ঘিওরে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধুকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
কুপ্রস্তাবে
ব্যর্থ হয়ে জেলেপল্লীর গৃহবধূর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে এক
ব্যবসায়ী। অসহায় ওই নারী থানার অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় বাধ্য
হয়ে গত মঙ্গলবার কোর্টের আশ্রয় নিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের ঘিওর
উপজেলার বানিয়াজুরী গ্রামে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই গৃহবধুকে হত্যার
চেষ্টাসহ মারধর করে তৈয়ব আলী নামক জনৈক ব্যবসায়ী। জানা যায়, উপজেলার
বানিয়াজুরী গ্রামের জেলে পল্লীর বাসিন্দা গেনেন্দ্র রাজবংশীর স্ত্রী শেফালী
রাজবংশী জানান, বছর খানেক আগে বানিয়াজুরী বাসষ্ট্যান্ডের পশ্চিম পার্শ্বে
কোকজোড় গ্রামের তৈয়ব আলীর সিমেন্টের খুটি বানানোর কারখানায় কাজ করতো। কাজে
যোগ দেওয়ার পর থেকেই তার প্রতি কু-দৃষ্টি দেয় তৈয়ব। মাঝে মধ্যে কু-প্রস্তার
দিয়ে ব্যর্থ হন। পরে বাধ্য হয়ে শেফালী সেখান থেকে কাজ বাদ দেয় । গতকাল
দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের নির্যাতনে স্বীকার শেফালী
রাজবংশী জানান, গত রোববার দুপুরে সে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোকা নামক এলাকায়
নির্জন রাস্তার গাছের পাতা সংগ্রহ করতে যায়। সেখানে একা পেয়ে তৈয়ব আলী তাকে
পুনরায় কু প্রস্তাব দেয় এবং তার সাথে যেতে বলে। শেফালী তার প্রস্তাবে রাজী
না হলে তৈয়ব তাকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায় এবং ধস্তাধস্তি করে। এক পর্যায়ে
মটর সাইকেল থেকে একটি রশি দিয়ে শেফালীর গলায় পেচিয়ে শ্বাস রোধ করার চেষ্টা
চালায়। এর পর চোখে মুখে কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকলে সে অচেতন হয়ে পড়ে।
পরে
পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শেফালী জানান, ঘটনার
পর ঘিওর থানায় ওই দিনই একটি লিখিত অভিযোগ করা হলেও থানা থেকে পুলিশ কোন
গুরুত্ব দেয়নি। মামলা না নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হবে বলে জানিয়ে দেয়। ঘটনার
দুই দিন পেরিয়ে গেলেও কোন প্রতিকার পায়নি। শেফালীর স্বামী গেনেন্দ্র
রাজবংশী জানান, তার স্ত্রীকে যে নির্যাতন করা হয়েছে তার চিহ্ন এখনো গলায় ও
চোখে রয়েছে। এলাকার অনেকের কাছে বিচার চাওয়া হলেও কেউ বিচার করেনি। গরীব
বলে থানায় গিয়েও কোন প্রতিকার পেলাম না। তাই বাধ্য হয়ে কোর্টের আশ্রয় নিতে
হয়েছে। তৈয়ব আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।
শেফালী আমার এখানে আগে কাজ করতো এখন করে না। থানার দারোগা এসে তদন্ত করে
কোন সত্যতা পায়নি। ঘিওর থানার এস আই নজরুল ইসলাম জানান, শৈফালী রানী
রাজবংশী থানায় একটি লিখত অভিযোগ করেছে। প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি তদন্ত করতে
গেলে শেফালী রাজবংশীর পক্ষে কোনো স্বাক্ষী দিতে পারেনি। তার পরেও বিষয়টি
দেখা হচ্ছে।
No comments