রাজধানীতে তিন নারীসহ পাঁচ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

রাজধানীতে তিন নারীসহ পাঁচজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন, গৃহকর্মী কমলা খাতুন (২২), গৃহবধূ শাহীনুর আক্তার (২৪), গৃহবধূ শিল্পী আক্তার (২২), শ্রমিক সোহরাব হোসেন (৫০) এবং একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। গতকাল বুধবার সকালে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ লালমাটিয়ার সি-ব্লকের ২/৫ নম্বর বাড়ির চতুর্থতলা থেকে গৃহকর্মী কমলা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।


তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কমলা রেজাউর রহমানের বাসায় এবং তাঁর বড় বোন মনজিলা আক্তার রেজাউর রহমানের ভাই শিহাবউদ্দিনের বাসায় কাজ করেন। মনজিলার দাবি, কমলাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। তাঁদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের উলুকান্দায়। বাবার নাম আবদুল হাকিম।
গৃহকর্তা পুলিশকে বলেছেন, প্রতিদিনের মতো গত রাতেও দুই বোন চতুর্থতলার সিঁড়িকোঠায় ঘুমাতে যান। মৃত্যুর ঘটনা স্বাভাবিক বলে তিনি দাবি করেন। মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
গতকাল বিকেলে মগবাজার বলুরমাঠসংলগ্ন এলাকায় সুয়ারেজ লাইনে পাইপ বসানোর সময় শ্রমিক সোহরাব লোহার পাইপের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনিতে।
গতকাল বিকেলে পুলিশ রমনার মীরবাগের একটি বস্তিঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় গৃহবধূ শিল্পী আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। তাঁর স্বামী শামসু মিয়া ঝাড়ুদার। তদন্তকারী রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল হোসেন বলেন, শামসু মিয়া পলাতক। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা করেছে।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুলিশ গুলশান থানার ক/১৪ নর্দার বাসা থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় গৃহবধূ শাহীনুর আকতারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। তাঁর স্বামীর নাম মোস্তাফিজুর রহমান। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার দুর্গাপুরে।
মোস্তাফিজুর পুলিশকে বলেছেন, রাত তিনটার দিকে তিনি হঠাৎ জেগে উঠে দেখেন, শাহীনুর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন। গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিদ্দিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা বলে জানা গেছে। থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
ওই রাতেই উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরসংলগ্ন রেললাইন পার হওয়ার সময় চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি মারা যান। তাঁর পরনে সাদা ফুল শার্ট ও চেক লুঙ্গি ছিল। বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর।

No comments

Powered by Blogger.