বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে অহরহ-এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের বিবৃতি
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কঠোর সমালোচনা করেছে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (এএইচআরসি)। সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অহরহ ঘটছে এবং অনেক ভুক্তভোগী বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না। মানবাধিকারের বিবেচনায় রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের দেউলিয়াপনা প্রকাশ পাচ্ছে। আজ শনিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার
দিবসকে সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার সংস্থাটি এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে। সংস্থার ওয়েবসাইটে এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এ বছরের শেষের দিকে সংস্থাটি চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করবে।
এএইচআরসি বলেছে, বাংলাদেশে একটি সংস্থার সদস্যদের দিয়ে অপহরণ, হেফাজতে রেখে নির্যাতন, বিচার বহির্ভূত হত্যা, গোপন হত্যা, অবৈধ গ্রেফতার, ডিটেনশন এবং সাজানো অভিযোগ দায়েরের ঘটনা অব্যাহত আছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় খুব কম ক্ষেত্রেই। অভিযোগ গ্রহণ, দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা এবং সুষ্ঠু বিচারের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আদৌ কাজ করছে না।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের লড়াই করতে হচ্ছে। সরকারবিরোধী সমাবেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আক্রমণ চালাচ্ছে। মানবাধিকার রক্ষায় সোচ্চার কর্মীরাও আক্রমণের শিকার হচ্ছেন এবং নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্নভাবে তাদের হয়রানি করছে।
নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সাধারণত অস্বীকার করে থাকে এবং যারা অভিযোগ করেন তাদের আরও হয়রানির শিকার হতে হয়। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ক্ষমতাসীনরা দায়ী ব্যক্তিদের পক্ষ নেন এবং তাদের দণ্ড মওকুফ করে দেন। বিরোধী দল এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট অঙ্গীকার করে না, বরং ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগলাভের আশায় সরকারের সমালোচনা করা যায়_ এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির অপেক্ষায় থাকে।
সরকারের প্রভাবশালীরা সাধারণত লোক দেখানো অঙ্গীকার প্রকাশে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকেন। এমনকি মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের রক্ষায় তারা ভূমিকা নেন।
বাস্তব সত্য হচ্ছে, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হন তারা সান্ত্বনা পাওয়ার জন্য যেতে পারেন_ এমন কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার পাওয়ারও সুযোগ থাকে না তাদের। মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে ক্ষমতাসীনদের অঙ্গীকার বছরের পর বছর অপূর্ণই থেকে যায়।
২০১১ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কার্যকর আইন নেই। এ ব্যাপারে একটি বিলের পক্ষে সংসদীয় কমিটি মত দিলেও বিষয়টি দু'বছরের বেশি সময় ধরে ঝুলে আছে।
যারা নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের বক্তব্য শোনার জন্য সুশীল সমাজ ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এএইচআরসি। সংস্থাটি বলেছে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অকার্যকর প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।
এএইচআরসি বলেছে, বাংলাদেশে একটি সংস্থার সদস্যদের দিয়ে অপহরণ, হেফাজতে রেখে নির্যাতন, বিচার বহির্ভূত হত্যা, গোপন হত্যা, অবৈধ গ্রেফতার, ডিটেনশন এবং সাজানো অভিযোগ দায়েরের ঘটনা অব্যাহত আছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় খুব কম ক্ষেত্রেই। অভিযোগ গ্রহণ, দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা এবং সুষ্ঠু বিচারের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আদৌ কাজ করছে না।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের লড়াই করতে হচ্ছে। সরকারবিরোধী সমাবেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আক্রমণ চালাচ্ছে। মানবাধিকার রক্ষায় সোচ্চার কর্মীরাও আক্রমণের শিকার হচ্ছেন এবং নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্নভাবে তাদের হয়রানি করছে।
নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সাধারণত অস্বীকার করে থাকে এবং যারা অভিযোগ করেন তাদের আরও হয়রানির শিকার হতে হয়। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ক্ষমতাসীনরা দায়ী ব্যক্তিদের পক্ষ নেন এবং তাদের দণ্ড মওকুফ করে দেন। বিরোধী দল এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট অঙ্গীকার করে না, বরং ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগলাভের আশায় সরকারের সমালোচনা করা যায়_ এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির অপেক্ষায় থাকে।
সরকারের প্রভাবশালীরা সাধারণত লোক দেখানো অঙ্গীকার প্রকাশে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকেন। এমনকি মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের রক্ষায় তারা ভূমিকা নেন।
বাস্তব সত্য হচ্ছে, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হন তারা সান্ত্বনা পাওয়ার জন্য যেতে পারেন_ এমন কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার পাওয়ারও সুযোগ থাকে না তাদের। মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে ক্ষমতাসীনদের অঙ্গীকার বছরের পর বছর অপূর্ণই থেকে যায়।
২০১১ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কার্যকর আইন নেই। এ ব্যাপারে একটি বিলের পক্ষে সংসদীয় কমিটি মত দিলেও বিষয়টি দু'বছরের বেশি সময় ধরে ঝুলে আছে।
যারা নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের বক্তব্য শোনার জন্য সুশীল সমাজ ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এএইচআরসি। সংস্থাটি বলেছে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অকার্যকর প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।
No comments