রক্ত ঝরা বিদায় by মোঃ এনামুল হাসান
ভাগ্যের কি নির্মম লিখন পনেরোটি বছর উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে স্টাম্পের বেল ছিটকে ফেলে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানের বিদায় ঘণ্টা বাজালেন, আর সেই বেলই তাকে বিদায় করে দিল ক্রিকেট মাঠের সবুজ জমিন থেকে! শেষ করে দিল ক্যারিয়ার।
ছোট্ট কাঠের বস্তুটার কাছে হার মানতে হলো প্রোটিয়া ইতিহাসের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে। ঘটনা ৯ জুলাইয়ের। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সঙ্গে ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি ম্যাচে সমারসেটের বিরুদ্ধে উইকেটের পেছনে ছিলেন বাউচার। বল করছিলেন সতীর্থ পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত স্পিনার ইমরান তাহির। ইমরানের বলে ব্যাটসম্যান বোল্ড হয়ে গেলে আচমকাই একটি বেল ছিটকে এসে আঘাত করে বাউচারের বাঁ চোখে। যন্ত্রণায় মাঠেই অচেতন হয়ে পড়েন ৩৫ বছর বয়সী কেপ প্রোভেন্সিয়ান হিরো। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে জানা যায় চোখ পুরোপুরিই নষ্ট হয়ে যেতে পারে বাউচারের। ভবিষ্যত পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে পরদিনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন আফ্রিকার কিংবদন্তি উইকেটকিপার। ট্র্যাজিক দুর্ঘটনায় প্রোটিয়া ক্রিকেটের চলমান এক কিংবদন্তির চরিত্র মুছে যায় উইলো-গোলকের ময়দান থেকে।
আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ক্যারিয়ারের বাকিটা বুঝতে পেরেছিলেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক। আর ৩৫ বছর বয়সী বাউচার ঘোরতর সন্দেহে ছিলেন ওই ইনজুরি কাটিয়ে ওঠা নিয়ে। সেই আশঙ্কা আর ভয় থেকেই ক্যারিয়ারে ইতি টানেন বিশ্বরেকর্ডসংখ্যক ডিসমিসাল অর্জনকারী অভিজ্ঞ এই তারকা উইকেটরক্ষক। ১৪৭ টেস্টে ৫৫৫টি আর ২৯৫ ওয়ানডেতে ৪২৪টি ডিসমিসাল তাঁর। উইকেটের পেছনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত হয়ে ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার নজির আরও রয়েছে। বাউচারের আগে ভারতের উইকেটরক্ষক সাবা করিম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলার সময় চোখে আঘাত পান। পরে ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছিলেন তিনিও। আঘাতে রক্তক্ষরণ শুরু হলে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন বাউচার। অক্ষিগোলক মেরামতে জরুরী ভিত্তিতে শল্যবিদের ছুরির নিচে নেয়া হয় তাঁকে। দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যানেজার মোহাম্মদ মুসাজি তাৎক্ষণিক অবস্থা জানিয়ে তখন বলেন, ‘চোখের আঘাতকে গুরুতর হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। বাউচারের চোখের মণি মেরামত করা হয়েছে। নিশ্চিতভাবেই সহসা মাঠে ফেরার সম্ভাবনা নেই তাঁর।’ আর তখনই বাউচার এক বিবৃতি পাঠিয়ে দেন দলের কাছে। সেটা পড়ে শোনান অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ, ‘অতি দুঃখ আর যন্ত্রণাকাতর মনে জানাচ্ছি যে, আমি অবসরের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। আমার চোখের ইনজুরি এতটাই ভয়াবহ যে আমি আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারব না। এবার ইংল্যান্ড সফরের জন্য যতখানি ভাল প্রস্তুতি নিয়েছিলাম ক্যারিয়ারে আর কোন সফরের জন্যই তা করিনি। কখনই ভাবতে পারিনি এত আগেই ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে হবে। আমি দলের সতীর্থ এবং আমাকে সমর্থন দেয়া দর্শকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি পুরো ক্যারিয়ারে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য।’ বিবৃতি পড়ে শোনানোর পর দলের পক্ষ থেকে স্মিথ বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে অনেক দিন খেলেছি। অনেক ভাল সময় কেটেছে। কিন্তু এমন মর্মদায়ক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আমরা সবাই যন্ত্রণায় কাতর। ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে আপনি প্রোটিয়া শিবিরের অন্যতম মহান সৈনিক ছিলেন। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থেকে সব সময় লড়াকু মানসিকতা দেখিয়েছেন। আপনি ছিলেন বিতর্কহীন এক ব্যক্তি যিনি কথার চেয়ে কাজটাই বেশি করে সবকিছু উজাড় করে দিয়েছেন। আমরা এ ইনজুরি থেকে আপনার দ্রুত সম্পূর্ণ আরোগ্য কামনা করছি।’ এমনিতে চলতি ইংল্যান্ড সফরকেই বাউচারের শেষ সফর বলে বিবেচিত হয়েছিল। লর্ডসে তৃতীয় টেস্টে নামলে ১৫০তম ম্যাচটি খেলা হয়ে যেত তাঁর। স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেই ক্রিকেট ছাড়তে হলো মার্ক বাউচারকে। উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ১০০০টি শিকারের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। স্টাম্পিং এবং ক্যাচ মিলিয়ে ইতোমধ্যে ৯৮০টি শিকারের অংশীদার তিনি। আর মাত্র ২০টি উইকেট পতনে অংশীদার হতে পারলেই স্বপ্ন পূরণ হতো। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। দেশের হয়ে ১৫০তম টেস্ট ম্যাচ খেলারও দ্বারপ্রান্তে ছিলেন। বিধাতার নিষ্ঠুর খেয়ালে পঁয়ত্রিশ বছর বয়সী বাউচারের পনেরো বছরের ক্যারিয়ার শেষ করে দিল উইকেটের একটি বেল। আহত হয়ে হাতের গ্লাভসটাকে চিরতরে খুলে ফেলতে বাধ্য হলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফরে মূল লক্ষ্য, টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর স্থান দখল। বাউচার এ অভিযানের অংশ হওয়ার অদম্য আকাক্সক্ষাও ব্যক্ত করেছিলেন। ইনজুরির পর তাঁর চোখে টানা তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু মাঠে নামা আর হলো না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্বপ্নের কাছাকাছি এসে হঠাৎই ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটল। ক্রিকেটাঙ্গন থেকে অবসরের ঘোষণা জানিয়ে দেয়া বিবৃতিতে বাউচার বলেছেন, এই মুহূর্তে অবসরের কোন চিন্তাই ছিল না আমার। চোখে ব্যান্ডেজ নিয়ে দেশে ফেরার বিমানে ওঠার আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে দলের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি। যেখানে বাউচার বলেছেন, ‘অনিশ্চিত সুস্থতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার আগে সব ধরনের শুভকামনা রইল দলের প্রতি।’ মাত্র ২০ বছর বয়সে প্রোটিয়া দলে অভিষেক হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৪৭টি টেস্ট এবং ২৯৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে গ্লাভস হাতে দায়িত্ব পালন করেছেন বাউচার। কোনভাবেই প্রতিপক্ষের কাছে মাথা নোয়ানোর স্বভাব তাঁর ধাতে ছিল না। টেস্টে এ পর্যন্ত উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে তাঁর শিকার সংখ্যা ৫৫৫টি। গ্লাভস হাতে অস্ট্রেলিয়ার এ্যাডাম গিলক্রিস্টের চেয়েও ১০০টি বেশি সাফল্য তাঁর। বাউচারের দক্ষতা প্রমাণের জন্য এর চেয়ে বেশি তথ্যের প্রয়োজন পড়ে না। ওয়ানডেতে অবশ্য গিলক্রিস্টই আছেন সবার উপরে। পরের স্থানটিই বাউচারের। মনেপ্রাণে খাঁটি