মানব উন্নয়ন সূচকে ৩ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
মানব
উন্নয়ন সুচকে (এইচডিআই) বাংলাদেশ তিন ধাপ এগুলো। এবার বাংলাদেশের অবস্থান
১৮৮ দেশের মধ্যে ১৩৯ এ। যা গত ২০১৪ সালের সূচকে ছিল ১৪২। তবে বাংলাদেশ এখনো
মধ্যম মানব উন্নয়ন দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে। দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে
শ্রীলংকা ৭৩ তম অস্থান নিয়ে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর সারিতে রয়েছ। এছাড়া
মালদ্বীপ ১০৫, ভারত ১৩১ এবং ভুটান ১৩২ স্থানে রয়েছে। নরওয়ে প্রথম স্থানে
অবস্থান করছে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি সৃস্টির
জন্য বিশ্বের উন্নত ৫টি দেশ দায়ী। তারা মিলে ৫৫ শতাংশ কার্বনডাইঅক্সাইড
সৃস্টি করছে। আজ বুধবার শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে মানব উন্নয়ন
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, এসডিজির
প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেস্টা রাশেদা
কে চৌধুরী, ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মূখার্জি, সদস্য জিইডি ড.
শামসুল অালম, জিইডি প্রধান নাকিব বান মাহবুব। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন
ইউএনডিপির পরিচালক ড. সেলিম জাহান। প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছরই
বাংলাদেশের পয়েন্ট বাড়ছে।
১৯৯০ সালে ছিল দশমিক ৩৮৬, ২০১৫ সালে এসে বেড়ে
দশমিক ৫৭৯ তে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর প্রবৃদ্ধির হার ১.৬৪ শতাংশ। যেখানে
ভারতের ১.৫২ শতাংশ। দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ৫ম। যেখানে অবস্থান ঘানা
১৩৯. নেপাল ১৪৪, মিয়ানমার ১৪৫, কেনিয়া ১৪৬ এবং পাকিস্তানের ১৪৭। অন্যদিকে
লিঙ্গ সমতা সূচকে ১৫৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৯। যেখানে ভারতের
১২৫, পাকিস্তান ১৩০, নেপাল ১১৫। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরির্বতনের
মোকাবেলা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ। ড. সেলিম জাহান বলেন, এখন বিশ্বে শিশু
জন্মদানের সময় প্রতি ঘন্টায় ২৫ জন মা মারা যাচ্ছে। আমাদের মানব উন্নয়ন
ঘটাতে হবে মানের ভিত্তিতে। সংখ্যাকে অগ্রাধিকার দিলে হবে না। তিনি বলেন, এই
সূচকে বাংলাদেশ ভাল করছে। মানব উন্নয়ন কোনো ড্রিম নয়, এটা বাস্তবতা।
No comments