গরু চোরের সঙ্গে পুলিশকেও মারধর, পালাল ৫ আসামি
পলাতক
আসামি ধরে থানায় ফেরার পথে গরু চোর সন্দেহে পুলিশের এএসআইসহ দুইজনকে
পিটিয়ে আহত করেছে এলাকাবাসী। এ সময় আটক ৫ আসামি পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে
গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর
উপজেলার ৮নং ভাদগ্রাম ইউনিয়নের আটঘড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন-
মির্জাপুর থানার এএসআই মো. সোহেল রানা খন্দকার ও টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার
শোলাকুড়ি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মো. তারা মিয়া (৫০) । আহত তারা
মিয়া গরুচোর বলে জানায় পুলিশ। তাদের আশংকাজনক অবস্থায় কুমুদিনী হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন
বলেন, দিবাগত রাতে কয়েকজন পলাতক আসামিদের আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে
আসছিলেন। অন্যদিকে ভাগ্রাম এলাকায় একদল চোর তিনটি গরু চুরি করে একটি
কাভার্ডভ্যানে পালানোর চেষ্টা করছিল। এসময় টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন লাঠিসোঠা
ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সড়কের চার পাশ ঘেরাও করে গরু চোরদের কাভার্ডভ্যান
আটক করে। এসময় কয়েক জন গরু চোর পালিয়ে গেলেও তারা মিয়া নামে এক চোরকে আটক
করে গণপিটুনি দেয়। বিষয়টি বুঝতে না পেরে উত্তেজিত জনতা পুলিশকেও গরু চোর
সন্দেহে পিটাতে থাকে। এতে মির্জাপুর থানা পুলিশের এএসআই সোহেল রানা গুরুতর
আহত হয়। হামলার সময় সুযোগ বুঝে গ্রেফতারকৃত ৫ আসামি পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ
খবর পেয়ে গরুচোর তারা মিয়া ও পুলিশের এএসআই সোহেলকে উদ্ধার করে কুমুদিনী
হাসপাতালে ভর্তি করে। ওসি বলেন, আসামিদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় চিরুনি
অভিযানে নেমেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
No comments