লোকপাল বিলের খসড়া পার্লামেন্টে উত্থাপন
টিম আন্নার আন্দোলনের হুমকি আর বিরোধী শিবিরের আপত্তি উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীকে এর আওতামুক্ত রেখে ভারতীয় সংসদে পেশ হয়েছে লোকপাল বিলের চূড়ান্ত খসড়া রিপোর্ট। লোকপাল বিল সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অভিষেক সিংভি গতকাল শুক্রবার ১৯৯ পাতার খসড়া বিলটি রাজ্যসভার স্পিকার হামিদ আনসারির হাতে তুলে দেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমস, দ্য হিন্দুর। বিলের চূড়ান্ত খসড়া জমা দেওয়ার পর গতকালই সেটি লোকসভায়
বিতর্কের জন্য পেশ করা হয়। রাজ্যসভায় লোকপাল বিলের চূড়ান্ত খসড়া পেশের পরপরই টিম আন্নার অন্যতম সদস্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরাসরি মনমোহন সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনেছেন। তার দাবি, আগস্টে আন্না হাজারের অনশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রীকে লোকপালের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার; কিন্তু লোকপাল বিলের চূড়ান্ত খসড়ায় সে অঙ্গীকার রক্ষা করা হয়নি। আগস্টে আন্না হাজারের অনশনের সময় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী পদকে লোকপালের আওতায় আনা হলে ব্যক্তিগতভাবে তার কোনো আপত্তি নেই। অথচ বিলের চূড়ান্ত খসড়ায় প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়াও এ বিলে নিম্নসারির আমলা, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সিবিআইকেও প্রস্তাবিত লোকপাল আইনের বাইরে রাখা হয়েছে।
মনমোহন দুর্বল প্রধানমন্ত্রী :আন্না
এদিকে লোকপাল বিলের আওতায় প্রধানমন্ত্রী এবং নিম্নস্তরের আমলাদের বাদ রাখায় সরাসরি মনমোহনকে আক্রমণ করে আন্না হাজারে বলেছেন, ভারতের জন্য খুবই বিপজ্জনক যে আমাদের একজন দুর্বল প্রধানমন্ত্রী আছেন, যিনি চাইলেই একটি শক্তিশালী লোকপাল বিল পাস করতে পারতেন। এ জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এবং মানব উন্নয়নমন্ত্রী কপিল সিবালকে দায়ী করেন। ১১ ডিসেম্বর থেকে প্রতীকী অনশন শুরু করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন আন্না হাজারে। তিনি এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী এবং নিম্নসারির আমলাদের লোকপালের আওতায় এনে শীতকালীন অধিবেশনের মধ্যেই পাস না করালে ২৭ ডিসেম্বর থেকে দিলি্লতে ফের অনশনে বসবেন তিনি।
মনমোহন দুর্বল প্রধানমন্ত্রী :আন্না
এদিকে লোকপাল বিলের আওতায় প্রধানমন্ত্রী এবং নিম্নস্তরের আমলাদের বাদ রাখায় সরাসরি মনমোহনকে আক্রমণ করে আন্না হাজারে বলেছেন, ভারতের জন্য খুবই বিপজ্জনক যে আমাদের একজন দুর্বল প্রধানমন্ত্রী আছেন, যিনি চাইলেই একটি শক্তিশালী লোকপাল বিল পাস করতে পারতেন। এ জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এবং মানব উন্নয়নমন্ত্রী কপিল সিবালকে দায়ী করেন। ১১ ডিসেম্বর থেকে প্রতীকী অনশন শুরু করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন আন্না হাজারে। তিনি এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী এবং নিম্নসারির আমলাদের লোকপালের আওতায় এনে শীতকালীন অধিবেশনের মধ্যেই পাস না করালে ২৭ ডিসেম্বর থেকে দিলি্লতে ফের অনশনে বসবেন তিনি।
No comments