মেয়রের চেয়ারে বসলেন বুলবুল
রাজশাহী
সিটি কর্পোরেশন- রাসিক মেয়র পদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত স্থগিতের পর নিজ
কার্যালয়ে গেছেন মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তবে এবার তার কার্যালয়ের
তালা লাগানো নয়, খোলা ছিল। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর উপ-শহরের নিজ
বাড়ি থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে নগর ভবনে আসেন তিনি। এ সময়
কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিপুল সংক্যক নেতাকর্মীরা মেয়র বুলবুলকে
অভ্যর্থনা জানান। পরে তিনি কার্যালয়ে প্রবেশ করে দুয়া পড়ে মেয়র চেয়ারে
বসেন। এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জনগণের দেয়া রায়কে এতোদিন
বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকার আমাকে ক্ষমতার বাইরে রেখেছিল। এতে নগরবাসীর
আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। নগরীর কোনো উন্নয়ন হয় নি।
কাউন্সিলর ও
কর্মকর্তাদের মধ্যে আন্তরিক পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। তাই আমার প্রথম কাজই হলো
নগর ভবনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। বুলবুল আরও বলেন, পাঁচ বছরের সকল
সমস্যা তার মেয়াদের বাকি ১৫ মাসের মধ্যেই সমাধান করবো। এজন্য পরিষদকে নিয়ে
পরিকল্পনা করা হবে। সরকার আমাকে সহযোগিতা করলে অসমাপ্ত নগরীর সকল সেবামূলক
কাজ করতে পারবো। আগামী শনিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি পরিকল্পনা তুলে
ধরবেন বলেও জানান বুলবুল। এর আগে দীর্ঘ ২৩ মাস পর আদালতের রায় পেয়ে গত
রোববার নগর ভবনে যান রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তবে দায়িত্ব নেয়ার
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাকে। ওইদিন বেলা ৩টার দিকে
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি ফ্যাক্স বার্তা এসেছে
সিটি কর্পোরেশনে। এ সময় মেয়র বুলবুল নগর ভবনে তার দফতরেই ছিলেন। নগরীর
২০১৫ সালের বোয়ালিয়া থানার একটি মামলায় বুলবুলের বিরুদ্ধে মহানগর বিশেষ
ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু করে। ওই সময় অবরোধ-হরতাল চলাকালে মোট ১৭টি মামলার আসামি হন রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। পুলিশ সদস্য সিদ্ধার্থ সরকার হত্যা মামলায় চার্জশীটভুক্ত আসামি হওয়ায় ২০১৫ সালে ৭ মে সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে বুলবুলের আপিলের পর ২০১৬ সালের ১০ মার্চ উচ্চ আদালত তার বরখাস্ত আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেন। এরপর আইনী লড়াই শেষে গত মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এরপরই রোববার দায়িত্ব নিতে নগর ভবনে যান মেয়র বুলবুল। ২০১৩ সালের ১৫ জুনের সিটি নির্বাচনে এক লাখ ৩১ হাজার ৫৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন বুলবুল। ওই বছরের ২১ জুলাই তিনি মেয়র হিসেবে শপথ নেন। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালের ১৫ জুন তার পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু করে। ওই সময় অবরোধ-হরতাল চলাকালে মোট ১৭টি মামলার আসামি হন রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। পুলিশ সদস্য সিদ্ধার্থ সরকার হত্যা মামলায় চার্জশীটভুক্ত আসামি হওয়ায় ২০১৫ সালে ৭ মে সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে বুলবুলের আপিলের পর ২০১৬ সালের ১০ মার্চ উচ্চ আদালত তার বরখাস্ত আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেন। এরপর আইনী লড়াই শেষে গত মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এরপরই রোববার দায়িত্ব নিতে নগর ভবনে যান মেয়র বুলবুল। ২০১৩ সালের ১৫ জুনের সিটি নির্বাচনে এক লাখ ৩১ হাজার ৫৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন বুলবুল। ওই বছরের ২১ জুলাই তিনি মেয়র হিসেবে শপথ নেন। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালের ১৫ জুন তার পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে।
No comments