হেলে পড়ছে রোমের কলোসিয়াম!
প্রাচীন রোমের মল্লযোদ্ধারা যে অ্যাম্ফিথিয়েটারে নিজেদের প্রাণ বাজি রেখে লড়াই করত সেই কলোসিয়াম আজ নিজের অস্তিত্ব নিয়েই সংকটে পড়েছে। প্রায় দুই হাজার বছরের পুরনো এ স্থাপত্যকীর্তিটি একপাশে ১৫ ইঞ্চিরও বেশি দেবে গেছে।
কলোসিয়ামের কাত হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ইতালির কর্তৃপক্ষ চিন্তায় পড়েছে। কয়েক মাস ধরে বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছে তারা।
রোমান সম্রাট ভেসপাসিয়ান ৭২ খ্রিস্টাব্দে কলোসিয়াম নির্মাণ করান। রোম সাম্রাজ্যে গ্লাডিয়েটর নামে পরিচিত মল্লযোদ্ধারা এখানে মানুষ বা বন্য জন্তুর সঙ্গে লড়াইয়ে নামত। এটি রোমের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্রও বটে। প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক কলোসিয়াম পরিদর্শন করেন।
প্রায় দুই হাজার বছর বয়সী অ্যাম্ফিথিয়েটারের কেন্দ্রভাগ থেকে গত কয়েক বছর যাবৎ ইট ও পাথরের আস্তর খসে পড়ছে। প্রায় এক বছর আগে বিশেষজ্ঞরা লক্ষ্য করেন, কলোসিয়ামের উত্তর পাশের চেয়ে দক্ষিণ পাশটি ১৫ ইঞ্চির বেশি দেবে গেছে। কলোসিয়ামের পরিচালক রোসেল্লা রিয়া গত রবিবার ইতালির দৈনিক কররিয়েরে দেল্লা সেরাতে লেখা এক নিবন্ধে এই তথ্য জানান।
কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করছে, শহরের ব্যস্ত এলাকায় যানবাহনের কারণে সৃষ্ট অব্যাহত কম্পনের ফলেই স্থাপত্যটি হেলে পড়ছে। এ ঘটনার আসল কারণ বের করার জন্য রোমের সেপিয়েনজা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল জিওলজি অ্যান্ড জিওইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (আইজিএজি) বিশেষজ্ঞরা জরুরি ভিত্তিতে গবেষণা শুরু করেছেন।
সেপিয়েনজা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিয়োরহিও মন্তি আশঙ্কা করছেন, স্থাপনাটির ভিত্তিমূলে হয়তো ফাটল তৈরি হয়েছে, '১৩ মিটার (৪২ ফুট) পুরু কংক্রিটের একটি ভিত্তির ওপর কলোসিয়াম দাঁড়িয়ে আছে। এ ভিত্তির মধ্যে ফাটল তৈরি হয়ে থাকতে পারে।' রোসেল্লা রিয়া বলেন, 'আমাদের সন্দেহ যদি নিশ্চিত হয়, তাহলে আলাদা হয়ে যাওয়া দুটি অংশকে জোড়া দেওয়া জরুরি হয়ে পড়বে।'
ইতালির আরেকটি বিখ্যাত স্থাপনা পিসার হেলানো টাওয়ারকে মাটিতে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে প্রায় ১০ বছর ধরে সংস্কার কাজ চালানো হয়। দ্বাদশ শতাব্দীর স্থাপনাটি সংস্কার শেষে ২০০১ সালে আবারও পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সূত্র : টেলিগ্রাফ, রয়টার্স।
রোমান সম্রাট ভেসপাসিয়ান ৭২ খ্রিস্টাব্দে কলোসিয়াম নির্মাণ করান। রোম সাম্রাজ্যে গ্লাডিয়েটর নামে পরিচিত মল্লযোদ্ধারা এখানে মানুষ বা বন্য জন্তুর সঙ্গে লড়াইয়ে নামত। এটি রোমের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্রও বটে। প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক কলোসিয়াম পরিদর্শন করেন।
প্রায় দুই হাজার বছর বয়সী অ্যাম্ফিথিয়েটারের কেন্দ্রভাগ থেকে গত কয়েক বছর যাবৎ ইট ও পাথরের আস্তর খসে পড়ছে। প্রায় এক বছর আগে বিশেষজ্ঞরা লক্ষ্য করেন, কলোসিয়ামের উত্তর পাশের চেয়ে দক্ষিণ পাশটি ১৫ ইঞ্চির বেশি দেবে গেছে। কলোসিয়ামের পরিচালক রোসেল্লা রিয়া গত রবিবার ইতালির দৈনিক কররিয়েরে দেল্লা সেরাতে লেখা এক নিবন্ধে এই তথ্য জানান।
কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করছে, শহরের ব্যস্ত এলাকায় যানবাহনের কারণে সৃষ্ট অব্যাহত কম্পনের ফলেই স্থাপত্যটি হেলে পড়ছে। এ ঘটনার আসল কারণ বের করার জন্য রোমের সেপিয়েনজা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল জিওলজি অ্যান্ড জিওইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (আইজিএজি) বিশেষজ্ঞরা জরুরি ভিত্তিতে গবেষণা শুরু করেছেন।
সেপিয়েনজা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিয়োরহিও মন্তি আশঙ্কা করছেন, স্থাপনাটির ভিত্তিমূলে হয়তো ফাটল তৈরি হয়েছে, '১৩ মিটার (৪২ ফুট) পুরু কংক্রিটের একটি ভিত্তির ওপর কলোসিয়াম দাঁড়িয়ে আছে। এ ভিত্তির মধ্যে ফাটল তৈরি হয়ে থাকতে পারে।' রোসেল্লা রিয়া বলেন, 'আমাদের সন্দেহ যদি নিশ্চিত হয়, তাহলে আলাদা হয়ে যাওয়া দুটি অংশকে জোড়া দেওয়া জরুরি হয়ে পড়বে।'
ইতালির আরেকটি বিখ্যাত স্থাপনা পিসার হেলানো টাওয়ারকে মাটিতে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে প্রায় ১০ বছর ধরে সংস্কার কাজ চালানো হয়। দ্বাদশ শতাব্দীর স্থাপনাটি সংস্কার শেষে ২০০১ সালে আবারও পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সূত্র : টেলিগ্রাফ, রয়টার্স।
No comments