আঙুলের ছাপযুক্ত স্মার্ট কার্ড-ঢাকার বিড়ম্বনা এড়াতে জনস্রোত চট্টগ্রামে by আসিফ সিদ্দিকী
জনশক্তি রপ্তানিতে পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধে 'স্মার্ট কার্ড' চালুর উদ্যোগটি ফলপ্রসূ হতে শুরু করেছে। আঙুলের ছাপযুক্ত এই পাসপোর্ট চালুর পর জালিয়াতি অনেকটাই কমে গেছে। কিন্তু বিদেশগামী মানুষ ঢাকায় আঙুলের ছাপ দিতে এসে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় মেশিন কম থাকায় দিনভর লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে আঙুলের ছাপ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এ অবস্থায় ঢাকার মানুষ ছুটছে চট্টগ্রামের দিকে। হিমশিম খাচ্ছেন সেখানকার জনশক্তি ব্যুরোর
কর্মকর্তারাও। রাজধানীর জনশক্তি কার্যালয়ে বসানো ফিংগার প্রিন্ট মেশিন চাহিদা মেটাতে পারছে না। এখানে আঙুলের ছাপ দিতে আসা মানুষের দীর্ঘ লাইন লেগে থাকছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। ক্ষেত্রবিশেষে লেগে যাচ্ছে কয়েক দিন। এ অবস্থায় তুলনামূলক ঢাকার কাছের জেলা কুমিল্লা ও আশপাশ এলাকার মানুষও ছুটছে চট্টগ্রামে। গত ১৭ নভেম্বর ফিংগার প্রিন্ট মেশিন চালুর পর থেকেই এখানে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।
কুমিল্লা থেকে আসা আফসারুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ঢাকায় গিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আঙুলের ছাপ দেওয়ার চেয়ে চট্টগ্রাম অনেক ভালো। দিনের এসে কাজ শেষে দিনেই বাড়ি ফেরা যায়। ফলে সময় ও অর্থ দুটিই বাঁচে।'
ফেনী, নোয়াখালী থেকে শুরু করে কঙ্বাজার পর্যন্ত বিদেশগামীরা জনশক্তি অফিসের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ আঞ্চলিক কার্যালয়ে আসছেন। এখানে স্থাপিত দুটি ফিংগার প্রিন্ট মেশিনে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ বিদেশগামী আঙুলের ছাপ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর দুই কর্মকর্তা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই কাজ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাঁদেরই একজন মাহেন্দ্র চাকমা বলেন, 'মেশিনে আঙুলের ছাপ নেওয়া ছাড়াও চার ধরনের তথ্য ডাটাবেজে অনলাইনে সংগ্রহ করা হচ্ছে। উদ্বোধনের পর ২০ অক্টোবর ২৭২ জন আঙুলের ছাপ দিয়েছেন। এরপর ক্রমে বেড়ে ৫ ডিসেম্বর তা ৫২৮ জনে দাঁড়ায়।'
চট্টগ্রাম জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, 'চাহিদা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম অফিসে জনবল বৃদ্ধি, আরো দুটি মেশিন স্থাপন এবং বিকল্প ইন্টারনেট সংযোগের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন পেলে এখানে সেবার পরিধি বাড়ানো সম্ভব হবে। ভবিষ্যতে এখান থেকেই স্মার্ট কার্ড দেওয়া যাবে।'
জনশক্তি রপ্তানির কাজে সরকারি পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে এই স্মার্ট কার্ড কম্পিউটারে যাচাই করে নিশ্চিত করায় পাসপোর্ট জালিয়াতি একেবারেই কমে গেছে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেন, 'বিদেশগামীদের জন্য চট্টগ্রাম থেকেই ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছি। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে স্মার্ট কার্ড চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।'
কুমিল্লা থেকে আসা আফসারুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ঢাকায় গিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আঙুলের ছাপ দেওয়ার চেয়ে চট্টগ্রাম অনেক ভালো। দিনের এসে কাজ শেষে দিনেই বাড়ি ফেরা যায়। ফলে সময় ও অর্থ দুটিই বাঁচে।'
ফেনী, নোয়াখালী থেকে শুরু করে কঙ্বাজার পর্যন্ত বিদেশগামীরা জনশক্তি অফিসের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ আঞ্চলিক কার্যালয়ে আসছেন। এখানে স্থাপিত দুটি ফিংগার প্রিন্ট মেশিনে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ বিদেশগামী আঙুলের ছাপ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর দুই কর্মকর্তা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই কাজ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাঁদেরই একজন মাহেন্দ্র চাকমা বলেন, 'মেশিনে আঙুলের ছাপ নেওয়া ছাড়াও চার ধরনের তথ্য ডাটাবেজে অনলাইনে সংগ্রহ করা হচ্ছে। উদ্বোধনের পর ২০ অক্টোবর ২৭২ জন আঙুলের ছাপ দিয়েছেন। এরপর ক্রমে বেড়ে ৫ ডিসেম্বর তা ৫২৮ জনে দাঁড়ায়।'
চট্টগ্রাম জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, 'চাহিদা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম অফিসে জনবল বৃদ্ধি, আরো দুটি মেশিন স্থাপন এবং বিকল্প ইন্টারনেট সংযোগের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন পেলে এখানে সেবার পরিধি বাড়ানো সম্ভব হবে। ভবিষ্যতে এখান থেকেই স্মার্ট কার্ড দেওয়া যাবে।'
জনশক্তি রপ্তানির কাজে সরকারি পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে এই স্মার্ট কার্ড কম্পিউটারে যাচাই করে নিশ্চিত করায় পাসপোর্ট জালিয়াতি একেবারেই কমে গেছে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেন, 'বিদেশগামীদের জন্য চট্টগ্রাম থেকেই ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছি। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে স্মার্ট কার্ড চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।'
No comments