পেনশনভোগী শিক্ষক-হয়রানির সেই পুরনো চিত্র
শিক্ষা যদি হয় জাতির মেরুদণ্ড, তাহলে সেই মেরুদণ্ড সোজা রাখার কাজটি করেন শিক্ষকরা। মানুষ গড়ার কারিগর এই শিক্ষকরা অবসরে যাওয়ার পর যে ভোগান্তির শিকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এমনিতেই আমাদের সমাজব্যবস্থায় শিক্ষকদের অবস্থান খুব একটা সম্মানজনক নয়। জাতির জন্য এটা অবমাননাকর। এই মহৎ পেশাকে ব্রত হিসেবে নেওয়ার পর অবসরভোগী শিক্ষকরা অবসরোত্তর সুবিধাদি, বিশেষ করে পেনশনের টাকা পেতে অশেষ
ভোগান্তির শিকার হন। অনেককেই পেনশনের টাকা পাওয়ার আগেই বিদায় নিতে হয় পৃথিবী থেকে। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে অবসরভোগী শিক্ষকদের সেই করুণ চিত্রই ফুটে উঠেছে।
শিক্ষকতা আসলে পেশা নয়, ব্রত। ব্রত হিসেবে না নিলে ভবিষ্যতের নাগরিক তৈরি করা যায় না। শিক্ষকরা সেই ব্রত সাধন শেষে একটি সম্মানজনক অবসরজীবনের আশা করেন। কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের কারণে তাঁদের শেষ জীবনটা সম্মানজনক হয় না। যাঁরা আদর্শ গড়ে দেন ছাত্রদের মধ্যে, তাঁদেরই সামান্য পেনশনের জন্য ঘুষের মতো একটি ঘৃণ্য পথ ধরতে হয়। এমনিতেই দেশের শিক্ষা বিভাগ নিয়ে নানা রকম গল্প চালু আছে। কিন্তু অবসরভোগী শিক্ষকদের সঙ্গে এ আচরণ কেন? সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শিক্ষকদের অবসরকালীন সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি সহজ করার কথা বারবার বলা হলেও আজ পর্যন্ত তা হয়নি। পেনশন থেকে শুরু করে অন্যান্য পাওনা পাওয়ার ক্ষেত্রে একজন শিক্ষককে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়। শিক্ষকতা থেকে অবসর নেওয়ার পর অবসরকালীন ছুটি শেষে একজন শিক্ষক পেনশনের জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু সেই আবেদনপত্রের সঙ্গে ঘুষের টাকা ধরিয়ে না দিলে তা হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে বলে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর সেই আবেদনপত্র যেখানে যেখানে যাবে, সেখানেই নগদ কিছু খরচ না করলে তা পড়ে থাকবে। সেলামি না দিলে যেকোনো অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাগজ হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। অনেক ক্ষেত্রে আবেদনপত্র চাপা পড়ে থাকে। চাপা পড়া ফাইল টাকার বিনিময়ে দেখে আলোর মুখ। শুধু সরকারি শিক্ষকরাই নন, হয়রানির শিকার হন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও। বেসরকারি শিক্ষকদের কল্যাণ তহবিল এবং অবসর বোর্ডে দিনের পর দিন চাপা পড়ে থাকে শিক্ষকদের আবেদনপত্র। এই অবসর সুবিধা বোর্ডের বিরুদ্ধেও রয়েছে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ। অবসর বোর্ডে ঝুলে আছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর অবসরভাগ্য। বোর্ড কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, টাকার অভাবেই এমনটি হচ্ছে। সরকারের কাছে টাকা চেয়ে পাওয়া গেছে কেবল প্রতিশ্রুতি; টাকা পাওয়া যায়নি। এর পাশাপাশি আছে শিক্ষকদের আবেদনপত্রের ত্রুটি খুঁজে বের করা। ঘুষবাণিজ্যের পথ সুগম করার জন্যই এটা করা হয় বলে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অভিযোগ।
শিক্ষকদের পেনশন সুবিধাদি সহজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু তাঁর সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষকদের অবসরকালীন সুবিধাদি পাওয়ার পথ এখনো দুর্গম। নিয়মের বেড়াজাল আর সংশ্লিষ্ট বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণে অনেক শিক্ষক যথাসময়ে অবসরকালীন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হয়রানির এই পুরনো চিত্র বদলে ফেলতে সদিচ্ছা প্রয়োজন। তবে সবার আগে বদলে ফেলতে হবে পুরনো নিয়ম। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের অবসরকালে কেন প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে?
