লজ্জাজনক ব্যাটিং, মুখ লুকানোর স্কোর by নোমান মোহাম্মদ
যুদ্ধের নিয়মই বোধকরি এই। রণডঙ্কা বেজে ওঠার আগ পর্যন্ত হম্বিতম্বি করতে হয় তারস্বরে। ঢাল-তলোয়ার ঠোকাঠুকির প্রথম প্রহরগুলোতেও তাই। এমনকি পরাজয় নিশ্চিত হলেও 'ইঁদুররা পালাবার পথ পাবে না' বলে কখনো-সখনো প্রতিপক্ষকে দিতে হয় হুমকি। এরপর? একসময় নিয়তি মেনে নিয়ে সেনাদলের কাঁধ ঝুলে পড়া। আঘাতে আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে যুদ্ধ-জয়ের তাড়না ছাপিয়ে যুদ্ধ-শেষের অপেক্ষা!
মুশফিকুর রহিমের বাংলাদেশের এখন ঠিক সেই অবস্থা। সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়ক-সহ-অধিনায়ক বারংবার শুনিয়ে গেছেন পাকিস্তানবধের সম্ভাবনার গান। আশাজাগানিয়া সুর ছিল কোচ স্টুয়ার্ট ল'র কণ্ঠেও। মাইক্রোফোনের সামনে যখন যে খেলোয়াড় এসেছেন, টগবগে আত্মবিশ্বাসের স্ফুরণ ছিল তাঁদের কথায়। আর এখন? সে সবকে কী বাগাড়ম্বর বলেই না মনে হচ্ছে! সিরিজের মাঝপথেই সিরিজটা কোনোমতে শেষ করতে পারলে যেন তারা বাঁচে!
কারণটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেই প্লাইস্টোসিন যুগের_ব্যাটিং ব্যর্থতা! চিরকাল বোলারদের হেয় করে দেখা হলেও সাফল্যের বেশির ভাগই এসেছে তাঁদের হাত ধরে। আর ব্যর্থতার সিংহ ভাগ নিহিত ব্যাটসম্যানদের উইলোতে। তার পরও ব্যর্থতার একটা সীমা তো থাকবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে চলতি সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ছাড়িয়ে গেছেন সেই কল্পনার সীমা। ছাপিয়ে গেছেন এমনকি নিজেদের অন্ধকার অতীতকে। টেস্ট ক্রিকেটে প্রায় এক যুগ কাটিয়ে দেওয়ার পর এমন বেসুরো ব্যাটিংকে অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়।
পাকিস্তানের সঙ্গে একমাত্র টোয়েন্টি টোয়েন্টির পর, তিনটি ওয়ানডে এবং কাল প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংস_এই পাঁচটি ইনিংস ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। ২০ ওভারে ৮৫/৯, ৩০.৩ ওভারে ৯১ অল আউট, ৫০ ওভারে ১৮৬/৭, ৩৮ ওভারে ১১৯ অল আউট, ৫১.২ ওভারে ১৩৫ অল আউট_এই হচ্ছে স্বাগতিক দলের ব্যাটিংয়ের সারসংক্ষেপ। তাদের ব্যাটিং লাইনে বড় বড় নামের অভাব নেই। পরিসংখ্যানের পাতায় কীর্তির স্বাক্ষর রাখাদের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। কিন্তু এই সিরিজে এসে যেন সবাই ভুলে গেছেন ব্যাটিংয়ের অ-আ-ক-খ। ভিজে গেছে তামিম ইকবালের বারুদ, মরচে ধরেছে মুশফিকুরের নির্ভরতায়। স্বর্ণসময় পেরিয়ে সাকিব আল হাসানও কেমন যেন রংহীন। মোহাম্মদ আশরাফুলের পদতলে যে একদা বিশ্ব লুটিয়েছিল, সেটিকে মায়াবী বিভ্রম ভেবে নিজেই হয়তো নিজেকে চিমটি কেটে দেখেন। শাহরিয়ার নাফীস, ইমরুল কায়েসদের দশা পথহারা পথিকের মতো। অলক কাপালি, নাঈম ইসলাম, মাহমুদ উল্লাহরা হারায়ে খুঁজছেন নিজেদের। এক সিরিজে একসঙ্গে এতজনের এমন করুণ হাল!
