নোবেল পুরস্কার বিতরণ আজ by সাব্বির রহমান খান
আজ ১০ ডিসেম্বর, ডিনামাইটের আবিষ্কারক বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকী। প্রতিবছর এই দিনে নোবেলের স্মরণে জমকালো আয়োজনে নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় সারা বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটছে না। স্টকহোমের কনসার্ট হাউসে আজ সকাল ১০টায় ২০১১ সালের নোবেল বিজয়ীদের প্রথাগতভাবে জানানো হবে বিশেষ অভ্যর্থনা। তারপর বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে পুরস্কার বিতরণ
অনুষ্ঠান।\সুইডেনের রাজা কার্ল গুস্তফ সপরিবারে উপস্থিত থেকে নোবেল পুরস্কার বিতরণ করবেন। এ ছাড়া উপস্থিত থাকবেন সুইডেনের মন্ত্রিপরিষদ ও পার্লামেন্টের সদস্যরা, নোবেল বিজয়ীদের আত্মীয়স্বজন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সুইডিশ পার্লামেন্ট সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো একটি প্রথা। কিন্তু বর্তমান সংসদের উগ্র-ডানপন্থী দলের ২০ সদস্য নোবেলের নীতি অনুযায়ী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি। তবে অন্যান্য দলের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে প্রথা অনুযায়ী আজই নরওয়ের রাজধানী অসলোতে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিতরণ করবেন সে দেশের রাজা হারাল্ড।
সুইডেনের আরেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব প্রয়াত আস্ত্রিদ লিন্দগ্রেন, যিনি শিশুসাহিত্যের জন্য বিশ্বে বিশেষভাবে পরিচিত, তাঁর শততম জন্মবার্ষিকীও এ বছর। সে কারণে নোবেল কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্টকহোমের এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের পুরো থিম বা বিষয় হিসেবে থাকছে আস্ত্রিদ লিন্দগ্রেনের সাহিত্যকর্মের অসাধারণ প্রতিচ্ছায়া। অনুষ্ঠানে সুরের মূর্ছনা ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে সুইডেনের রয়াল ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রা। একক সংগীতের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্বখ্যাত অপেরাশিল্পী পাওলিনা ফাইফার, সরপান ও ফ্রাঞ্জ লেহারকে। প্রতিবছরের মতো এবারও পুরো কনসার্ট হল সাজানো হবে তাজা ফুলের সমারোহে। অনুষ্ঠানের থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্বাচন করা হবে ফুলের রং। আস্ত্রিদ লিন্দগ্রেনের থিমের সঙ্গে মিল রেখে তাই এবারের ফুলের রং হবে সাদা ও হলুদ।
পুরস্কার তুলে দেওয়ার আগে বিভিন্ন বিভাগের কমিটি প্রধান বিজয়ীর অসাধারণ কাজের সফলতার ওপর আলোকপাত করবেন। এরপর রাজা কার্ল গুস্তফ বিজয়ীর হাতে তুলে দেবেন নোবেল পুরস্কার। পুরস্কার বিতরণ শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মানে আয়োজিত রাজকীয় ভোজসভায় যোগ দেবেন রাজা। খাদ্যের তালিকায় থাকবে রাজকীয়তার ছাপ। ভোজ শেষে শুরু হবে জমকালো বলনাচের আসর। পরিবেশন করা হবে সুমিষ্ট পানীয়। অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত গভীরে গড়াবে।
নোবেল পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে অনুষ্ঠানাদি মূলত ৫ ডিসেম্বরই শুরু হয়ে গেছে। অফিসিয়ালি তা শেষ হবে ১২ ডিসেম্বর। এই পুরো সময়টাকে বলা হয় 'নোবেল সপ্তাহ'। সপ্তাহজুড়ে থাকে বিভিন্ন সভা-সেমিনার, সংবাদ সম্মেলন, বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য স্থান পরিদর্শন, সাক্ষাৎকার দেওয়া ইত্যাদি। ১২ তারিখ নোবেল বিজয়ীদের আলাদা আলাদাভাবে নোবেল ফাউন্ডেশন পরিদর্শনের মাধ্যমে শেষ হয় নোবেল সপ্তাহ। এরপর তাঁরা ফিরে যান নিজ নিজ গন্তব্যে।
২০১১ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জয় করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, লুঙ্মেবার্গ ও কানাডার তিনজন_ব্রুস বাটলার, জুলস হফম্যান ও রালফ স্টেইনম্যান। পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিজ্ঞানী সাউল পের্লমাটার, ব্রায়ান পি স্মিথ ও অ্যাডাম রাইস। রসায়নে নোবেল জয় করেছেন ইসরায়েলের বিজ্ঞানী ডানিয়েল শেচম্যান। সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন সুইডেনের খ্যাতিমান কবি থোমাস ত্রান্সত্রোম্মের। লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন সিরলেফ, একই দেশের নাগরিক লেয়মা জিবোই ও ইয়ামেনের নারীবাদী নেত্রী তাওয়াকুল কারমান পেয়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। দ্য ব্যাংক অব সুইডেন প্রদত্ত আলফ্রেড নোবেল স্মৃতি অর্থনীতি পুরস্কার বিজয়ী দুজন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদ থোমাস জে সারজেন্ট ও ক্রিস্টোফার এ সিমস। পুরস্কার হিসেবে প্রতি বিজয়ী পাচ্ছেন একটি করে স্বর্ণপদক, সনদপত্র ও ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনারের একটি চেক। প্রাইজমানির ক্ষেত্রে একাধিক বিজয়ী হলে তাঁরা ১০ লাখ ক্রোনার ভাগাভাগি করে নেবেন।
এদিকে প্রথা অনুযায়ী আজই নরওয়ের রাজধানী অসলোতে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিতরণ করবেন সে দেশের রাজা হারাল্ড।
সুইডেনের আরেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব প্রয়াত আস্ত্রিদ লিন্দগ্রেন, যিনি শিশুসাহিত্যের জন্য বিশ্বে বিশেষভাবে পরিচিত, তাঁর শততম জন্মবার্ষিকীও এ বছর। সে কারণে নোবেল কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্টকহোমের এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের পুরো থিম বা বিষয় হিসেবে থাকছে আস্ত্রিদ লিন্দগ্রেনের সাহিত্যকর্মের অসাধারণ প্রতিচ্ছায়া। অনুষ্ঠানে সুরের মূর্ছনা ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে সুইডেনের রয়াল ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রা। একক সংগীতের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্বখ্যাত অপেরাশিল্পী পাওলিনা ফাইফার, সরপান ও ফ্রাঞ্জ লেহারকে। প্রতিবছরের মতো এবারও পুরো কনসার্ট হল সাজানো হবে তাজা ফুলের সমারোহে। অনুষ্ঠানের থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্বাচন করা হবে ফুলের রং। আস্ত্রিদ লিন্দগ্রেনের থিমের সঙ্গে মিল রেখে তাই এবারের ফুলের রং হবে সাদা ও হলুদ।
পুরস্কার তুলে দেওয়ার আগে বিভিন্ন বিভাগের কমিটি প্রধান বিজয়ীর অসাধারণ কাজের সফলতার ওপর আলোকপাত করবেন। এরপর রাজা কার্ল গুস্তফ বিজয়ীর হাতে তুলে দেবেন নোবেল পুরস্কার। পুরস্কার বিতরণ শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মানে আয়োজিত রাজকীয় ভোজসভায় যোগ দেবেন রাজা। খাদ্যের তালিকায় থাকবে রাজকীয়তার ছাপ। ভোজ শেষে শুরু হবে জমকালো বলনাচের আসর। পরিবেশন করা হবে সুমিষ্ট পানীয়। অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত গভীরে গড়াবে।
নোবেল পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে অনুষ্ঠানাদি মূলত ৫ ডিসেম্বরই শুরু হয়ে গেছে। অফিসিয়ালি তা শেষ হবে ১২ ডিসেম্বর। এই পুরো সময়টাকে বলা হয় 'নোবেল সপ্তাহ'। সপ্তাহজুড়ে থাকে বিভিন্ন সভা-সেমিনার, সংবাদ সম্মেলন, বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য স্থান পরিদর্শন, সাক্ষাৎকার দেওয়া ইত্যাদি। ১২ তারিখ নোবেল বিজয়ীদের আলাদা আলাদাভাবে নোবেল ফাউন্ডেশন পরিদর্শনের মাধ্যমে শেষ হয় নোবেল সপ্তাহ। এরপর তাঁরা ফিরে যান নিজ নিজ গন্তব্যে।
২০১১ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জয় করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, লুঙ্মেবার্গ ও কানাডার তিনজন_ব্রুস বাটলার, জুলস হফম্যান ও রালফ স্টেইনম্যান। পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিজ্ঞানী সাউল পের্লমাটার, ব্রায়ান পি স্মিথ ও অ্যাডাম রাইস। রসায়নে নোবেল জয় করেছেন ইসরায়েলের বিজ্ঞানী ডানিয়েল শেচম্যান। সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন সুইডেনের খ্যাতিমান কবি থোমাস ত্রান্সত্রোম্মের। লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন সিরলেফ, একই দেশের নাগরিক লেয়মা জিবোই ও ইয়ামেনের নারীবাদী নেত্রী তাওয়াকুল কারমান পেয়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। দ্য ব্যাংক অব সুইডেন প্রদত্ত আলফ্রেড নোবেল স্মৃতি অর্থনীতি পুরস্কার বিজয়ী দুজন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদ থোমাস জে সারজেন্ট ও ক্রিস্টোফার এ সিমস। পুরস্কার হিসেবে প্রতি বিজয়ী পাচ্ছেন একটি করে স্বর্ণপদক, সনদপত্র ও ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনারের একটি চেক। প্রাইজমানির ক্ষেত্রে একাধিক বিজয়ী হলে তাঁরা ১০ লাখ ক্রোনার ভাগাভাগি করে নেবেন।
No comments