দক্ষিণ আফ্রিকান বাউচারের আগ্রাসী এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মনোভাব প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চিও ছাড় দিত না। ক্যারিয়ারে ব্যাট হাতে কখনই বড় ইনিংস না খেললেও দ্রুত ৩০ বা ৫০ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন তিনি। তাঁর আগ্রাসী ইনিংসগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে রেকর্ড রান তাড়া করে জয়ের পথে ৪৩ বলে ৫০ রানের ইনিংসটা অনেক দিন ক্রিকেটভক্তরা মনে রাখবেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা হয়েছেন তিনবার (১৯৯৮, ২০০০ ও ২০০৬ সালে)। এছাড়া ২০০৯Ñএ পেয়েছেনে ক্রিকেটের বাইবেলখ্যাত উইজডেনের বর্ষসেরার মর্যাদা।
আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ক্যারিয়ারের বাকিটা বুঝতে পেরেছিলেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক। আর ৩৫ বছর বয়সী বাউচার ঘোরতর সন্দেহে ছিলেন ওই ইনজুরি কাটিয়ে ওঠা নিয়ে। সেই আশঙ্কা আর ভয় থেকেই ক্যারিয়ারে ইতি টানেন বিশ্বরেকর্ডসংখ্যক ডিসমিসাল অর্জনকারী অভিজ্ঞ এই তারকা উইকেটরক্ষক। ১৪৭ টেস্টে ৫৫৫টি আর ২৯৫ ওয়ানডেতে ৪২৪টি ডিসমিসাল তাঁর। উইকেটের পেছনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত হয়ে ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার নজির আরও রয়েছে। বাউচারের আগে ভারতের উইকেটরক্ষক সাবা করিম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলার সময় চোখে আঘাত পান। পরে ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছিলেন তিনিও। আঘাতে রক্তক্ষরণ শুরু হলে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন বাউচার। অক্ষিগোলক মেরামতে জরুরী ভিত্তিতে শল্যবিদের ছুরির নিচে নেয়া হয় তাঁকে। দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যানেজার মোহাম্মদ মুসাজি তাৎক্ষণিক অবস্থা জানিয়ে তখন বলেন, ‘চোখের আঘাতকে গুরুতর হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। বাউচারের চোখের মণি মেরামত করা হয়েছে। নিশ্চিতভাবেই সহসা মাঠে ফেরার সম্ভাবনা নেই তাঁর।’ আর তখনই বাউচার এক বিবৃতি পাঠিয়ে দেন দলের কাছে। সেটা পড়ে শোনান অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ, ‘অতি দুঃখ আর যন্ত্রণাকাতর মনে জানাচ্ছি যে, আমি অবসরের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। আমার চোখের ইনজুরি এতটাই ভয়াবহ যে আমি আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারব না। এবার ইংল্যান্ড সফরের জন্য যতখানি ভাল প্রস্তুতি নিয়েছিলাম ক্যারিয়ারে আর কোন সফরের জন্যই তা করিনি। কখনই ভাবতে পারিনি এত আগেই ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে হবে। আমি দলের সতীর্থ এবং আমাকে সমর্থন দেয়া দর্শকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি পুরো ক্যারিয়ারে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য।’ বিবৃতি পড়ে শোনানোর পর দলের পক্ষ থেকে স্মিথ বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে অনেক দিন খেলেছি। অনেক ভাল সময় কেটেছে। কিন্তু এমন মর্মদায়ক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আমরা সবাই যন্ত্রণায় কাতর। ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে আপনি প্রোটিয়া শিবিরের অন্যতম মহান সৈনিক ছিলেন। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থেকে সব সময় লড়াকু মানসিকতা দেখিয়েছেন। আপনি ছিলেন বিতর্কহীন এক ব্যক্তি যিনি কথার চেয়ে কাজটাই বেশি করে সবকিছু উজাড় করে দিয়েছেন। আমরা এ ইনজুরি থেকে আপনার দ্রুত সম্পূর্ণ আরোগ্য কামনা করছি।’ এমনিতে চলতি ইংল্যান্ড সফরকেই বাউচারের শেষ সফর বলে বিবেচিত হয়েছিল। লর্ডসে তৃতীয় টেস্টে নামলে ১৫০তম ম্যাচটি খেলা হয়ে যেত তাঁর। স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেই ক্রিকেট ছাড়তে হলো মার্ক বাউচারকে। উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ১০০০টি শিকারের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। স্টাম্পিং এবং ক্যাচ মিলিয়ে ইতোমধ্যে ৯৮০টি শিকারের অংশীদার তিনি। আর মাত্র ২০টি উইকেট পতনে অংশীদার হতে পারলেই স্বপ্ন পূরণ হতো। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। দেশের হয়ে ১৫০তম টেস্ট ম্যাচ খেলারও দ্বারপ্রান্তে ছিলেন। বিধাতার নিষ্ঠুর খেয়ালে পঁয়ত্রিশ বছর বয়সী বাউচারের পনেরো বছরের ক্যারিয়ার শেষ করে দিল উইকেটের একটি বেল। আহত হয়ে হাতের গ্লাভসটাকে চিরতরে খুলে ফেলতে বাধ্য হলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফরে মূল লক্ষ্য, টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর স্থান দখল। বাউচার এ অভিযানের অংশ হওয়ার অদম্য আকাক্সক্ষাও ব্যক্ত করেছিলেন। ইনজুরির পর তাঁর চোখে টানা তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু মাঠে নামা আর হলো না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্বপ্নের কাছাকাছি এসে হঠাৎই ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটল। ক্রিকেটাঙ্গন থেকে অবসরের ঘোষণা জানিয়ে দেয়া বিবৃতিতে বাউচার বলেছেন, এই মুহূর্তে অবসরের কোন চিন্তাই ছিল না আমার। চোখে ব্যান্ডেজ নিয়ে দেশে ফেরার বিমানে ওঠার আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে দলের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি। যেখানে বাউচার বলেছেন, ‘অনিশ্চিত সুস্থতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার আগে সব ধরনের শুভকামনা রইল দলের প্রতি।’ মাত্র ২০ বছর বয়সে প্রোটিয়া দলে অভিষেক হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৪৭টি টেস্ট এবং ২৯৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে গ্লাভস হাতে দায়িত্ব পালন করেছেন বাউচার। কোনভাবেই প্রতিপক্ষের কাছে মাথা নোয়ানোর স্বভাব তাঁর ধাতে ছিল না। টেস্টে এ পর্যন্ত উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে তাঁর শিকার সংখ্যা ৫৫৫টি। গ্লাভস হাতে অস্ট্রেলিয়ার এ্যাডাম গিলক্রিস্টের চেয়েও ১০০টি বেশি সাফল্য তাঁর। বাউচারের দক্ষতা প্রমাণের জন্য এর চেয়ে বেশি তথ্যের প্রয়োজন পড়ে না। ওয়ানডেতে অবশ্য গিলক্রিস্টই আছেন সবার উপরে। পরের স্থানটিই বাউচারের। মনেপ্রাণে খাঁটি দক্ষিণ আফ্রিকান বাউচারের আগ্রাসী এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মনোভাব প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চিও ছাড় দিত না। ক্যারিয়ারে ব্যাট হাতে কখনই বড় ইনিংস না খেললেও দ্রুত ৩০ বা ৫০ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন তিনি। তাঁর আগ্রাসী ইনিংসগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে রেকর্ড রান তাড়া করে জয়ের পথে ৪৩ বলে ৫০ রানের ইনিংসটা অনেক দিন ক্রিকেটভক্তরা মনে রাখবেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা হয়েছেন তিনবার (১৯৯৮, ২০০০ ও ২০০৬ সালে)। এছাড়া ২০০৯Ñএ পেয়েছেনে ক্রিকেটের বাইবেলখ্যাত উইজডেনের বর্ষসেরার মর্যাদা।
No comments