শূন্য মঞ্চটা বড্ড বিষণ্ন দেখায়। তাই হয়তো নাসির হোসেন নামের এক আনকোরা তরুণের আবির্ভাব। যিনি প্রতিনিয়ত ছাড়িয়ে যাচ্ছেন নিজেকে। ছাড়িয়ে যাচ্ছেন নামের ভারে ন্যুব্জ হয়ে থাকা বিখ্যাত সব সতীর্থকে। কালও যেমন ৪১ রান করে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আগের চার ইনিংসের তিনটিতেও তাই। টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে দলের ৮৫-লজ্জায় অপরাজিত ৩৫ নাসিরের। প্রথম ওয়ানডের ৯১-কাণ্ডে সর্বোচ্চ ২১ রানও তাঁর। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তো করেছেন চোখ ধাঁধানো এক সেঞ্চুরি। ব্যর্থ বলতে তৃতীয় ওয়ানডের ৩। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের চলতি সফরের পাঁচ ম্যাচে নাসির ২০০ রান করেছেন ৫০ গড়ে! বাকিদের রান ও গড় দেখলে বিশ্বক্রিকেট মানচিত্রে মুখ লুকানোর জায়গা পাবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট!
গত দেড়-দুই বছরে বাংলাদেশ ব্যাটিং সাফল্যের একটা রসায়ন মোটামুটি তৈরি হয়ে ছিল। তামিমের বিস্ফোরক এবং ইমরুলের সতর্ক ব্যাটিংয়ের মিশেলে দারুণ এক ভিত্তি। দুই ওপেনারের এখনকার অবস্থাটা দেখুন। কোচের সঙ্গে বিরোধ কিংবা ইনজুরির অজুহাতে টোয়েন্টি টোয়েন্টি খেলেননি তামিম। এরপর তিন ওয়ানডে এবং টেস্টের প্রথম ইনিংসে তাঁর স্কোর যথাক্রমে ০, ৪, ০ ও ৯। মোট রান ১৩, গড় ৩.২৫! গত বছর উইজডেন ক্রিকেটার ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা টেস্ট ব্যাটসম্যানের পরিসংখ্যান এটি। তার পরও একাদশে জায়গা ধরে রেখেছেন তামিম, যা পারেননি ইমরুল। সিরিজে এ বাঁহাতি খেলেছেন টোয়েন্টি টোয়েন্টি ও দ্বিতীয় ওয়ানডে। করেছেন ২ ও ৬। অর্থাৎ মোট রান ৮, গড় ৪!
অন্য ব্যাটসম্যানদেরও অমন তথৈবচ হাল। পাকিস্তানের বিপক্ষে শাহরিয়ারের খেলা চারটি ইনিংস ৭, ৭, ২৫ ও ০ রানের। ৯.৭৫ গড়ে সাকুল্যে ৩৯ রান। টোয়েন্টি টোয়েন্টি ও প্রথম ওয়ানডে খেলা নাঈমের স্কোর ৩ ও ৫। মোট রান ৮, গড় ৪! অলক খেলেছেন টোয়েন্টি টোয়েন্টি ও তৃতীয় ওয়ানডে। রান ০ ও ১২, অর্থাৎ ৬ গড়ে ১২ রান! আশরাফুল সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলেছেন কালই। করেছেন ১। নাজিমউদ্দিনের ৩১ বরং সে তুলনায় অন্ধকারে আশার আলো।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতা পারফরম্যান্স দিয়ে আড়াল করতে পারেনি মিডল ও লোয়ার অর্ডার। সর্বত্রই যে রানের হাহাকার। সিরিজের সব ইনিংস খেলা সাকিবের স্কোরগুলো ৭, ১৫, ৩৪, ৯ ও ৮। মোট রান ৭৩, গড় ১৪.৬! অধিনায়ক মুশফিকুরের ব্যাটেও নেই দুর্দিন কাটানোর সম্বল। ১০, ১১, ১, ০ ও ৪ স্কোরে মোট রান করেছেন তিনি ২৬, গড় ৫.২! মাহমুদ উল্লাহর রান ২, ১, ২০*, ৩৫ ও ১৮। মোট রান ৭৬, একটিতে অপরাজিত থাকায় গড় কিছুটা সম্মানজনক, তাও ১৯! ফরহাদ রেজা টোয়েন্টি টোয়েন্টি, প্রথম ও তৃতীয় ওয়ানডে। রান ৬, ১ ও ২১। মোট রান ২৮, গড় ৯.৩৩!
