জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়-'পূর্ণাঙ্গ' শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠুক by মোঃ সোলাইমান হোসেন
শিক্ষার্থীদের পরিবহন সুবিধা বাড়াতে, লাইব্রেরিতে বই কিনতে কিংবা ইন্টারনেট সুবিধা দিতে তো আর সংসদে আইন পাস করার প্রয়োজন পড়ে না। তাহলে কর্তৃপক্ষের এত কচ্ছপ গতি কেন? এত শিক্ষার্থীর দাবিকে উপেক্ষা করা বুদ্ধিমানের কাজ নয় খাতা-কলমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স প্রায় ৬ বছর হতে চললেও এটি আজও 'পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়' হয়ে ওঠেনি। বলা যায়, হয়ে উঠতে দেওয়া হয়নি। কেননা বিশ্ববিদ্যালয় বলতে এমন একটি স্থান,
এমন একটি প্রতিষ্ঠকে বোঝায় যেখানে মুক্তবুদ্ধির চিন্তা, মননশীলতা ও তারুণ্যের চরম প্রকাশ করা যায়। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে সে সংস্কৃতির বড়ই অভাব। ২১ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে বিশাল আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। নিজস্ব ১২টি হল থাকা সত্ত্বেও এ পরিবারের সবাই উদ্বাস্তু। আমাদের এভাবে উদ্বাস্তু করে রেখেছে গুটিকয়েক ক্ষমতাবান দখলদাররা। ১৯৮৫ সালে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ফলে হলগুলো বেহাত হয়ে যায়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর কর্তৃপক্ষের লোক দেখানো হল উদ্ধারের চেষ্টা শিক্ষার্থীদের আশাহত করেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-২০০৫-এর একটি বিতর্কিত ধারা হচ্ছে ২৭/৪ ধারা। এ ধারা অনুযায়ী ২০১৩ সালের পর থেকে সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আর কোনো টাকা-পয়সা বা অনুদান দেবে না। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হবে নিজস্ব আয়ে। ফলে পরিস্থিতি যা দাঁড়াবে তা হলো, শিক্ষার্থীদের বেতন ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। এরূপ বিতর্কিত একটি ধারা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা শুরু থেকে আন্দোলন করে আসছিল। যে আন্দোলনের চরম প্রকাশ ঘটে আসছে গত কিছুদিন আগে থেকে। দাবি আদায়ে আন্দোলন, ভাংচুর, ছাত্র নির্যাতন ও গ্রেফতার সব ঘটনাই ঘটেছে এ ক'দিনে। কিন্তু যেটি ঘটার কথা ছিল সেটি এখনও ঘটেনি, আর তা হলো আশ্বাসের বাস্তবায়ন। শিক্ষার্থীদের দাবি আজ শুধু ২৭/৪ ধারা বাতিল নয়। তারা আজ হল চায়, লাইব্রেরি ও সেমিনারে বই চায়, পর্যাপ্ত পরিবহন সুবিধা চায়, পর্যাপ্ত শিক্ষক চায়। সোজা কথা, উচ্চশিক্ষার সব সুবিধা চায়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ক'টি দাবি এ পর্যন্ত পূরণ হয়েছে? উল্টো শিক্ষার্থীদের মুখ বন্ধ করতে গ্রেফতার করা হচ্ছে। ছাত্ররা গাড়ি ভাংচুর করেছে, পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছে বলে তাদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যারা হামলা করল তাদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো না কেন?
দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা রাজপথে যেটি করেছে সেটি অনভিপ্রেত। সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাস্তবায়ন করা। আর এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের পরিবহন সুবিধা বাড়াতে, লাইব্রেরিতে বই কিনতে কিংবা ইন্টারনেট সুবিধা দিতে তো আর সংসদে আইন পাস করার প্রয়োজন পড়ে না। তাহলে কর্তৃপক্ষের এত কচ্ছপ গতি কেন? এত শিক্ষার্থীর দাবিকে উপেক্ষা করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি_ বেদখলকৃত হল উদ্ধার ও ২৭(৪) ধারা বাতিলের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ। আর এসব সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সরকারের উচ্চমহলের সুদৃষ্টি কামনা করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানে আশ্বাস নয়, বাস্তবায়ন চায়।
মোঃ সোলাইমান হোসেন :শিক্ষার্থী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-২০০৫-এর একটি বিতর্কিত ধারা হচ্ছে ২৭/৪ ধারা। এ ধারা অনুযায়ী ২০১৩ সালের পর থেকে সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আর কোনো টাকা-পয়সা বা অনুদান দেবে না। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হবে নিজস্ব আয়ে। ফলে পরিস্থিতি যা দাঁড়াবে তা হলো, শিক্ষার্থীদের বেতন ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। এরূপ বিতর্কিত একটি ধারা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা শুরু থেকে আন্দোলন করে আসছিল। যে আন্দোলনের চরম প্রকাশ ঘটে আসছে গত কিছুদিন আগে থেকে। দাবি আদায়ে আন্দোলন, ভাংচুর, ছাত্র নির্যাতন ও গ্রেফতার সব ঘটনাই ঘটেছে এ ক'দিনে। কিন্তু যেটি ঘটার কথা ছিল সেটি এখনও ঘটেনি, আর তা হলো আশ্বাসের বাস্তবায়ন। শিক্ষার্থীদের দাবি আজ শুধু ২৭/৪ ধারা বাতিল নয়। তারা আজ হল চায়, লাইব্রেরি ও সেমিনারে বই চায়, পর্যাপ্ত পরিবহন সুবিধা চায়, পর্যাপ্ত শিক্ষক চায়। সোজা কথা, উচ্চশিক্ষার সব সুবিধা চায়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ক'টি দাবি এ পর্যন্ত পূরণ হয়েছে? উল্টো শিক্ষার্থীদের মুখ বন্ধ করতে গ্রেফতার করা হচ্ছে। ছাত্ররা গাড়ি ভাংচুর করেছে, পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছে বলে তাদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যারা হামলা করল তাদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো না কেন?
দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা রাজপথে যেটি করেছে সেটি অনভিপ্রেত। সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাস্তবায়ন করা। আর এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের পরিবহন সুবিধা বাড়াতে, লাইব্রেরিতে বই কিনতে কিংবা ইন্টারনেট সুবিধা দিতে তো আর সংসদে আইন পাস করার প্রয়োজন পড়ে না। তাহলে কর্তৃপক্ষের এত কচ্ছপ গতি কেন? এত শিক্ষার্থীর দাবিকে উপেক্ষা করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি_ বেদখলকৃত হল উদ্ধার ও ২৭(৪) ধারা বাতিলের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ। আর এসব সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সরকারের উচ্চমহলের সুদৃষ্টি কামনা করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানে আশ্বাস নয়, বাস্তবায়ন চায়।
মোঃ সোলাইমান হোসেন :শিক্ষার্থী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
No comments