শিক্ষকতা আসলে পেশা নয়, ব্রত। ব্রত হিসেবে না নিলে ভবিষ্যতের নাগরিক তৈরি করা যায় না। শিক্ষকরা সেই ব্রত সাধন শেষে একটি সম্মানজনক অবসরজীবনের আশা করেন। কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের কারণে তাঁদের শেষ জীবনটা সম্মানজনক হয় না। যাঁরা আদর্শ গড়ে দেন ছাত্রদের মধ্যে, তাঁদেরই সামান্য পেনশনের জন্য ঘুষের মতো একটি ঘৃণ্য পথ ধরতে হয়। এমনিতেই দেশের শিক্ষা বিভাগ নিয়ে নানা রকম গল্প চালু আছে। কিন্তু অবসরভোগী শিক্ষকদের সঙ্গে এ আচরণ কেন? সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শিক্ষকদের অবসরকালীন সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি সহজ করার কথা বারবার বলা হলেও আজ পর্যন্ত তা হয়নি। পেনশন থেকে শুরু করে অন্যান্য পাওনা পাওয়ার ক্ষেত্রে একজন শিক্ষককে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়। শিক্ষকতা থেকে অবসর নেওয়ার পর অবসরকালীন ছুটি শেষে একজন শিক্ষক পেনশনের জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু সেই আবেদনপত্রের সঙ্গে ঘুষের টাকা ধরিয়ে না দিলে তা হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে বলে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর সেই আবেদনপত্র যেখানে যেখানে যাবে, সেখানেই নগদ কিছু খরচ না করলে তা পড়ে থাকবে। সেলামি না দিলে যেকোনো অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাগজ হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। অনেক ক্ষেত্রে আবেদনপত্র চাপা পড়ে থাকে। চাপা পড়া ফাইল টাকার বিনিময়ে দেখে আলোর মুখ। শুধু সরকারি শিক্ষকরাই নন, হয়রানির শিকার হন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও। বেসরকারি শিক্ষকদের কল্যাণ তহবিল এবং অবসর বোর্ডে দিনের পর দিন চাপা পড়ে থাকে শিক্ষকদের আবেদনপত্র। এই অবসর সুবিধা বোর্ডের বিরুদ্ধেও রয়েছে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ। অবসর বোর্ডে ঝুলে আছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর অবসরভাগ্য। বোর্ড কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, টাকার অভাবেই এমনটি হচ্ছে। সরকারের কাছে টাকা চেয়ে পাওয়া গেছে কেবল প্রতিশ্রুতি; টাকা পাওয়া যায়নি। এর পাশাপাশি আছে শিক্ষকদের আবেদনপত্রের ত্রুটি খুঁজে বের করা। ঘুষবাণিজ্যের পথ সুগম করার জন্যই এটা করা হয় বলে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অভিযোগ।
শিক্ষকদের পেনশন সুবিধাদি সহজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু তাঁর সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষকদের অবসরকালীন সুবিধাদি পাওয়ার পথ এখনো দুর্গম। নিয়মের বেড়াজাল আর সংশ্লিষ্ট বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণে অনেক শিক্ষক যথাসময়ে অবসরকালীন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হয়রানির এই পুরনো চিত্র বদলে ফেলতে সদিচ্ছা প্রয়োজন। তবে সবার আগে বদলে ফেলতে হবে পুরনো নিয়ম। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের অবসরকালে কেন প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে?
No comments