মিরসরাই ট্র্যাজেডি মামলা-আইন পরিবর্তন অপরিহার্য
যে অপরাধে ৪৫টি মানুষের প্রাণ গেছে, সেই অপরাধের জন্য সাজা হয়েছে মাত্র দুই বছর আর তিন বছর। কিছু করার নেই। আইন এমনই বিধান ঠিক করে দিয়েছে। এর চেয়ে বেশি শাস্তি প্রদানের সুযোগ নেই। প্রশ্নটা এখানেই। আদালত দেখেছেন, ৪৫টি শিশু কিভাবে প্রাণ হারিয়েছে একজন চালকের অবহেলার কারণে। তারপর আদালত এর বেশি কিছু করতে পারছেন না। কারণ আদালতকে চলতে হয় একান্তই আইনের পথে।
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার পশ্চিম মায়ানি ইউনিয়নের সৈদালি সড়কে ট্রাক উল্টে খাদে পড়ে সেখানে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল সেই চালক, তা আজও মানুষ ভুলতে পারেনি। ওই চালককে সেদিন বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে যাত্রী আহত করার অপরাধে শাস্তি দেওয়া হয় দুই বছরের কারাদণ্ড। অবশ্য সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। আর বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মৃত্যু ঘটানোর কারণে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অর্থদণ্ড দেওয়া হয় ১০ হাজার টাকা।
আদালতের রায় ঘোষণার পর যে প্রতিক্রিয়া আইনজীবী, সন্তানহারা অভিভাবক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন মহল থেকে পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যায়, প্রত্যেকেই এই শাস্তিকে অপরাধের তুলনায় খুবই সামান্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। প্রত্যেকেই আইনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে এতেই তৃপ্তি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এই রায় মৃতদের ফিরিয়ে আনতে পারবে না। যাদের মানসিক অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তাদের অশান্তি দূর করতেও সামান্যই ভূমিকা রাখবে। কিন্তু সাধারণত এ ধরনের মৃত্যুর পর বেশি শাস্তি নিশ্চিত হলে মানুষের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা কমে যায়। অপরাধ করতে মানুষ ভয় পায়। প্রসঙ্গটা এখানেই। দেশের আইনকে এভাবে দুর্বল বানিয়ে কি সড়ক দুর্ঘটনার মতো মারাত্মক ব্যাধি থেকে দেশকে রক্ষা করা যাবে?
সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে শক্তিশালী আইনের পাশাপাশি চালকদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও মানসিকতার পরিবর্তন আনা অপরিহার্য। নূ্যনতম শিক্ষা আছে এমন ব্যক্তি ছাড়া কাউকে ড্রাইভিং লাইসেন্স না দেওয়ার বিধান কার্যকর করা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অপরিহার্য করে তোলা, কোনো যানবাহনেই কমপক্ষে জেএসসি পাসের নিচে কাউকে হেলপার হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া, বিআরটিএকে দুর্নীতিমুক্ত করা, সড়কব্যবস্থা ও সড়ক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করা এবং জনসচেতনতা বাড়ানো এ ধরনের দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে। তা ছাড়া বছরে একবার চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং কোনো ধরনের নেশায় তারা আসক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। অন্তত মিরসরাই ট্র্যাজেডি আমাদের চোখ-কান খুলে দিয়েছে। সেই খোলা চোখে দেখে যেন আর কোনো হত্যাকাণ্ড না ঘটে।
আদালতের রায় ঘোষণার পর যে প্রতিক্রিয়া আইনজীবী, সন্তানহারা অভিভাবক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন মহল থেকে পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যায়, প্রত্যেকেই এই শাস্তিকে অপরাধের তুলনায় খুবই সামান্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। প্রত্যেকেই আইনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে এতেই তৃপ্তি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এই রায় মৃতদের ফিরিয়ে আনতে পারবে না। যাদের মানসিক অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তাদের অশান্তি দূর করতেও সামান্যই ভূমিকা রাখবে। কিন্তু সাধারণত এ ধরনের মৃত্যুর পর বেশি শাস্তি নিশ্চিত হলে মানুষের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা কমে যায়। অপরাধ করতে মানুষ ভয় পায়। প্রসঙ্গটা এখানেই। দেশের আইনকে এভাবে দুর্বল বানিয়ে কি সড়ক দুর্ঘটনার মতো মারাত্মক ব্যাধি থেকে দেশকে রক্ষা করা যাবে?
সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে শক্তিশালী আইনের পাশাপাশি চালকদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও মানসিকতার পরিবর্তন আনা অপরিহার্য। নূ্যনতম শিক্ষা আছে এমন ব্যক্তি ছাড়া কাউকে ড্রাইভিং লাইসেন্স না দেওয়ার বিধান কার্যকর করা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অপরিহার্য করে তোলা, কোনো যানবাহনেই কমপক্ষে জেএসসি পাসের নিচে কাউকে হেলপার হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া, বিআরটিএকে দুর্নীতিমুক্ত করা, সড়কব্যবস্থা ও সড়ক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করা এবং জনসচেতনতা বাড়ানো এ ধরনের দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে। তা ছাড়া বছরে একবার চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং কোনো ধরনের নেশায় তারা আসক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। অন্তত মিরসরাই ট্র্যাজেডি আমাদের চোখ-কান খুলে দিয়েছে। সেই খোলা চোখে দেখে যেন আর কোনো হত্যাকাণ্ড না ঘটে।
No comments