'যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ক্রীতদাসের বংশধর ওবামা'
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার একাদশতম পূর্বপুরুষ সম্ভবত জন পাঞ্চ নামের একজন আফ্রিকান। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই প্রথম আফ্রিকান ক্রীতদাস। ওবামার মা স্ট্যানলি অ্যান ডানহামের সঙ্গে পাঞ্চের বংশপরম্পরার যোগসূত্র পেয়েছেন গবেষকরা।
তাঁদের দাবি, ডানহামের শ্বেতাঙ্গ পূর্বপুরুষরা ঔপনিবেশিক ভার্জিনিয়ার ভূস্বামী ছিলেন বটে। তবে তাঁরা আফ্রিকা থেকে আগত পাঞ্চের বংশধর।
নথিপত্রের ভিত্তিতে দুই বছর গবেষণা ও ডিএনএ পরীক্ষার পর গবেষকরা এ দাবি করেছেন। তাদের গবেষণাপত্রটি গত সোমবার অ্যানসেসট্রি ডটকম ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। ১৬৪০ সালে চুক্তিবদ্ধ আফ্রিকান শ্রমিক পাঞ্চ ভার্জিনিয়া থেকে পালিয়ে মেরিল্যান্ড যান। সেখানে তিনি আরো দুজন শ্বেতাঙ্গ শ্রমিকের সঙ্গে ধরা পড়েন। তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়। আজীবন দাসত্বের সাজা দেওয়া হয় পাঞ্চকে। যদিও শ্বেতাঙ্গ দুজনকে অপেক্ষাকৃত কম সাজা দেওয়া হয়। সুতরাং নথিপত্র অনুযায়ী, পাঞ্চই প্রথম আইনগতভাবে ক্রীতদাস হিসেবে স্বীকৃত। এরও অনেক পরে ভার্জিনিয়ায় ক্রীতদাস প্রথার প্রচলন হয়।
গবেষকরা জানান, ওবামার মায়ের পূর্বপুরুষদের ডিএনএ বিশ্লেষণের পাশাপাশি বিবাহ নিবন্ধন রেকর্ড ও ভূমির মালিকানার রেকর্ড খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। পাঞ্চের সময়ের এসব রেকর্ড বলছে, পাঞ্চ কৃষ্ণাঙ্গ হলেও তাঁর সন্তানদের মা ছিলেন একজন শ্বেতাঙ্গ নারী। এই বর্ণ-শংকর সন্তানদের পারিবারিক নাম কিছুটা পরিবর্তন করে 'বাঞ্চ' করা হয়। এই বাঞ্চরা ডানহামের পূর্বপুরুষ। তবে গবেষকরা স্বীকার করেছেন, পর্যাপ্ত নথি না থাকায় তাঁরা এ ব্যাপারটি নিশ্চিত নন। বাঞ্চ পরিবারের আরেকটি শাখা 'বর্ণ-শংকর'। এ ব্যাপারে ডিএনএ বিশ্লেষণের প্রমাণ ও আনুষঙ্গিক রেকর্ড থাকায় ডানহামের পূর্বপুরুষদের ব্যাপারেও তাঁরা একই রকম ধারণা করছেন। গবেষকরা বলছেন, এই বাঞ্চদের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে বিয়ের প্রচলন শুরু হয়। এদের পরবর্তী বংশধররা ঔপনিবেশিক সময়ে ভার্জিনিয়ার ভূস্বামী হন এবং শ্বেতাঙ্গ হিসেবে পরিচিতি পান।
এ বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে গবেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আফ্রিকান ক্রীতদাস আর প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান প্রেসিডেন্ট পরস্পরের আত্মীয়। প্রসঙ্গত, ওবামার বাবা সিনিয়র বারাক ওবামা ছিলেন কেনিয়ার নাগরিক। পড়ালেখার জন্য তিনি হোয়াই অঙ্গরাজ্যে যান। সেখানে ডানহামের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরে তাঁরা বিয়ে করেন। ১৯৬১ সালে ওবামার জন্ম হয়। সূত্র : টেলিগ্রাফ, হিন্দুস্তান টাইমস।
নথিপত্রের ভিত্তিতে দুই বছর গবেষণা ও ডিএনএ পরীক্ষার পর গবেষকরা এ দাবি করেছেন। তাদের গবেষণাপত্রটি গত সোমবার অ্যানসেসট্রি ডটকম ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। ১৬৪০ সালে চুক্তিবদ্ধ আফ্রিকান শ্রমিক পাঞ্চ ভার্জিনিয়া থেকে পালিয়ে মেরিল্যান্ড যান। সেখানে তিনি আরো দুজন শ্বেতাঙ্গ শ্রমিকের সঙ্গে ধরা পড়েন। তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়। আজীবন দাসত্বের সাজা দেওয়া হয় পাঞ্চকে। যদিও শ্বেতাঙ্গ দুজনকে অপেক্ষাকৃত কম সাজা দেওয়া হয়। সুতরাং নথিপত্র অনুযায়ী, পাঞ্চই প্রথম আইনগতভাবে ক্রীতদাস হিসেবে স্বীকৃত। এরও অনেক পরে ভার্জিনিয়ায় ক্রীতদাস প্রথার প্রচলন হয়।
গবেষকরা জানান, ওবামার মায়ের পূর্বপুরুষদের ডিএনএ বিশ্লেষণের পাশাপাশি বিবাহ নিবন্ধন রেকর্ড ও ভূমির মালিকানার রেকর্ড খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। পাঞ্চের সময়ের এসব রেকর্ড বলছে, পাঞ্চ কৃষ্ণাঙ্গ হলেও তাঁর সন্তানদের মা ছিলেন একজন শ্বেতাঙ্গ নারী। এই বর্ণ-শংকর সন্তানদের পারিবারিক নাম কিছুটা পরিবর্তন করে 'বাঞ্চ' করা হয়। এই বাঞ্চরা ডানহামের পূর্বপুরুষ। তবে গবেষকরা স্বীকার করেছেন, পর্যাপ্ত নথি না থাকায় তাঁরা এ ব্যাপারটি নিশ্চিত নন। বাঞ্চ পরিবারের আরেকটি শাখা 'বর্ণ-শংকর'। এ ব্যাপারে ডিএনএ বিশ্লেষণের প্রমাণ ও আনুষঙ্গিক রেকর্ড থাকায় ডানহামের পূর্বপুরুষদের ব্যাপারেও তাঁরা একই রকম ধারণা করছেন। গবেষকরা বলছেন, এই বাঞ্চদের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে বিয়ের প্রচলন শুরু হয়। এদের পরবর্তী বংশধররা ঔপনিবেশিক সময়ে ভার্জিনিয়ার ভূস্বামী হন এবং শ্বেতাঙ্গ হিসেবে পরিচিতি পান।
এ বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে গবেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আফ্রিকান ক্রীতদাস আর প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান প্রেসিডেন্ট পরস্পরের আত্মীয়। প্রসঙ্গত, ওবামার বাবা সিনিয়র বারাক ওবামা ছিলেন কেনিয়ার নাগরিক। পড়ালেখার জন্য তিনি হোয়াই অঙ্গরাজ্যে যান। সেখানে ডানহামের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরে তাঁরা বিয়ে করেন। ১৯৬১ সালে ওবামার জন্ম হয়। সূত্র : টেলিগ্রাফ, হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments