ফেলে আসা রাজনীতি এবং নতুন প্রত্যাশা by ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ

সব সময়েই নতুন বছরের আগমনী মানুষের মনে সম্ভাবনার প্রত্যাশা জাগায়। রবীন্দ্রনাথ বৈশাখের আগমনী গানে ফেলে আসা বছরের সমস্ত জরা মুছে মুক্ত সতেজ নতুনকে বরণ করতে চেয়েছেন। অর্থাৎ সকল যুগেই শেষ পর্যন্ত চলমান বছরটি জরাক্রান্তই থেকে যায়। তাই বারবার জরামুক্তির প্রত্যাশা নিয়ে নতুন বছরের যাত্রা শুরু করতে হয়েছে।


রবীন্দ্রনাথ অবশ্য তাঁর গানে বিগত বছরের রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে কিছু বলেননি। নতুন বছরে কলুষমুক্ত রাজনীতির জন্য বৈশাখের কাছে তাই কোন প্রত্যাশা ছিল না তাঁর। অবশ্য তাঁর সময়ে রাজনৈতিক বাস্তবতা কিছুটা ভিন্ন ছিল। তখন রাজনীতির মাঠের প্রতিপ বিদেশী। ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছিল এদেশের মানুষ। একমাত্র বঙ্গভঙ্গ ইস্যু এবং এর মধ্যদিয়ে হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের রাজনীতি একটি দ্বন্দ্বের সুর বাজিয়েছিল ঠিকই, তবে ঔপনিবেশিক শাসন কমন শত্রু হয়ে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ সুবিধাবাদী রাজনীতি প্রবল হতে পারেনি। রবীন্দ্রনাথ যদি এ যুগে জন্মাতেন তবে সিপিএম-তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতি দেখে এবং আরও একটু উদার চোখে দৃষ্টি প্রসারিত করতে পারলে বাংলাদেশের রাজনীতি প্রত্য করে আরও দু' একটি লাইন নিশ্চয়ই যুক্ত করতেন। এ যুগে না জন্মালেও তিনি যদি সময়ের বাস্তবতায় তাঁর গানের নতুন সংস্করণ করার দায়িত্ব আমাদের দিয়ে যেতেন তবে আমরা নিশ্চয় লিখতাম_ এসো হে জানুয়ারি...এসো সুবিধাবাদী দলীয় রাজনীতিকে মানুষের রাজনীতিতে রূপান্তর করতে। এসো কপট গণতন্ত্রকে মুছে ফেলে প্রকৃত গণতন্ত্রের সোনালী সূর্য উদয় করতে।
এদেশের নেতিবাচক রাজনীতির ঐতিহাসিক বাস্তবতার পরও ফেলে আসা বছরটিতে আমাদের রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তনের পরিপ্রেতি তৈরি হয়েছিল। আশাবাদী মানুষ একটু আগবাড়িয়ে মনে করেছিল একটি নজরকাড়া পরিবর্তনের আগে বড় কোন ধাক্কার প্রয়োজন পড়ে। এই ধাক্কার কাজটি ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ন্যায়ে হোক অন্যায়ে হোক দিতে পেরেছিল। তাই বোধহয় সময়ের ডাক শুনতে পেয়েছেন আমাদের রাজনীতিকগণ। পুরনো দূষিত পোশাক বুড়িগঙ্গার নষ্ট পানিতে ফেলে দিয়ে রাজনীতি ও মানুষের কল্যাণ চিন্তায় এক নতুন রাজনীতি উপহার দেবেন। এ কারণে ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে আগামীর ইতিহাস লেখকের সৌভাগ্যের কথা ভাবছিলাম।
অনেক কাল পর তাঁরা লিখতে পারবেন, ২০০৯-এর শুরু থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন আসে। এ সময় কলঙ্কময় দুনর্ীতিযুক্ত রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার শপথ নিয়েছিল এদেশের রাজনৈতিক দলগুলো। এই প্রথমবারের মতো এদেশের জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত দল গণতান্ত্রিক চেতনায় জনগণের রায় মেনে নিয়েছে। বিজয়ী দল আওয়ামী লীগ এবং মহাজোটকে অভিনন্দন জানিয়ে এদেশের সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক ধারার অবসান ঘটিয়েছে।
আশাবাদী মানুষের প্রত্যাশা ছিল এবার বিএনপি ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরে এসে দলীয় রাজনীতির নতুন সংস্কার করবে। একটি বিরাট দলের অসংখ্য নেতাকমর্ী দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। অতীতের পাপ থেকে মুক্ত হওয়ার শপথ নেবে। দুনর্ীতিবাজ অসৎ মানুষদের দল থেকে বিদায় করবে। ঘাড় থেকে দুষ্টগ্রহ জামায়াতকে এবার নামিয়ে দেবে। স্বাধীনতাবিরোধীদের স্পর্শ ত্যাগ করে নিজেদের পরিশুদ্ধ করবে। কৃতকর্মের জন্য জনগণের কাছে মা চেয়ে দৃঢ়পায়ে রাজনীতির মাঠে আবার নিজেদের অবস্থান শক্ত করবে। এই নতুন বিএনপি নিজ দলের ভেতর গণতন্ত্র চর্চা শুরু করবে। একক কর্তৃত্বের অবসান ঘটাবে। মতার পালাবদলে থাকা এদেশের রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় সঙ্কীর্ণ স্বার্থের জন্য জনগণের সঙ্গে বরাবর প্রতারণা করে আসছে। তারা জনগণের ভোট নিয়ে সংসদে আসছে। দলীয় সিদ্ধান্তে বিরোধী দলের সাংসদদের চেষ্টা থাকে জনকল্যাণের বদলে সংসদ অকার্যকর করার কূট চেষ্টায় সংসদ বর্জন করা। সাংসদের সব ধরনের সুবিধা নেয়া কিন্তু জনগণের কথা না বলা। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের পর বিএনপি জোট এবার এই কদর্য আচরণ থেকে বিরত থাকবে, আশাবাদী মানুষের এমন আশা ছিল। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও এই ছক থেকে বেরুতে পারল না বিএনপি। বরঞ্চ দিনে দিনে সংসদ বর্জনের নতুন নতুন কারণ যুক্ত করে তা হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।
সাধারণ মানুষ ভেবেছিল এবার অন্তত জামায়াতের বোধোদয় হবে। নানাভাবে কাঠখড় পুড়িয়ে তারা স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার ফিরে পেয়েছিল। স্বর্ণলতার মতো নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছিল বিএনপির সাথে। বিএনপির কল্যাণে এই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি স্বাধীন বাংলাদেশে মন্ত্রীর আসন বাগিয়েছে। নির্লজ্জভাবে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে রাজপথে গাড়ি হাঁকিয়েছে। লাখো শহীদের আত্মাকে উপহাস করেছে। এত বছর রাজনীতি করেও জামায়াত জাতীয় নির্বাচনে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে উল্লেখ করার মতো আসন লাভের যোগ্যতা দেখাতে পারেনি। বিএনপির সাথে জোট বেঁধেই তার যতটুকু প্রাপ্তি। এবার মূল বৃরে পতনে স্বর্ণলতাও ধপাস ধরণীতল। এ কারণে জামায়াতের নেতৃবৃন্দের বিবেচনা করা উচিত বাংলাদেশ পাকিস্তান নয়। এদেশের মানুষ যুগ যুগান্তর ধরে অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ ও সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছে। এখানে টিকতে হলে সাধারণ মানুষের কাছে কৃতকর্মের জন্য মা চাইতে হবে। বিগত নির্বাচনের পর মানুষের আশা ছিল জামায়াত এই ইতিবাচক পথেই হাঁটার চেষ্টা করবে।
এদেশে রাজনীতিতে একটি সম্ভাবনাময় জায়গা তৈরি করে নেয়ার সুযোগ ছিল বাম দলগুলোর। কিন্তু অতিমাত্রায় ফমর্ুলাক্রান্ত হয়ে মাটি-মানুষের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত কর্রেজড়িয়ে ফেলেছেন। মাঝে মাঝে আন্দোলনের দু' একটি ইসু্য তৈরি করে নিজেদের অস্তিত্বকে জানান দেয় মাত্র। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ঝড় থামার পর মানুষের ধারণা ছিল এবার সম্বিৎ ফিরবে বাম দলের নেতাদের। তাঁরা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে এদেশে আবার ইতিবাচক রাজনীতির পথ প্রদর্শন করবেন।
তবে প্রত্যাশা সবচেয়ে বেশি রয়েছে আওয়ামী লীগের কাছে। মুক্তিযুদ্ধের পরে এই একটি মাত্র দলই এদেশের রাজনীতিতে সবল অবস্থানে আছে। আওয়ামী লীগ শুধু মুক্তিযুদ্ধের পরে দল নয়, এই দলটি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বও দিয়েছিল। স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগকে নানা ঘাতপ্রতিঘাত পেরুতে হয়েছে। দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রেরও মুখোমুখি হতে হয়েছে। সপরিবারে নিহত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু। জেলখানায় নিহত হয়েছেন আওয়ামী লীগের চার কাণ্ডারি। এর পরেই যেন এক ধরনের নেতৃত্বশূন্যতা দেখা দেয়। অবশ্য আওয়ামী লীগ এগুতে থাকে, তবে খুব বেশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নয়। তাই এই দলটি নিজেদের ভেতর গণতন্ত্র চর্চা করার মতো মনোবল দেখাতে পারেনি যতটা দেখানো উচিত ছিল। পঁচাত্তরোত্তর আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র মতা থেকে ছিটকে পড়ে। এই সময় দূরদশর্ী নেতৃত্ব থাকলে প্রতিপকে রাজনীতি দিয়ে সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারত আওয়ামী লীগ। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। বলা যায় আওয়ামী নেতৃত্বের ব্যর্থতায় ভূঁইফোড় দলগুলো পায়ের নিচের মাটি শক্ত করে ফেলে। গর্ত থেকে উঠে আসে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় এরা সবল হয়। এই পর্বে আওয়ামী লীগের কর্তব্য ছিল তৃণমূল পর্যায় থেকে দলকে পরিচর্যা করা। কিন্তু রাজধানীকেন্দ্রিক দলীয় নেতারা তৃণমূলের দিকে আর তেমনভাবে মুখ ফেরাননি। নির্বাচনে টাকার খেলা প্রবল হতে থাকে। তাই বড় দলগুলো টাকার জন্য ধনী ব্যবসায়ী আর ঘুষখোর আমলাদের দ্বারস্থ হয়। এভাবে রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করতে থাকে ব্যবসায়ী আর আমলারা। ফলে জায়গা ছেড়ে দিতে হয় নিবেদিত নেতাদের। এঁরা ক্রমে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। পথহারা পথিকের মতো আওয়ামী লীগও এই ঘূর্ণিতে আবর্তিত হয়। ১৯৯৬-এর নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ অনেক দিন পর মতায় এসেছিল। সে সময় একটি সম্ভাবনা দেখা দিলেও সরকার পরিচালনায় অনেক েেত্র আওয়ামী লীগ দৃঢ়তা দেখাতে পারেনি। কৃষি ও অর্থনৈতিক েেত্র কিছুটা সাফল্য এলেও দলীয় সন্ত্রাস আওয়ামী লীগের অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছিল।
এই সব অভিজ্ঞতা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কার আলোড়ন আওয়ামী লীগকে সঠিক পথের দিশা দেবে বলে অনেকে মনে করেছিল। বিএনপির ভেতর দুষ্টচক্রের বারবাড়ন্ত এবং যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে সখ্য এদেশের মানুষ_বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ভাল চোখে দেখেনি। তাই ব্যালটের মাধ্যমে তারা প্রাতিবাদ জানায়। গেল বছরের শুরুতে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আবার রাষ্ট্রমতায় আসে আওয়ামী লীগ। স্বাভাবিকভাবেই সকলের ধারণা ছিল অতীত অভিজ্ঞতা এবং দিন বদলের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক ধারার সূচনা করবে। আগের মরচে ধরা রাজনীতির দিন বদলে দেবে। অঙ্গ সংগঠনসমূহের দৌরাত্ম্য থেকে মুক্তি পাবে মানুষ। