ভারতে ২২ রাজ্য অন্ধকারে পরিস্থিতির আরো অবনতি-* তিনটি গ্রিড অচল * ৫০০ ট্রেনের চলাচল বিঘ্নিত
ভারতের উত্তর, পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় তিনটি বিদ্যুৎ গ্রিড অচল হয়ে পড়ায় গতকাল মঙ্গলবার ৬৭ কোটিরও বেশি লোক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশটির অর্ধেকেরও বেশি মানুষ চরম অচলাবস্থার শিকার হয়। তিনটি গ্রিড অকেজো হওয়ায় ২২টি রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘি্নত হয়।
পাঁচ শয়েরও বেশি ট্রেনের চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং জনজীবনে ব্যাপক দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) অভিযোগ করেছে, সরকারি নীতির ব্যর্থতা ও অব্যবস্থাপনার কারণেই এ বিপর্যয় তৈরি হয়েছে।
গত এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ নিয়ে সবচেয়ে বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভারত। কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। বিদ্যুতের এ বিপর্যয় যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব তৈরি করেছে। গত সোমবার ভোরে উত্তরাঞ্চলীয় গ্রিড অচল হয়ে পড়ার পর থেকেই মূলত অচলাবস্থা তৈরি হয়। রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ৯টি রাজ্য অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। ট্রেন, মেট্রো ও যান চলাচলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ভুটান থেকে বিদ্যুৎ এনে জরুরি চাহিদা মেটানো হয়। ছয় ঘণ্টা পর দিল্লির বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হলেও অনেক স্থানই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় উত্তরাঞ্চলীয় গ্রিড দ্বিতীয় বারের মতো অচল হয়ে পড়ে। দিল্লির বিদ্যুৎ সরবরাহের গতি চার হাজার ১৯০ মেগাওয়াট থেকে ১৪০ মেগাওয়াটে নেমে আসে। পরে পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডও বন্ধ হয়ে যায়। পশ্চিবঙ্গসহ পূর্বাঞ্চলীয় পাঁচটি রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডে বিপত্তি ঘটার কারণেই উত্তরাঞ্চলীয় গ্রিড ভেঙে পড়ে। তবে সঠিক কারণ জানা যায়নি। ভারতের রাজ্যগুলো কোটার ভিত্তিতে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পায়। কিন্তু অনেক রাজ্যই নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। এই বিষয়টিকেও বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। গতকাল কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলোকে এ ব্যাপারে অভিযুক্তও করে। বাড়তি বিদ্যুৎ টানার জন্য রাজ্যগুলোকে জরিমানা গুনতে হয়। তবে অন্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ কেনার চেয়ে জরিমানা পরিশোধই তাদের জন্য লাভজনক। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে সরকার তিন সদস্যের যে কমিটি গঠন করেছে, তারা এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী সুশীল কুমার সিনধে যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার আশ্বাস দেন।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কারণে ভারতের রেল যোগাযোগে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। প্রায় ৫০০ ট্রেনের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উত্তর ও উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয়, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয়, পশ্চিমাঞ্চলীয় রেল যোগাযোগে কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে। দিল্লি-হাওড়া রুট একবারেই বন্ধ হয়ে যায়। রেলের প্রায় তিন লাখ যাত্রী দুর্ভোগের শিকার হয়। তবে গতকাল বিকেলে দিল্লির বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হওয়ার পর মেট্রো সার্ভিস সচল হতে শুরু করে। ট্রাফিক বাতি বন্ধ থাকার কারণে দিল্লিতে মারাত্মক যানজট তৈরি হয়। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত চার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিদ্যুতের অভাবে পাম্প বন্ধ থাকার কারণে পানি সরবরাহও বিঘি্নত হয়। এটিএম বুথগুলো অকেজো হয়ে পরে। ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গে তিনটি কয়লা খনিতে প্রায় ২০০ শ্রমিক আটকা পড়েন। ইস্টার্ন কোলফিল্ড নামের একটি খনির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিলাদ্রি রায় বলেন, 'আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। তবে শ্রমিকদের জীবনের জন্য কোনো হুমকি তৈরি হয়নি।