ন্যক্কারজনক এ ব্যাটিংয়ে যেখানে রথী-মহারথীরাই ধরাশায়ী, লোয়ার অর্ডার আর কী করবে! আবদুর রাজ্জাকের চারটি ইনিংস ৯, ৩, ০ ও ১*। মোট রান ১৩, গড় ৪.৩৩! শফিউলকে প্রথম চার ম্যাচের মধ্যে একটিতে ক্রিজে যেতে হয়নি। বাকি তিনটিতে তিনি খুলতে পারেননি রানের খাতা। ইলিয়াস সানি প্রথম দুই ম্যাচ খেলেননি। শেষ তিন ইনিংস ০*, ১ ও ২ স্কোরে তাঁর মোট রান ৩। গড় ১.৫! সে তুলনায় রুবেলের ব্যাটিংটা কী দুর্দান্তই না লাগছে। যে তিনবার ক্রিজে গিয়েছেন আউট হননি কোনোটিতে। ০*, ১৫*ও ৩* স্কোরে তাঁর মোট রান ১৮। একবারও আউট না হওয়ায় গড়টাও অসীম!
অর্থাৎ, এই সিরিজে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে যে ১৬ জন ব্যাটিংয়ে নেমেছেন, তাঁদের মধ্যে তামিম, ইমরুল, শাহরিয়ার, নাঈম, অলক, আশরাফুল, মুশফিকুর, ফরহাদ, রাজ্জাক, শফিউল, ইলিয়াস_এই ১১ জনের গড় দুই অঙ্কে যায়নি। বাকিদের মধ্যে এক নাসির (৫০) ছাড়া সর্বোচ্চ গড় মাহমুদের ১৯!
এই ব্যাটিং নিয়ে নাকি সিরিজ জিততে চেয়েছিল বাংলাদেশ দল। চাইলে যে কেউ অট্টহাসিটা হেসে নিতে পারেন!
এতটাই করুণ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের হাল!
কারণটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেই প্লাইস্টোসিন যুগের_ব্যাটিং ব্যর্থতা! চিরকাল বোলারদের হেয় করে দেখা হলেও সাফল্যের বেশির ভাগই এসেছে তাঁদের হাত ধরে। আর ব্যর্থতার সিংহ ভাগ নিহিত ব্যাটসম্যানদের উইলোতে। তার পরও ব্যর্থতার একটা সীমা তো থাকবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে চলতি সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ছাড়িয়ে গেছেন সেই কল্পনার সীমা। ছাপিয়ে গেছেন এমনকি নিজেদের অন্ধকার অতীতকে। টেস্ট ক্রিকেটে প্রায় এক যুগ কাটিয়ে দেওয়ার পর এমন বেসুরো ব্যাটিংকে অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়।
পাকিস্তানের সঙ্গে একমাত্র টোয়েন্টি টোয়েন্টির পর, তিনটি ওয়ানডে এবং কাল প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংস_এই পাঁচটি ইনিংস ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। ২০ ওভারে ৮৫/৯, ৩০.৩ ওভারে ৯১ অল আউট, ৫০ ওভারে ১৮৬/৭, ৩৮ ওভারে ১১৯ অল আউট, ৫১.২ ওভারে ১৩৫ অল আউট_এই হচ্ছে স্বাগতিক দলের ব্যাটিংয়ের সারসংক্ষেপ। তাদের ব্যাটিং লাইনে বড় বড় নামের অভাব নেই। পরিসংখ্যানের পাতায় কীর্তির স্বাক্ষর রাখাদের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। কিন্তু এই সিরিজে এসে যেন সবাই ভুলে গেছেন ব্যাটিংয়ের অ-আ-ক-খ। ভিজে গেছে তামিম ইকবালের বারুদ, মরচে ধরেছে মুশফিকুরের নির্ভরতায়। স্বর্ণসময় পেরিয়ে সাকিব আল হাসানও কেমন যেন রংহীন। মোহাম্মদ আশরাফুলের পদতলে যে একদা বিশ্ব লুটিয়েছিল, সেটিকে মায়াবী বিভ্রম ভেবে নিজেই হয়তো নিজেকে চিমটি কেটে দেখেন। শাহরিয়ার নাফীস, ইমরুল কায়েসদের দশা পথহারা পথিকের মতো। অলক কাপালি, নাঈম ইসলাম, মাহমুদ উল্লাহরা হারায়ে খুঁজছেন নিজেদের। এক সিরিজে একসঙ্গে এতজনের এমন করুণ হাল!
শূন্য মঞ্চটা বড্ড বিষণ্ন দেখায়। তাই হয়তো নাসির হোসেন নামের এক আনকোরা তরুণের আবির্ভাব। যিনি প্রতিনিয়ত ছাড়িয়ে যাচ্ছেন নিজেকে। ছাড়িয়ে যাচ্ছেন নামের ভারে ন্যুব্জ হয়ে থাকা বিখ্যাত সব সতীর্থকে। কালও যেমন ৪১ রান করে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আগের চার ইনিংসের তিনটিতেও তাই। টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে দলের ৮৫-লজ্জায় অপরাজিত ৩৫ নাসিরের। প্রথম ওয়ানডের ৯১-কাণ্ডে সর্বোচ্চ ২১ রানও তাঁর। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তো করেছেন চোখ ধাঁধানো এক সেঞ্চুরি। ব্যর্থ বলতে তৃতীয় ওয়ানডের ৩। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের চলতি সফরের পাঁচ ম্যাচে নাসির ২০০ রান করেছেন ৫০ গড়ে! বাকিদের রান ও গড় দেখলে বিশ্বক্রিকেট মানচিত্রে মুখ লুকানোর জায়গা পাবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট!
গত দেড়-দুই বছরে বাংলাদেশ ব্যাটিং সাফল্যের একটা রসায়ন মোটামুটি তৈরি হয়ে ছিল। তামিমের বিস্ফোরক এবং ইমরুলের সতর্ক ব্যাটিংয়ের মিশেলে দারুণ এক ভিত্তি। দুই ওপেনারের এখনকার অবস্থাটা দেখুন। কোচের সঙ্গে বিরোধ কিংবা ইনজুরির অজুহাতে টোয়েন্টি টোয়েন্টি খেলেননি তামিম। এরপর তিন ওয়ানডে এবং টেস্টের প্রথম ইনিংসে তাঁর স্কোর যথাক্রমে ০, ৪, ০ ও ৯। মোট রান ১৩, গড় ৩.২৫! গত বছর উইজডেন ক্রিকেটার ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা টেস্ট ব্যাটসম্যানের পরিসংখ্যান এটি। তার পরও একাদশে জায়গা ধরে রেখেছেন তামিম, যা পারেননি ইমরুল। সিরিজে এ বাঁহাতি খেলেছেন টোয়েন্টি টোয়েন্টি ও দ্বিতীয় ওয়ানডে। করেছেন ২ ও ৬। অর্থাৎ মোট রান ৮, গড় ৪!