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরপরই ছাত্রলীগ সর্বত্র নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিল। টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজির পুরনো ফমর্ূলায় ফিরে গেল ছাত্র রাজনীতি। স্বয়ং দলীয় সভানেত্রী অভিমান করে ছাত্রলীগের সঙ্গে সাংগঠনিক সংশ্রব না রাখার ঘোষণা দিলেন। সাধারণ মানুষ মনে করল বোধহয় দিন বদলের কার্যকারিতা শুরু হয়ে গেল। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ চাইছিল ছাত্ররাজনীতি দলীয় রাজনীতির লেজুড়মুক্ত হোক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অতটা বিপ্লবী হতে পারল না আওয়ামী লীগ। গত বছরের শেষ মাসেও বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের নৈরাজ্য সৃষ্টির বেশ ক'টি ঘটনা সংবাদপত্রের পাঠকদের পড়তে হলো। দিন বদলের প্রথম সম্ভাবনাটি এভাবেই নি্#৬৩৭৪৩;্রভ হয়ে গেল।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রমতায় এলে প্রথম কাজ প্রশাসনের সর্বত্র দলীয়করণ করা। বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করা। বিশ্বাস ছিল এবার এেেত্র দিন বদল হবে। কিন্তু আওয়ামী সরকারের বছর পেরিয়ে গেলেও কোন পরিবর্তন চোখে পড়ল না।
বিশ্বাস ছিল বিপুল জনসমর্থন পাওয়া আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভাবনাতীত জনসমর্থন পাওয়ার পর এর কারণ মূল্যায়ন করবে। সামান্য ভাবতে পারলেই স্পষ্ট হতো যে এই বিপুল ভোটের সব আওয়ামী লীগের ভোট নয়। সে কারণে এই সরকার আওয়ামী লীগের সরকার নয়, জনগণের সরকার। তাই বোধ হয় প্রথমবারের মতো আত্মবিশ্বাসী হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ এসেছিল দলটির কাছে। মানুষ ভেবেছিল দেশ পরিচালনার নানা েেত্র এই সরকার দলীয় বিবেচনার উর্ধে উঠে মুক্তমনের দেশপ্রেমিক মানুষদের মূল্যায়ন করবে। কিন্তু কোন েেত্রই এমন দিন বদল দেখতে পেল না মানুষ। সেই গৎবাঁধা বৃত্ত। যোগ্যতার মানদণ্ডে যতই ব্যাকবেঞ্চার হোক, শিা সংস্কৃতি বিষয়ক নানা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় খুঁজে খুঁজে দলীয় মানুষদের মিছিলই বাড়ানো হয়েছে গেল বছরটিতে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো হয়তো অচল থাকবে না কিন্তু আওয়ামী লীগ অনেক শুভাকাঙ্ী বন্ধু হারাবে।
এভাবে গত বছরটিতে আমাদের রাজনীতির ভেতর তেমন গুণগত পরিবর্তন মানুষ দেখতে পায়নি। তত্ত্বাবধায়ক শাসনের অবসানের পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তৃতায়, আচরণে এবং নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে যেভাবে নতুন চিন্তার সুর বেজেছিল তাতে স্বপ্নবোনা শুরু করেছিল দেশবাসী। কিন্তু অসহায় মানুষ যত দ্রুত পরিবর্তনের আশায় উন্মুখ হয়েছিল ততোধিক দ্রুততায় তাদের আশাভঙ্গ ঘটেছে। তবু বাঁচতে হলে আশাবাদী তো হতেই হবে। হাজার বন্যা-টর্নেডোতেও যে দেশের বিপন্ন মানুষ বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস রাখে, নতুন বছরে তারা আবার নতুন করে স্বপ্ন বুনবে। তাদের প্রত্যাশা থাকবে এক বছরের অমানিশার পর এবার এদেশের রাজনীতি নতুন সূর্য দেখবেই। সমস্ত জরা আর গ্লানি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। এ বছর থেকে রাজনৈতিক দলগুলো মানুষের জন্য রাজনীতি করার শপথ নেবে। বক্তৃতায় নয়_ভাবনায়, বিশ্বাসে। রাজনৈতিক দলগুলো ব্যর্থ হলেও পোড়খাওয়া সাধারণ মানুষের কিন্তু শপথ নিতে দেরি হবে না। তারা তাদের অধিকার আদায়ে সরব হবেই। সময়ই তাদের সে পথ দেখাবে।
্রদটদভটষটড়নলআহটদমম.ডমব

No comments

Powered by Blogger.