এল ক্লাসিকোর উত্তাপ ছড়িয়েছে অনেক দূর
বিশ্বকাপ কিংবা কোপা আমেরিকা নয়, নিজের দেশ কলম্বিয়াও খেলছে না। তার পরেও শনিবার রাতের ম্যাচকে ঘিরে উৎসাহের কমতি নেই শাকিরার। এমন নয় যে ছেলেবন্ধু জেরার্ড পিকে অনেক দিন পর মাঠে নামছেন, কিংবা ঐতিহাসিক কোনো মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছেন। আসলে এল ক্লাসিকোর উত্তাপটাই এমন, রিয়াল মাদ্রিদ বা বার্সেলোনার সঙ্গে যাঁরা সম্পৃক্ত নন, তাঁরাও শীতের এ সন্ধ্যায় কোনো কাজ রাখতে চাইবেন না।
আর যাঁরা কোনো না কোনোভাবে ঐতিহ্যবাহী ক্লাব দুটোর সঙ্গে জড়িয়ে, তাঁদের তো ঘুমই হারাম!
রোনালদিনহো আর রাফায়েল মারকেজের কথাই ধরা যাক। স্পেন থেকে অনেক অনেক দূরে থাকেন দুজনেই। ব্রাজিলিয়ান রোনালদিনহো ফিরে গেছেন নিজের দেশে, খেলছেন ফ্ল্যামেংগোর হয়ে। রাফায়েল মারকেজ নিজের দেশে না হলেও ফিরে গেছেন নিজ মহাদেশে। মেঙ্কিান এ সেন্টারব্যাক খেলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে, নিউ ইয়র্ক রেড বুলসের হয়ে। এল ক্লাসিকোর উত্তাপটা ছুঁয়েছে তাদেরও। বার্সেলোনা ছেড়েছেন ২০০৮ সালে, কিন্তু মনে এখনো নীল-মেরুনের ছাপ, 'ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার জন্য শুভ কামনা রইল। মাঠে কি হবে আমি জানি না, কিন্তু আমি চাই বার্সেলোনা জিতুক। আমি দূর থেকেই তাদের সমর্থন জানাব, বার্সেলোনা এগিয়ে যাও!' স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক 'এল মুন্দো দেপোর্তিভো'র কাছে এভাবেই নিজের উচ্ছ্বাসটা প্রকাশ করেছেন 'গাউচো'। শুধু তা-ই নয়, স্মৃতির ভেলা বেয়ে অতীতে ফিরে গিয়েছিলেন রোনালদিনহো, ফিরে ফিরে এসেছে ২০০৫ সালের নভেম্বরে রিয়াল মাদ্রিদকে বার্নাব্যুতেই ৩-০ গোলে হারানোর স্মৃতি, 'আমার স্পষ্ট মনে আছে ম্যাচটার কথা, একদম অনন্য একটা ম্যাচ ছিল। আমি দুই গোল করেছিলাম আর বিপক্ষের সমর্থকরাও হাততালি দিয়েছিল।' রোনালদিনহোর কথার প্রতিধ্বনি মারকেজের কণ্ঠেও, 'আমি শতভাগ বার্সেলোনা। তবে এবার লড়াইটা খুব কঠিন হবে, যেকোনো কিছুই হতে পারে।' দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপের থিম সং 'ওয়াকা ওয়াকা' গাওয়া শাকিরা আরো মজেছেন ফুটবল এবং ফুটবলারের প্রেমে, 'আমি তো এখন সরকারিভাবেই বার্সেলোনার একজন ভক্ত!' তবে ম্যাচ নিয়ে কোনো পূর্বাভাস করে অবশ্য নিজের ফুটবলজ্ঞানকে পরীক্ষার মুখে ফেলেননি শাকিরা, বরং 'দারুণ ম্যাচ হবে', 'অসাধারণ খেলা হবে' কূটনৈতিক উত্তর দিয়েই কাজ সেরেছেন।
বার্সেলোনার পক্ষে সাবেক ফুটবলার, তারকা সংগীত শিল্পী আছে, রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষে কি নেই? অবশ্যই আছে, টেনিসের সাবেক ওয়ার্ল্ড নাম্বার ওয়ান (বর্তমানে এটিপি র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয়) রাফায়েল নাদাল যেমন এখন থেকেই ক্ষণ গুনছেন মাঠে যাওয়ার। 'আমি অবশ্যই ম্যাচটা দেখব, এটা এমন একটা কিছু, যা মিস করা যায় না।' স্পেনের মায়োরকায় জন্ম নেওয়া নাদালের প্রথম পছন্দ স্থানীয় ক্লাব, এরপরই রিয়াল মাদ্রিদ। যদিও তাঁর চাচা মিগুয়েল অ্যাঙ্গেল নাদাল খেলতেন বার্সেলোনায়। এবার অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদকে নিয়ে বেশ আশাবাদী নাদাল, 'মাদ্রিদের সময়টা দারুণ যাচ্ছে, তারা সত্যিই বেশ ভালো করছে। বার্সার কিছু ইনজুরি সমস্যা আছে, তবে এখন তারা কাগজে-কলমে সবাইকেই দলে ফিরে পেয়েছে। তাই খেলাটা বেশ উত্তেজনাপূর্ণ হবে, দেখি কি হয়।' ওয়েবসাইট
রোনালদিনহো আর রাফায়েল মারকেজের কথাই ধরা যাক। স্পেন থেকে অনেক অনেক দূরে থাকেন দুজনেই। ব্রাজিলিয়ান রোনালদিনহো ফিরে গেছেন নিজের দেশে, খেলছেন ফ্ল্যামেংগোর হয়ে। রাফায়েল মারকেজ নিজের দেশে না হলেও ফিরে গেছেন নিজ মহাদেশে। মেঙ্কিান এ সেন্টারব্যাক খেলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে, নিউ ইয়র্ক রেড বুলসের হয়ে। এল ক্লাসিকোর উত্তাপটা ছুঁয়েছে তাদেরও। বার্সেলোনা ছেড়েছেন ২০০৮ সালে, কিন্তু মনে এখনো নীল-মেরুনের ছাপ, 'ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার জন্য শুভ কামনা রইল। মাঠে কি হবে আমি জানি না, কিন্তু আমি চাই বার্সেলোনা জিতুক। আমি দূর থেকেই তাদের সমর্থন জানাব, বার্সেলোনা এগিয়ে যাও!' স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক 'এল মুন্দো দেপোর্তিভো'র কাছে এভাবেই নিজের উচ্ছ্বাসটা প্রকাশ করেছেন 'গাউচো'। শুধু তা-ই নয়, স্মৃতির ভেলা বেয়ে অতীতে ফিরে গিয়েছিলেন রোনালদিনহো, ফিরে ফিরে এসেছে ২০০৫ সালের নভেম্বরে রিয়াল মাদ্রিদকে বার্নাব্যুতেই ৩-০ গোলে হারানোর স্মৃতি, 'আমার স্পষ্ট মনে আছে ম্যাচটার কথা, একদম অনন্য একটা ম্যাচ ছিল। আমি দুই গোল করেছিলাম আর বিপক্ষের সমর্থকরাও হাততালি দিয়েছিল।' রোনালদিনহোর কথার প্রতিধ্বনি মারকেজের কণ্ঠেও, 'আমি শতভাগ বার্সেলোনা। তবে এবার লড়াইটা খুব কঠিন হবে, যেকোনো কিছুই হতে পারে।' দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপের থিম সং 'ওয়াকা ওয়াকা' গাওয়া শাকিরা আরো মজেছেন ফুটবল এবং ফুটবলারের প্রেমে, 'আমি তো এখন সরকারিভাবেই বার্সেলোনার একজন ভক্ত!' তবে ম্যাচ নিয়ে কোনো পূর্বাভাস করে অবশ্য নিজের ফুটবলজ্ঞানকে পরীক্ষার মুখে ফেলেননি শাকিরা, বরং 'দারুণ ম্যাচ হবে', 'অসাধারণ খেলা হবে' কূটনৈতিক উত্তর দিয়েই কাজ সেরেছেন।
বার্সেলোনার পক্ষে সাবেক ফুটবলার, তারকা সংগীত শিল্পী আছে, রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষে কি নেই? অবশ্যই আছে, টেনিসের সাবেক ওয়ার্ল্ড নাম্বার ওয়ান (বর্তমানে এটিপি র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয়) রাফায়েল নাদাল যেমন এখন থেকেই ক্ষণ গুনছেন মাঠে যাওয়ার। 'আমি অবশ্যই ম্যাচটা দেখব, এটা এমন একটা কিছু, যা মিস করা যায় না।' স্পেনের মায়োরকায় জন্ম নেওয়া নাদালের প্রথম পছন্দ স্থানীয় ক্লাব, এরপরই রিয়াল মাদ্রিদ। যদিও তাঁর চাচা মিগুয়েল অ্যাঙ্গেল নাদাল খেলতেন বার্সেলোনায়। এবার অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদকে নিয়ে বেশ আশাবাদী নাদাল, 'মাদ্রিদের সময়টা দারুণ যাচ্ছে, তারা সত্যিই বেশ ভালো করছে। বার্সার কিছু ইনজুরি সমস্যা আছে, তবে এখন তারা কাগজে-কলমে সবাইকেই দলে ফিরে পেয়েছে। তাই খেলাটা বেশ উত্তেজনাপূর্ণ হবে, দেখি কি হয়।' ওয়েবসাইট
No comments