ডিসিসি নির্বাচনের খবরের জের-মহানগর আ. লীগে প্রভাব প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা! by পাভেল হায়দার চৌধুরী
ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) নির্বাচন ঘিরে নিজ নিজ আধিপত্য ও প্রভাব জানান দিতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা এখন তৎপর। এই অভিযোগের আঙুল উঠছে একজন প্রতিমন্ত্রীসহ মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার দিকেও। বৃহস্পতিবার জুরাইনের সমাবেশে সংঘর্ষের যে ঘটনা ঘটে এর নেপথ্যেও কাজ করে প্রভাব বিস্তারের নেতিবাচক রাজনীতি।\ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ
রাজধানীর ১৫টি থানায় জনসভা করার উদ্যোগ নেয়। গত বৃহস্পতিবার জুরাইনের দ্বিতীয় জনসভা পণ্ড হয়। জুরাইনের ওই জনসভায় উপস্থিত হয়েও কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ সমাবেশস্থল ছেড়ে আসতে বাধ্য হন। এখন বাকি জনসভাগুলো নিয়েও কমবেশি অনিশ্চয়তা রয়েছে। এর আগে দুই দফা নগর আওয়ামী লীগ এ ধরনের জনসভার উদ্যোগ নিয়ে সব শেষ করতে পারেনি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে জনমত সৃষ্টি ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাব দিতে মহানগর আওয়ামী লীগ এসব জনসভার উদ্যোগ নেয়। গত ২ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভা করে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। আর প্রথম জনসভা শ্যামপুর-কদমতলী থানায় পণ্ড হয়।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন পদপ্রত্যাশীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্ষমতার প্রভাব দেখাতে এসব বিশৃঙ্খল ঘটনার জন্ম দিতে যাচ্ছেন বলে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আরো অন্তত পাঁচটি থানায় জুরাইন-শ্যামপুরের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ধরনের বিশৃঙ্খল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ কালের কণ্ঠকে জানান, 'জুরাইনের ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় থানার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দুজনের কাছে জানতে চেয়েছি। তাঁদের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন হাতে এলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, জুরাইনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর কোথাও ঘটবে না বলেও জানান তিনি।
শ্যামপুরের ঘটনার নেপথ্যে : জানা গেছে, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও শ্যামপুর-কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সানজিদা খানমের একক আধিপত্য বিস্তারের কারণে ওই এলাকার বহু নেতা-কর্মী দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ। বৃহস্পতিবারের জনসভায়ও সানজিদার আধিপত্য বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট থানার সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনসহ তাঁর অনুসারীদের সাইড লাইনে থাকতে বাধ্য করা হয়। এটা মেনে নিতে পারেনি তোফাজ্জলের অনুসারীরা। এর ফলে জনসভা পণ্ড হয়।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, দয়াগঞ্জ থেকে মীরহাজিরবাগ হয়ে দোলাইরপাড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক নির্মাণকাজের ঘটনা নিয়েও চলছে বিরোধ। রাস্তা নির্মাণ নিয়ে গত বছরের মে মাসে বাধা দেন এমপি সানজিদা খানম। তিনি নিজেই তাঁর দলবল নিয়ে দয়াগঞ্জে কাজ বন্ধ করে দেন। সে সময় বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে দুই দিন পর পুলিশ পাহারায় কাজ শুরু হয়। এর মাত্র এক দিন পর আবারও কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ রাস্তার নির্মাণকাজের ঠিকাদার স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাসান। কাজ বন্ধ হওয়া নিয়ে এলাকায় দুই ধরনের মত আছে। হাসান সমর্থকদের দাবি, এমপি সানজিদা খানম ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিলেন। চাঁদা না দেওয়ার কারণে এমপি সশরীরে এসে কাজ বন্ধ করে দেন। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিএনপির আমলে ছিল তখনকার এমপি সালাহউদ্দিনের সন্ত্রাস, এখন এমপি সানজিদার। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতির লিখিত অভিযোগ এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সানজিদা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে কালের কণ্ঠকে জানান, এসব অপপ্রচার, সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁর বিরোধী পক্ষ এসব অপপ্রচার চালিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেষ্টা করছে। তবে সংশ্লিষ্ট থানার সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, পোস্তগোলা সিএনজি স্টেশন থেকে শুরু করে এ এলাকায় এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে সানজিদা বা তাঁর অনুসারীরা চাঁদা নিচ্ছেন না। তিনি অভিযোগ করেন, জনসভায় সানজিদার ভাই শামীম ভাড়া করা লোকজন আনেন এবং যাঁরা প্রকৃত আওয়ামী ঘরানার তাঁদের সাইড লাইনে রাখতে চান। এ কারণেই জনসভায় এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে।
তোফাজ্জল হোসেন বলেন, 'এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।' তিনি দাবি করেন, সানজিদা এলাকায় এখন সাত তলা একটি বাড়ির মালিক। বনানী, ওয়ারীসহ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সাত-আটটি ফ্ল্যাটের মালিক। সানজিদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গত দুই বছর ধরে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে করা হয়েছে জানিয়ে তোফাজ্জল বলেন, তাতেও কিছু হয়নি।
তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে সানজিদা কালের কণ্ঠকে বলেন, দৌড় সালাহউদ্দিনসহ বিএনপি ঘরানার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কয়েক দিন আগেও বৈঠক করেছেন তোফাজ্জল। জনসভা পণ্ড করেছেন তোফাজ্জল_এ অভিযোগ তুলে সানজিদা বলেন, 'ওর বিচার হবেই। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।'
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে জনমত সৃষ্টি ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাব দিতে মহানগর আওয়ামী লীগ এসব জনসভার উদ্যোগ নেয়। গত ২ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভা করে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। আর প্রথম জনসভা শ্যামপুর-কদমতলী থানায় পণ্ড হয়।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন পদপ্রত্যাশীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্ষমতার প্রভাব দেখাতে এসব বিশৃঙ্খল ঘটনার জন্ম দিতে যাচ্ছেন বলে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আরো অন্তত পাঁচটি থানায় জুরাইন-শ্যামপুরের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ধরনের বিশৃঙ্খল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ কালের কণ্ঠকে জানান, 'জুরাইনের ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় থানার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দুজনের কাছে জানতে চেয়েছি। তাঁদের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন হাতে এলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, জুরাইনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর কোথাও ঘটবে না বলেও জানান তিনি।
শ্যামপুরের ঘটনার নেপথ্যে : জানা গেছে, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও শ্যামপুর-কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সানজিদা খানমের একক আধিপত্য বিস্তারের কারণে ওই এলাকার বহু নেতা-কর্মী দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ। বৃহস্পতিবারের জনসভায়ও সানজিদার আধিপত্য বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট থানার সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনসহ তাঁর অনুসারীদের সাইড লাইনে থাকতে বাধ্য করা হয়। এটা মেনে নিতে পারেনি তোফাজ্জলের অনুসারীরা। এর ফলে জনসভা পণ্ড হয়।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, দয়াগঞ্জ থেকে মীরহাজিরবাগ হয়ে দোলাইরপাড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক নির্মাণকাজের ঘটনা নিয়েও চলছে বিরোধ। রাস্তা নির্মাণ নিয়ে গত বছরের মে মাসে বাধা দেন এমপি সানজিদা খানম। তিনি নিজেই তাঁর দলবল নিয়ে দয়াগঞ্জে কাজ বন্ধ করে দেন। সে সময় বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে দুই দিন পর পুলিশ পাহারায় কাজ শুরু হয়। এর মাত্র এক দিন পর আবারও কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ রাস্তার নির্মাণকাজের ঠিকাদার স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাসান। কাজ বন্ধ হওয়া নিয়ে এলাকায় দুই ধরনের মত আছে। হাসান সমর্থকদের দাবি, এমপি সানজিদা খানম ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিলেন। চাঁদা না দেওয়ার কারণে এমপি সশরীরে এসে কাজ বন্ধ করে দেন। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিএনপির আমলে ছিল তখনকার এমপি সালাহউদ্দিনের সন্ত্রাস, এখন এমপি সানজিদার। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতির লিখিত অভিযোগ এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সানজিদা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে কালের কণ্ঠকে জানান, এসব অপপ্রচার, সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁর বিরোধী পক্ষ এসব অপপ্রচার চালিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেষ্টা করছে। তবে সংশ্লিষ্ট থানার সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, পোস্তগোলা সিএনজি স্টেশন থেকে শুরু করে এ এলাকায় এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে সানজিদা বা তাঁর অনুসারীরা চাঁদা নিচ্ছেন না। তিনি অভিযোগ করেন, জনসভায় সানজিদার ভাই শামীম ভাড়া করা লোকজন আনেন এবং যাঁরা প্রকৃত আওয়ামী ঘরানার তাঁদের সাইড লাইনে রাখতে চান। এ কারণেই জনসভায় এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে।
তোফাজ্জল হোসেন বলেন, 'এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।' তিনি দাবি করেন, সানজিদা এলাকায় এখন সাত তলা একটি বাড়ির মালিক। বনানী, ওয়ারীসহ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সাত-আটটি ফ্ল্যাটের মালিক। সানজিদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গত দুই বছর ধরে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে করা হয়েছে জানিয়ে তোফাজ্জল বলেন, তাতেও কিছু হয়নি।
তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে সানজিদা কালের কণ্ঠকে বলেন, দৌড় সালাহউদ্দিনসহ বিএনপি ঘরানার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কয়েক দিন আগেও বৈঠক করেছেন তোফাজ্জল। জনসভা পণ্ড করেছেন তোফাজ্জল_এ অভিযোগ তুলে সানজিদা বলেন, 'ওর বিচার হবেই। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।'
No comments