ব্যাকটেরিয়ার চিড়িয়াখানা
মানবদেহে যত রোগব্যাধি হয়, তার বেশিরভাগই হয় ব্যাকটেরিয়া দ্বারা। আর এই ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করার জন্য ডাক্তাররা ব্যবহার করে থাকেন বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। যেমন কোট্রিম থেকে শুরু করে অ্যামোক্সিসিলিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন ও সেফট্রিয়াক্সোন এবং সেফিপ্রাইম ইনজেকশন। এসব অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেসব ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়, যেসব ব্যাকটেরিয়া বা অর্গানিজম আমাদের
দেহের জন্য ক্ষতিকর বা রোগ সৃষ্টি করে। তাই বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাকটেরিয়া দুই ভাগে বিভক্ত_ ১. মানবদেহের জন্য উপকারী ও ২. মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া।
বিজ্ঞানী এলিজাবেথ কপ্টিলো গবেষণা করেছেন এই ব্যাকটেরিয়া নিয়ে। তিনি বলেছেন, আমাদের দেহে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিদিন আমাদের উপকারই করে থাকে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দরকার।
কীভাবে এই ব্যাকটেরিয়াগুলো মানবদেহে বেঁচে থাকে, তা জানার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী কপ্টিলো কয়েক বছর ধরে চেষ্টা ও গবেষণা করে যাচ্ছেন। ১০ স্বেচ্ছাসেবীর ত্বক, নাক, বগল, মুখ, এমন কি মলের নমুনা থেকে কয়েকবার করে ব্যাকটেরিয়া নিয়েছেন তিনি। তিনি ও তার সহকর্মীরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করে ব্যাকটেরিয়ার শ্রেণীভুক্ত ও প্রকারভেদ করেছেন। ওই বিজ্ঞানী বলেছেন, আমরা আশ্চর্য হয়েছি মানুষের দেহে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলোর বিশাল বৈচিত্র্য দেখে। মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গের ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন ধরনের। মানবদেহ যেন ব্যাকটেরিয়ার চিড়িয়াখানা। হরেক রকম ব্যাকটেরিয়ার বাস দেহের বিভিন্ন জায়গায়। যা মানবদেহের একান্ত ও নিজস্ব জীবাণু, যার সঙ্গে অন্য ব্যাকটেরিয়ার কোনো মিল নেই। বিজ্ঞানী কপ্টিলো বলেছেন, আমাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার যে বিশাল বাহিনী বসবাস করে, তা আমাদের সঙ্গেই থাকে প্রতিদিন ও সব সময়।
হএবিএম সাইফুল ইসলাম গাজী
সূত্র : ভি ও এ আমেরিকা
বিজ্ঞানী এলিজাবেথ কপ্টিলো গবেষণা করেছেন এই ব্যাকটেরিয়া নিয়ে। তিনি বলেছেন, আমাদের দেহে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিদিন আমাদের উপকারই করে থাকে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দরকার।
কীভাবে এই ব্যাকটেরিয়াগুলো মানবদেহে বেঁচে থাকে, তা জানার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী কপ্টিলো কয়েক বছর ধরে চেষ্টা ও গবেষণা করে যাচ্ছেন। ১০ স্বেচ্ছাসেবীর ত্বক, নাক, বগল, মুখ, এমন কি মলের নমুনা থেকে কয়েকবার করে ব্যাকটেরিয়া নিয়েছেন তিনি। তিনি ও তার সহকর্মীরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করে ব্যাকটেরিয়ার শ্রেণীভুক্ত ও প্রকারভেদ করেছেন। ওই বিজ্ঞানী বলেছেন, আমরা আশ্চর্য হয়েছি মানুষের দেহে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলোর বিশাল বৈচিত্র্য দেখে। মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গের ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন ধরনের। মানবদেহ যেন ব্যাকটেরিয়ার চিড়িয়াখানা। হরেক রকম ব্যাকটেরিয়ার বাস দেহের বিভিন্ন জায়গায়। যা মানবদেহের একান্ত ও নিজস্ব জীবাণু, যার সঙ্গে অন্য ব্যাকটেরিয়ার কোনো মিল নেই। বিজ্ঞানী কপ্টিলো বলেছেন, আমাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার যে বিশাল বাহিনী বসবাস করে, তা আমাদের সঙ্গেই থাকে প্রতিদিন ও সব সময়।
হএবিএম সাইফুল ইসলাম গাজী
সূত্র : ভি ও এ আমেরিকা
No comments