধ্যাদেশ ১৯৮৪ অনুসারে দেশে শিশুদের জন্য মায়ের দুধের বিকল্প কোনো খাদ্য বা গুঁড়ো দুধ প্রদর্শন, প্রচারণা, বিজ্ঞাপন প্রচার এবং প্রভাবিত করা বেআইনি, সেখানে বড় বড় হাসপাতালের সামনের যেকোনো ফার্মেসি ও বড় বড় শপিং মলে থরে থরে সাজানো থাকে বেবি ফুড। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিজস্ব ফার্মেসিতেও এসব শিশুখাদ্য বিক্রি হতে দেখা যায়। এসব শিশুখাদ্য চালানো হচ্ছে মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে। প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করে গুঁড়ো দুধের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা চালানোর জন্য নানাভাবে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। শিশুদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর সামনে তো বটেই, বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে এসব প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধিদের উপস্থিতিই প্রমাণ করে কতভাবে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করার জন্য চেষ্টা করা হয়। এ ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের আনুকূল্যে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন অজুহাতে সভা-সেমিনার করা হয় বলেও অভিযোগ আছে। অনেক প্রতিষ্ঠান চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট অনেককে বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে বলেও অভিযোগ শোনা যায়।
ব্যবসায়ে এখন মুনাফাই প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। ফলে নীতি ও নৈতিকতার অভাব দেখা দিয়েছে। সেই সুযোগে একটি দুষ্টচক্র গড়ে উঠছে। এই চক্রের চক্রান্ত ভাঙতে ও রুখতে হবে। ভোক্তাদের সম্মিলিত প্রতিরোধ ছাড়া বাজার থেকে অসাধু চক্রকে দূর করা যাবে না।
No comments