ট্রানজিটের প্রতিবাদে সমাবেশ-তিতাসের বাঁধ কেটে ফেলার হুমকি
বর্তমান সরকারকে ভারতের দালাল উল্লেখ করে এ সরকারকে উৎখাতে গণ-অভ্যুত্থানের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেছেন, ভারতকে ট্রানজিটের নামে করিডর দেওয়া হয়েছে। ট্রানজিট দিতে গিয়ে তিতাস নদীসহ ২৭টি স্থানে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আখাউড়ায় এক হাজার গাড়িতে করে ছয়-সাত হাজার লোক নিয়ে এসে তিতাসের বাঁধ কেটে ফেলা হবে বলে হুমকি দেন তিনি।
\গতকাল শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান এ কথা বলেন। ট্রানজিটের নামে করিডর দেওয়ার প্রতিবাদে আখাউড়ার গাজীর বাজারে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে মাহমুদুর রহমান বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় আখাউড়ার কথা শুনতাম। আজ আখাউড়ায় এসেছি আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিতে। বর্তমান সরকার দেশের স্বাধীনতা বিলিয়ে দিয়েছে। তাই আমাদের দেশ রক্ষার আরেকটি যুদ্ধে নামতে হবে।'
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ভারতের কাছে দেশকে বিকিয়ে দিয়েছে। ট্রানজিটের নামে যে করিডর দেওয়া হচ্ছে, তা বাংলার জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।
ট্রানজিটের নামে করিডর দেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল ঢাকা-আশুগঞ্জ-আখাউড়া রোডমার্চের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। সকাল ৮টায় ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে প্রায় ৮০টি গাড়ি নিয়ে রোডমার্চের বহর রওনা হয়। দুপুরে পথিমধ্যে নেতারা আশুগঞ্জ নৌবন্দর পরিদর্শন শেষে গোল চত্বরে সমাবেশে মিলিত হন। বিকেল সাড়ে ৩টায় গাড়িবহর আখাউড়ায় এসে পেঁৗছায়। আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকা পরিদর্শন শেষে পেশাজীবী পরিষদের নেতারা প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন।
আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোসলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় মাহমুদুর রহমান ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য মুশফিকুর রহমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, ডা. জাহিদ হোসেন, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, শবনম মুশতারী, আ ন হ আক্তার হোসেন, চাষী নজরুল ইসলাম, শাম্মী আক্তার, মনির খান, ওবায়দুল ইসলাম, আবদুল হাই সিকদার, কে এম এ মালিক, আবদুল মান্নান মিয়া, হাসান জাকির তুহিন, ইউসুফ সারোয়ার, আবদুল জলিল, শাহাদাত হোসেন লিটন, তাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
No comments