'১০ সালে রেমিটেন্সের টার্গেট ১১ বিলিয়ন ডলার by ফিরোজ মান্না
নতুন বছরে বেশ কয়েকটি দেশে জনশক্তি রফতানির বাজার সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে এই শ্রমবাজার সৃষ্টি করা হবে। ২০১০ সালে জনশক্তি থেকে ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাওয়ার টার্গেটও ধরা হয়েছে। বিশ্ব মন্দার কারণে গত বছর শ্রমবাজারে ধস নেমেছিল।
এবার তা পুষিয়ে নিতে বছরের শুরম্নতেই সরকার কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাবে। বায়রার সভাপতি গোলাম মুসত্মাফা জনকণ্ঠকে জানান, সরকারের শ্রম ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো শ্রমিক বান্ধব হলে এ বছর দেশ থেকে ছয় লাখ শ্রমিক পাঠানো সম্ভব হবে। পূর্ব-পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশসহ কোরিয়া, আফ্রিকার সুদান, ইয়েমেন, মিসর এমনকি থাইল্যান্ডেও শ্রমবাজার রয়েছে। এই বাজারগুলো কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে খুলতে হবে।
সূত্র জানিয়েছে, জনশক্তি রফতানির সবচেয়ে ভাল সময় গেছে ২০০৭ এবং ২০০৮ সাল। এই সময়ে দেশ থেকে বিভিন্ন দেশে ১৭ লাখ ৭ হাজার শ্রমিক চাকরি নিয়ে গেছেন। এই দুই বছর দেশে রেমিটেন্সের প্রবাহ ছিল ৯ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে বিশ্বমন্দার কারণে দেশের শ্রমবাজারে মারাত্মক ধস নামে। এরপরও আশার ব্যাপার যে এ বছর রেমিটেন্স প্রবাহ গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়া গেছে। ২০১০ সালে শ্রমবাজার থেকে ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স টার্গেট করা হয়েছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন বছরে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ করতে সরকার নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। যেসব দেশে শ্রম বাজার রয়েছে সেই সব দেশে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হবে। বন্ধ হয়ে যাওয়া বাজার সৌদি আরব, কুয়েত ও মালয়েশিয়াকে ধরে রাখতে ইতোমধ্যে কয়েক দফা চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করা যায় এ বছরের শুরম্নর দিকেই এ তিনটি বাজার খুলে যাবে। বিএমইটির মাধ্যমে কোরিয়ায় লোক পাঠানোর বিষয়টি আরও গতিশীল করা হবে। সুদানের বাজারটি খুলতে চেষ্টা হচ্ছে। নতুন শ্রম বাজার হতে পারে মিসর ও ইয়েমেন। এ দু'টি দেশেও শ্রমিক নিয়োগের চেষ্টা করা হবে। উদ্যোগগুলো বাসত্মবায়ন করতে পারলে ছোট হয়ে আসা শ্রমবাজার আবার চাঙ্গা হবে।
বায়রার সভাপতি গোলাম মুসত্মাফা জনকণ্ঠকে বলেন, যেসব দেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার রয়েছে, সেই সব দেশে অবিলম্বে হাইকমিশন বা দূতাবাস স্থাপন করা জরম্নরী। দূতাবাসগুলোকে শ্রমিকবান্ধব হতে হবে। বর্তমানে দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তারা শ্রমিক বা দেশের স্বার্থ না দেখে শুধু চাকরিই করেন। অথবা শ্রমিকদের কল্যাণে কিভাবে কাজ করতে হয় তা ভালভাবে জানেন না। সরকার বিসিএস পরীৰার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসে লোক নিয়োগ করে। বিসিএস পরীৰায় মাইগ্রেশন সার্ভিস ক্যাডার চালু করে লোক নিয়োগ দিলে শ্রমিকদের জন্য ভাল হবে। সরকারের উচিত মাইগ্রেশন ক্যাডার সার্ভিস চাল করা। এই সার্ভিসের কর্মকর্তারা কেবল বিএমইটি, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বিদেশের দূতাবাসগুলোর লেবার উইংয়ে কাজ করবেন। পেশাগত দৰতার মাধ্যমে তারা শ্রমিকদের পৰে কাজ করতে পারবেন।
বাংলাদেশী শ্রমিকদের যাতে ছাঁটাই না করে তাদের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতেও পারবেন তারা।