অন্য ব্যাটসম্যানদেরও অমন তথৈবচ হাল। পাকিস্তানের বিপক্ষে শাহরিয়ারের খেলা চারটি ইনিংস ৭, ৭, ২৫ ও ০ রানের। ৯.৭৫ গড়ে সাকুল্যে ৩৯ রান। টোয়েন্টি টোয়েন্টি ও প্রথম ওয়ানডে খেলা নাঈমের স্কোর ৩ ও ৫। মোট রান ৮, গড় ৪! অলক খেলেছেন টোয়েন্টি টোয়েন্টি ও তৃতীয় ওয়ানডে। রান ০ ও ১২, অর্থাৎ ৬ গড়ে ১২ রান! আশরাফুল সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলেছেন কালই। করেছেন ১। নাজিমউদ্দিনের ৩১ বরং সে তুলনায় অন্ধকারে আশার আলো।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতা পারফরম্যান্স দিয়ে আড়াল করতে পারেনি মিডল ও লোয়ার অর্ডার। সর্বত্রই যে রানের হাহাকার। সিরিজের সব ইনিংস খেলা সাকিবের স্কোরগুলো ৭, ১৫, ৩৪, ৯ ও ৮। মোট রান ৭৩, গড় ১৪.৬! অধিনায়ক মুশফিকুরের ব্যাটেও নেই দুর্দিন কাটানোর সম্বল। ১০, ১১, ১, ০ ও ৪ স্কোরে মোট রান করেছেন তিনি ২৬, গড় ৫.২! মাহমুদ উল্লাহর রান ২, ১, ২০*, ৩৫ ও ১৮। মোট রান ৭৬, একটিতে অপরাজিত থাকায় গড় কিছুটা সম্মানজনক, তাও ১৯! ফরহাদ রেজা টোয়েন্টি টোয়েন্টি, প্রথম ও তৃতীয় ওয়ানডে। রান ৬, ১ ও ২১। মোট রান ২৮, গড় ৯.৩৩!
ন্যক্কারজনক এ ব্যাটিংয়ে যেখানে রথী-মহারথীরাই ধরাশায়ী, লোয়ার অর্ডার আর কী করবে! আবদুর রাজ্জাকের চারটি ইনিংস ৯, ৩, ০ ও ১*। মোট রান ১৩, গড় ৪.৩৩! শফিউলকে প্রথম চার ম্যাচের মধ্যে একটিতে ক্রিজে যেতে হয়নি। বাকি তিনটিতে তিনি খুলতে পারেননি রানের খাতা। ইলিয়াস সানি প্রথম দুই ম্যাচ খেলেননি। শেষ তিন ইনিংস ০*, ১ ও ২ স্কোরে তাঁর মোট রান ৩। গড় ১.৫! সে তুলনায় রুবেলের ব্যাটিংটা কী দুর্দান্তই না লাগছে। যে তিনবার ক্রিজে গিয়েছেন আউট হননি কোনোটিতে। ০*, ১৫*ও ৩* স্কোরে তাঁর মোট রান ১৮। একবারও আউট না হওয়ায় গড়টাও অসীম!
অর্থাৎ, এই সিরিজে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে যে ১৬ জন ব্যাটিংয়ে নেমেছেন, তাঁদের মধ্যে তামিম, ইমরুল, শাহরিয়ার, নাঈম, অলক, আশরাফুল, মুশফিকুর, ফরহাদ, রাজ্জাক, শফিউল, ইলিয়াস_এই ১১ জনের গড় দুই অঙ্কে যায়নি। বাকিদের মধ্যে এক নাসির (৫০) ছাড়া সর্বোচ্চ গড় মাহমুদের ১৯!
এই ব্যাটিং নিয়ে নাকি সিরিজ জিততে চেয়েছিল বাংলাদেশ দল। চাইলে যে কেউ অট্টহাসিটা হেসে নিতে পারেন!
এতটাই করুণ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের হাল!
No comments