ইয়াবা পাচারে শিশু
টেকনাফে
ভিন্ন ভিন্ন কৌশল ও অভিনব কায়দায় ইয়াবা পাচার অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে
সম্প্রতি অধিক হারে শিশু ও কিশোরদের ব্যবহার করা হচ্ছে ইয়াবা পাচার কাজে।
ফলে অবুঝ শিশু-কিশোররা একদিকে যেমন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি
অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। একশ্রেণির অশিক্ষিত অভিভাবক টাকার লোভে শিশুদের
এমন অপরাধমূলক ও মাদক পাচার কাজে লেলিয়ে দিয়েছে। শিশুদের দেহে অভিনব
পন্থায় ইয়াবাগুলো ফিটিং করে বিজিবি চেকপোস্ট পার করা হয়। এভাবে পাচারকালে
গত ৩রা এপ্রিল ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে বিজিবির হাতে ইয়াবাসহ ধরা পড়েছে ৩ জন
কম বয়সী শিশু। বিজিবি সূত্রে জানা যায়, হোয়াইক্যং বিওপির বিজিবি দায়িত্বরত
জওয়ানরা গোপন সংবাদে একটি ইজিবাইক গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৯ হাজার পিস
ইয়াবাসহ ৪ জন পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এরমধ্যে কম বয়সী তিন শিশু
রয়েছে। আটক পাচারকারী ৪ জনেই হোয়াইক্যং ইউনিয়নের। এরা হলো হোসেন আলীর পুত্র
মো. ফরিদ মিয়া (২৭), কাঞ্জরপাড়া এলাকার আবদুস সাত্তারের পুত্র শাকিল মিয়া
(৯), মো. জুয়েল মিয়ার পুত্র রানা মিয়া (৭) ও জয়নাল মিয়ার পুত্র জুয়েল মিয়া
(৭)। তাদের দেহ তল্লাশি করে এই ইয়াবাগুলো পাওয়া যায়। ইয়াবার পরিমাণ ৮ হাজার
৮৩৭ পিস, যার মূল্য ২৬ লক্ষ ৫১ হাজার ১০০ টাকা। এ সময় তাদের বহনকারী
নাম্বারবিহীন একটি ইজিবাইক জব্দ করেছে বিজিবি। সূত্রে আরো জানা যায়, এ
ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে কাঞ্জরপাড়ার আব্দুস শুক্কুরের স্ত্রী আয়েশাকে (৩০)
পলাতক আসামি করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং শিশুদের অভিভাবকের কাছে
হস্তান্তর করার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। টেকনাফ ২
ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আবুজার আল জাহিদ জানান, মাদক ইয়াবা
পাচারে শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। আমরা চেষ্টা
করছি এসব শিশুর অভিভাবককে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।
No comments