এদিকে, সর্বস্ব বিক্রি করে লিবিয়ায় গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে ৮৩ শ্রমিককে। রাজধানীর ফকিরাপুলে অবস্থিত জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান জাফর ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে তারা লিবিয়া গিয়েছিলেন। লিবিয়াতে যে প্রতিষ্ঠানে তাদের চাকরি হওয়ার কথা ছিল ওই প্রতিষ্ঠানের কোন অসত্মিত্ব সেখানে নেই। পরে সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। ফিরে আসা শ্রমিকরা জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা নেয়া হয়েছে। এখনও ওই জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের কোন ৰতিপূরণ দেয়নি।
সূত্র জানিয়েছে, জনশক্তি রফতানির সবচেয়ে ভাল সময় গেছে ২০০৭ এবং ২০০৮ সাল। এই সময়ে দেশ থেকে বিভিন্ন দেশে ১৭ লাখ ৭ হাজার শ্রমিক চাকরি নিয়ে গেছেন। এই দুই বছর দেশে রেমিটেন্সের প্রবাহ ছিল ৯ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে বিশ্বমন্দার কারণে দেশের শ্রমবাজারে মারাত্মক ধস নামে। এরপরও আশার ব্যাপার যে এ বছর রেমিটেন্স প্রবাহ গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়া গেছে। ২০১০ সালে শ্রমবাজার থেকে ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স টার্গেট করা হয়েছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন বছরে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ করতে সরকার নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। যেসব দেশে শ্রম বাজার রয়েছে সেই সব দেশে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হবে। বন্ধ হয়ে যাওয়া বাজার সৌদি আরব, কুয়েত ও মালয়েশিয়াকে ধরে রাখতে ইতোমধ্যে কয়েক দফা চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করা যায় এ বছরের শুরম্নর দিকেই এ তিনটি বাজার খুলে যাবে। বিএমইটির মাধ্যমে কোরিয়ায় লোক পাঠানোর বিষয়টি আরও গতিশীল করা হবে। সুদানের বাজারটি খুলতে চেষ্টা হচ্ছে। নতুন শ্রম বাজার হতে পারে মিসর ও ইয়েমেন। এ দু'টি দেশেও শ্রমিক নিয়োগের চেষ্টা করা হবে। উদ্যোগগুলো বাসত্মবায়ন করতে পারলে ছোট হয়ে আসা শ্রমবাজার আবার চাঙ্গা হবে।
বায়রার সভাপতি গোলাম মুসত্মাফা জনকণ্ঠকে বলেন, যেসব দেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার রয়েছে, সেই সব দেশে অবিলম্বে হাইকমিশন বা দূতাবাস স্থাপন করা জরম্নরী। দূতাবাসগুলোকে শ্রমিকবান্ধব হতে হবে। বর্তমানে দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তারা শ্রমিক বা দেশের স্বার্থ না দেখে শুধু চাকরিই করেন। অথবা শ্রমিকদের কল্যাণে কিভাবে কাজ করতে হয় তা ভালভাবে জানেন না। সরকার বিসিএস পরীৰার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসে লোক নিয়োগ করে। বিসিএস পরীৰায় মাইগ্রেশন সার্ভিস ক্যাডার চালু করে লোক নিয়োগ দিলে শ্রমিকদের জন্য ভাল হবে। সরকারের উচিত মাইগ্রেশন ক্যাডার সার্ভিস চাল করা। এই সার্ভিসের কর্মকর্তারা কেবল বিএমইটি, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বিদেশের দূতাবাসগুলোর লেবার উইংয়ে কাজ করবেন। পেশাগত দৰতার মাধ্যমে তারা শ্রমিকদের পৰে কাজ করতে পারবেন।
বাংলাদেশী শ্রমিকদের যাতে ছাঁটাই না করে তাদের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতেও পারবেন তারা।
এদিকে, সর্বস্ব বিক্রি করে লিবিয়ায় গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে ৮৩ শ্রমিককে। রাজধানীর ফকিরাপুলে অবস্থিত জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান জাফর ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে তারা লিবিয়া গিয়েছিলেন। লিবিয়াতে যে প্রতিষ্ঠানে তাদের চাকরি হওয়ার কথা ছিল ওই প্রতিষ্ঠানের কোন অসত্মিত্ব সেখানে নেই। পরে সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। ফিরে আসা শ্রমিকরা জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা নেয়া হয়েছে। এখনও ওই জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের কোন ৰতিপূরণ দেয়নি।
No comments