রোকেয়াকে নানা আয়োজনে স্মরণ-'কন্যাদিগকে সুশিক্ষা দিয়া ছাড়িয়া দাও, তারা ভাগ্য গড়িয়া নিবে'
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, 'প্রতিদিন বিশ্বে তিনজন নারীর মধ্যে একজন নারী কোনো না কোনভাবে নির্যাতনের শিকার হন। আর নারী নির্যাতন বন্ধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাতে হয়। আমরা আর এ ধরনের কার্যক্রম চালাতে চাই না। চাই নারী নির্যাতনমুক্ত সুখী ও সমৃদ্ধ একটি বাংলাদেশ গড়তে। এ জন্য তরুণ প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।'
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল যৌথভাবে আয়োজিত বেগম রোকেয়া দিবস ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে সেমিনার, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বেগম রোকেয়ার শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নারীর জন্য সম সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান। তিনি বেগম রোকেয়াকে উদ্ধৃত করে বলেন 'তোমরা তোমাদের কন্যাদিগকে সুশিক্ষা দিয়া ছাড়িয়া দাও, তারা নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য গড়িয়া নিবে।'
'তরুণ প্রজন্মের কাছে বেগম রোকেয়ার আদর্শ তুলে ধরা এবং জেন্ডার সমতা বিষয়ে তাদের চিন্তা চেতনা' জানার জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গতকাল তরুণদের নিয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করে। ঢাকা শহরের ১৫টি স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে তরুণ প্রজন্ম তাদের মতামত তুলে ধরে। ওই বিষয়ের ওপর রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও শ্রেষ্ঠ তিনজন বক্তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক উল ইসলাম, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের সহকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. নূর মোহাম্মদ।
বিপ্লবী নারী সংহতি : রোকেয়া দিবস উপলক্ষে 'নারীর ওপর যৌন নিপীড়ন ও সহিংসতার বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন' শীর্ষক বিপ্লবী নারী সংহতি দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করেছে। সকাল ৯টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের 'রোকেয়া বেদি'তে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়। বিকেলে পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্রের সব পরিসরে নারী-পুরুষের সমানাধিকারের বিভিন্ন দাবিতে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা শেষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সমন্বয়ক শ্যামলী শীলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সায়মা খাতুন ও নাসরিন খন্দকার, ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শিক্ষক সঙ্গীতা ইসলাম, নারী সংহতির সহসমন্বয়ক তাসলিমা আখতার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অপরাজিতা দেব, কেরানীগঞ্জ শাখার সংগঠক মর্জিনা বেগম, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আবুল হাসান রুবেল প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন বিপ্লবী নারী সংহতির কেন্দ্রীয় সদস্য জান্নাতুল মরিয়ম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট-লুটেরা-পুঁজিবাদী-পুরুষতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নারী নির্যাতন ও নিপীড়ন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ধর্ষণ, নারী হত্যা, এসিড নিক্ষেপ ও অন্যান্য পারিবারিক নির্যাতনের মাত্রা এবং ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার নির্যাতিত নারীর বিপরীতে প্রকারান্তরে ধর্ষক ও নিপীড়ককে আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিচ্ছে।
'তরুণ প্রজন্মের কাছে বেগম রোকেয়ার আদর্শ তুলে ধরা এবং জেন্ডার সমতা বিষয়ে তাদের চিন্তা চেতনা' জানার জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গতকাল তরুণদের নিয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করে। ঢাকা শহরের ১৫টি স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে তরুণ প্রজন্ম তাদের মতামত তুলে ধরে। ওই বিষয়ের ওপর রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও শ্রেষ্ঠ তিনজন বক্তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক উল ইসলাম, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের সহকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. নূর মোহাম্মদ।
বিপ্লবী নারী সংহতি : রোকেয়া দিবস উপলক্ষে 'নারীর ওপর যৌন নিপীড়ন ও সহিংসতার বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন' শীর্ষক বিপ্লবী নারী সংহতি দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করেছে। সকাল ৯টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের 'রোকেয়া বেদি'তে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়। বিকেলে পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্রের সব পরিসরে নারী-পুরুষের সমানাধিকারের বিভিন্ন দাবিতে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা শেষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সমন্বয়ক শ্যামলী শীলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সায়মা খাতুন ও নাসরিন খন্দকার, ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শিক্ষক সঙ্গীতা ইসলাম, নারী সংহতির সহসমন্বয়ক তাসলিমা আখতার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অপরাজিতা দেব, কেরানীগঞ্জ শাখার সংগঠক মর্জিনা বেগম, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আবুল হাসান রুবেল প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন বিপ্লবী নারী সংহতির কেন্দ্রীয় সদস্য জান্নাতুল মরিয়ম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট-লুটেরা-পুঁজিবাদী-পুরুষতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নারী নির্যাতন ও নিপীড়ন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ধর্ষণ, নারী হত্যা, এসিড নিক্ষেপ ও অন্যান্য পারিবারিক নির্যাতনের মাত্রা এবং ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার নির্যাতিত নারীর বিপরীতে প্রকারান্তরে ধর্ষক ও নিপীড়ককে আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিচ্ছে।
No comments