জাতীয় বিদ্যুৎ কম্পানির পরিচালক অরুপ রায় চৌধুরী জানান, বিদ্যুতের সবগুলো ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে সরবরাহ চালু হওয়ার বিষয়টি গ্রিডের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে। সূত্র : এএফপি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
গত এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ নিয়ে সবচেয়ে বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভারত। কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। বিদ্যুতের এ বিপর্যয় যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব তৈরি করেছে। গত সোমবার ভোরে উত্তরাঞ্চলীয় গ্রিড অচল হয়ে পড়ার পর থেকেই মূলত অচলাবস্থা তৈরি হয়। রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ৯টি রাজ্য অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। ট্রেন, মেট্রো ও যান চলাচলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ভুটান থেকে বিদ্যুৎ এনে জরুরি চাহিদা মেটানো হয়। ছয় ঘণ্টা পর দিল্লির বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হলেও অনেক স্থানই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় উত্তরাঞ্চলীয় গ্রিড দ্বিতীয় বারের মতো অচল হয়ে পড়ে। দিল্লির বিদ্যুৎ সরবরাহের গতি চার হাজার ১৯০ মেগাওয়াট থেকে ১৪০ মেগাওয়াটে নেমে আসে। পরে পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডও বন্ধ হয়ে যায়। পশ্চিবঙ্গসহ পূর্বাঞ্চলীয় পাঁচটি রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডে বিপত্তি ঘটার কারণেই উত্তরাঞ্চলীয় গ্রিড ভেঙে পড়ে। তবে সঠিক কারণ জানা যায়নি। ভারতের রাজ্যগুলো কোটার ভিত্তিতে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পায়। কিন্তু অনেক রাজ্যই নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। এই বিষয়টিকেও বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। গতকাল কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলোকে এ ব্যাপারে অভিযুক্তও করে। বাড়তি বিদ্যুৎ টানার জন্য রাজ্যগুলোকে জরিমানা গুনতে হয়। তবে অন্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ কেনার চেয়ে জরিমানা পরিশোধই তাদের জন্য লাভজনক। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে সরকার তিন সদস্যের যে কমিটি গঠন করেছে, তারা এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী সুশীল কুমার সিনধে যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার আশ্বাস দেন।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কারণে ভারতের রেল যোগাযোগে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। প্রায় ৫০০ ট্রেনের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উত্তর ও উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয়, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয়, পশ্চিমাঞ্চলীয় রেল যোগাযোগে কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে। দিল্লি-হাওড়া রুট একবারেই বন্ধ হয়ে যায়। রেলের প্রায় তিন লাখ যাত্রী দুর্ভোগের শিকার হয়। তবে গতকাল বিকেলে দিল্লির বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হওয়ার পর মেট্রো সার্ভিস সচল হতে শুরু করে। ট্রাফিক বাতি বন্ধ থাকার কারণে দিল্লিতে মারাত্মক যানজট তৈরি হয়। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত চার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিদ্যুতের অভাবে পাম্প বন্ধ থাকার কারণে পানি সরবরাহও বিঘি্নত হয়। এটিএম বুথগুলো অকেজো হয়ে পরে। ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গে তিনটি কয়লা খনিতে প্রায় ২০০ শ্রমিক আটকা পড়েন। ইস্টার্ন কোলফিল্ড নামের একটি খনির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিলাদ্রি রায় বলেন, 'আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। তবে শ্রমিকদের জীবনের জন্য কোনো হুমকি তৈরি হয়নি।
জাতীয় বিদ্যুৎ কম্পানির পরিচালক অরুপ রায় চৌধুরী জানান, বিদ্যুতের সবগুলো ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে সরবরাহ চালু হওয়ার বিষয়টি গ্রিডের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে। সূত্র : এএফপি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments