যে লিগে টাকার সঙ্গেই টান
সূচি দেখলে উত্তেজনা বোধ করতে পারেন যেকোনো ক্রিকেটপ্রেমী। প্রথম দিনেই আবাহনীর সামনে ব্রাদার্স! আরেক বড় দল মোহামেডান খেলবে নতুন পরাশক্তি শেখ জামালের বিপক্ষে। খেলোয়াড় তালিকা গাজী ট্যাংক-প্রাইম দোলেশ্বর ম্যাচকে ঘিরে তৈরি করছে উৎসাহ। কিন্তু সূচিই কি সব? আজ শুরু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ নিয়ে খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের যত আগ্রহই থাকুক, দর্শক-সমর্থকদের মধ্যে সেই উত্তাপ কই? লিগ শুরুর দিনই আগাম বলে
দেওয়া যায়, হাতেগোনা দু-একটা ম্যাচ ছাড়া এই আসর দর্শক টানবে না। ক্লাব ক্রিকেটের সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে প্রিমিয়ার লিগ তার পরও হতে থাকবে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের আপামর খেলোয়াড়দের আয়ের মূল উৎসও এটি! প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট আজও যে দেশে অবহেলিত, খেলোয়াড়দের বাঁচিয়ে রাখতে সে দেশে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মতো একটা আঞ্চলিক আসরের সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়াটাই স্বাভাবিক।
এ বছর টাকার ছড়াছড়িও বেশি। গতবার যেসব ক্রিকেটার ৩-৪ লাখ টাকায় খেলেছে, এবার ৮-১০ লাখের নিচে তাদের পায়নি কোনো ক্লাব। মধ্যমমানের খেলোয়াড়েরাও ২০-২২ লাখে খেলছেন। শীর্ষ তারকাদের দাম নাকি চল্লিশও ছুঁয়েছে!
খেলোয়াড়েরা টাকা চাচ্ছেন, ক্লাব কর্মকর্তারা টাকা দিচ্ছেন। তৃতীয় পক্ষের তাতে আপত্তি থাকার কথা নয়। অর্থপ্রবাহের বিনিময়েও যদি ভালো ক্রিকেট হয়, ক্ষতি কী? শোনা যাচ্ছে, এবার ২ কোটি টাকার কম বাজেটের দল কমই আছে। কোনো কোনো বড় ক্লাবের খেলোয়াড়-খরচ তিন কোটিও ছুঁয়েছে। আছে বিদেশি খেলোয়াড়ের পেছনে খরচও। তবে এখন পর্যন্ত খুব নামী-দামি বিদেশি খেলোয়াড়ের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আর সংখ্যার দিক দিয়ে যথারীতি বেশি পাকিস্তানি ক্রিকেটারই।
আজ ব্রাদার্সের বিপক্ষে আবাহনীর হয়ে খেলবেন ভারতের মিঠুন মানহাস ও নারিন্দার সিং এবং ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার পিটার ট্রেগো। ব্রাদার্সে খেলবেন দুই পাকিস্তানি সোহেল তানভির ও আকিল আনজুম। শেখ জামালে আছেন শ্রীলঙ্কার জিহান মুবারক। সঙ্গে দুই ভারতীয় দীপক জৈন ও সুরজিৎ পর্বতানি। প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ মোহামেডানে খেলবেন উমর আমিন ও হাম্মাদ আজম। গাজী ট্যাংকে খেলতে এসেছেন আরও দুই পাকিস্তানি মোহাম্মদ সামি ও আইয়ুব। প্রথম ম্যাচে তাদের বিপক্ষে প্রাইম দোলেশ্বরে দেখা যাবেও দুই পাকিস্তানিকে—কামরান আকমল ও কায়সার আব্বাস।
অর্থ আর বিদেশি ক্রিকেটারের ছড়াছড়িই এখন প্রিমিয়ার লিগের মূল আকর্ষণ হয়ে গেছে। নইলে ক্রিকেটাররাও মনে করেন, টেস্ট অভিষেকের প্রায় এক যুগ পরও ঢাকা লিগের দেশের ক্রিকেটের প্রাণভোমরা হয়ে থাকাটা দুঃখজনক। জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বলছেন, ‘দেশের মূল ক্রিকেট হওয়া উচিত প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটই। জাতীয় লিগকেও প্রিমিয়ার লিগের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে পারলে এত দিনে দেশের ক্রিকেট আরও এগিয়ে যেত।’ মোহাম্মদ আশরাফুল বলছেন, ‘দেশের মূল ক্রিকেট হওয়া উচিত জাতীয় লিগই। কিন্তু যেখানে জাতীয় লিগে চার দিনের একটা ম্যাচ খেলে খেলোয়াড়েরা ১০-১২ হাজার টাকা পায়, সেখানে প্রিমিয়ার লিগে ১১ ম্যাচ খেলেই কমপক্ষে ৮-১০ লাখ টাকা আয় করা যায়। খেলোয়াড়েরা তাই লিগের প্রতিই বেশি আগ্রহী।’
জাতীয় দলের সাবেক-বতর্মান দুই অধিনায়কই একমত, ঢাকার ক্রিকেট আগের মতো দর্শক টানতে পারছে না। যদিও প্রিমিয়ার লিগের মান নিয়ে প্রশ্ন নেই কারও মধ্যেই। ‘এখানে দেশের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট হয়। এবারও ৮-৯টা দল আছে যারা চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইট দিতে পারে। লিগের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেটই হবে’—বলেছেন মুশফিক।
সেটাই যেন হয়। দেশের একমাত্র প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট আসরকেও থামিয়ে দিয়ে যে লিগের শুরু, আর কিছু না হোক, ক্রিকেটীয় বিনোদন যেন তাতে থাকে।
এ বছর টাকার ছড়াছড়িও বেশি। গতবার যেসব ক্রিকেটার ৩-৪ লাখ টাকায় খেলেছে, এবার ৮-১০ লাখের নিচে তাদের পায়নি কোনো ক্লাব। মধ্যমমানের খেলোয়াড়েরাও ২০-২২ লাখে খেলছেন। শীর্ষ তারকাদের দাম নাকি চল্লিশও ছুঁয়েছে!
খেলোয়াড়েরা টাকা চাচ্ছেন, ক্লাব কর্মকর্তারা টাকা দিচ্ছেন। তৃতীয় পক্ষের তাতে আপত্তি থাকার কথা নয়। অর্থপ্রবাহের বিনিময়েও যদি ভালো ক্রিকেট হয়, ক্ষতি কী? শোনা যাচ্ছে, এবার ২ কোটি টাকার কম বাজেটের দল কমই আছে। কোনো কোনো বড় ক্লাবের খেলোয়াড়-খরচ তিন কোটিও ছুঁয়েছে। আছে বিদেশি খেলোয়াড়ের পেছনে খরচও। তবে এখন পর্যন্ত খুব নামী-দামি বিদেশি খেলোয়াড়ের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আর সংখ্যার দিক দিয়ে যথারীতি বেশি পাকিস্তানি ক্রিকেটারই।
আজ ব্রাদার্সের বিপক্ষে আবাহনীর হয়ে খেলবেন ভারতের মিঠুন মানহাস ও নারিন্দার সিং এবং ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার পিটার ট্রেগো। ব্রাদার্সে খেলবেন দুই পাকিস্তানি সোহেল তানভির ও আকিল আনজুম। শেখ জামালে আছেন শ্রীলঙ্কার জিহান মুবারক। সঙ্গে দুই ভারতীয় দীপক জৈন ও সুরজিৎ পর্বতানি। প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ মোহামেডানে খেলবেন উমর আমিন ও হাম্মাদ আজম। গাজী ট্যাংকে খেলতে এসেছেন আরও দুই পাকিস্তানি মোহাম্মদ সামি ও আইয়ুব। প্রথম ম্যাচে তাদের বিপক্ষে প্রাইম দোলেশ্বরে দেখা যাবেও দুই পাকিস্তানিকে—কামরান আকমল ও কায়সার আব্বাস।
অর্থ আর বিদেশি ক্রিকেটারের ছড়াছড়িই এখন প্রিমিয়ার লিগের মূল আকর্ষণ হয়ে গেছে। নইলে ক্রিকেটাররাও মনে করেন, টেস্ট অভিষেকের প্রায় এক যুগ পরও ঢাকা লিগের দেশের ক্রিকেটের প্রাণভোমরা হয়ে থাকাটা দুঃখজনক। জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বলছেন, ‘দেশের মূল ক্রিকেট হওয়া উচিত প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটই। জাতীয় লিগকেও প্রিমিয়ার লিগের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে পারলে এত দিনে দেশের ক্রিকেট আরও এগিয়ে যেত।’ মোহাম্মদ আশরাফুল বলছেন, ‘দেশের মূল ক্রিকেট হওয়া উচিত জাতীয় লিগই। কিন্তু যেখানে জাতীয় লিগে চার দিনের একটা ম্যাচ খেলে খেলোয়াড়েরা ১০-১২ হাজার টাকা পায়, সেখানে প্রিমিয়ার লিগে ১১ ম্যাচ খেলেই কমপক্ষে ৮-১০ লাখ টাকা আয় করা যায়। খেলোয়াড়েরা তাই লিগের প্রতিই বেশি আগ্রহী।’
জাতীয় দলের সাবেক-বতর্মান দুই অধিনায়কই একমত, ঢাকার ক্রিকেট আগের মতো দর্শক টানতে পারছে না। যদিও প্রিমিয়ার লিগের মান নিয়ে প্রশ্ন নেই কারও মধ্যেই। ‘এখানে দেশের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট হয়। এবারও ৮-৯টা দল আছে যারা চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইট দিতে পারে। লিগের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেটই হবে’—বলেছেন মুশফিক।
সেটাই যেন হয়। দেশের একমাত্র প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট আসরকেও থামিয়ে দিয়ে যে লিগের শুরু, আর কিছু না হোক, ক্রিকেটীয় বিনোদন যেন তাতে থাকে।
No comments