লঙ্কানদের ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন
দুজনকেই বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়ার তোড়জোড় চলছিল। সাবেক অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার তো বলেই দিয়েছিলেন, ‘দুজনের অন্তত একজনকে যেতেই হবে, হয়তো হাসিকেই...।’ অস্ট্রেলিয়াকে আরও একবার বিব্রত হওয়া থেকে উদ্ধার করলেন কাল এই দুজনই। বাতিল হওয়ার লড়াইয়ে ‘অগ্রগামী’ মাইক হাসি এখনো টিকে আছেন দলের আশা হয়ে। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন আর মাত্র একজনই—রিকি পন্টিং (৬০)!
উইকেট সারা দিনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে গেছে বোলারদের দিকে। দুই দলেরই দারুণ বোলিংয়ের সঙ্গে যোগ হলো ব্যাটসম্যানদের আত্মহত্যার প্রতিযোগিতা। মেলবোর্নের ড্রপ-ইন উইকেটে কাল তাই হলো উইকেট-বৃষ্টি। প্রথম দুই দিন মিলিয়ে যেখানে উইকেট পড়েছিল ১৩টি, কাল এক দিনেই নেই ১৫ উইকেট! ৬৪ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ৫১ রানের লিড দিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার ধসটা একদিক থেকে হলো আরও ভয়াবহ। ৮ উইকেট পড়েছে আসলে ৫১ রানের মধ্যে! প্রথম ৪ উইকেট ২৭ রানে, শেষ ৪টি ২৪ রানে। ইনিংসটা তবু ভদ্রস্থ দেখাচ্ছে মাঝে স্যান্ডউইচ হয়ে থাকা দুই ‘বুড়ো’ পন্টিং-হাসির ১১৫ রানের জুটিতে।
রোলার-কোস্টারের এক দিন শেষে অবশ্য পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে নেই কেউই। ২ উইকেট হাতে নিয়ে ২৩০ রানের লিড অস্ট্রেলিয়ার, উইকেটে আছেন হাসি। মি. ক্রিকেট আজ যদি ১৬তম টেস্ট সেঞ্চুরিটা পেয়ে যান, অস্ট্রেলিয়া আরও কিছু রানের লিড নিশ্চিতই পাবে। সে ক্ষেত্রে ফেবারিট স্বাগতিকেরাই। আর ভারত আজ যদি দ্রুত শেষ উইকেট দুটি তুলে নেয়, এর পর ঘণ্টা খানেক উইকেটে থাকতে পারেন বীরেন্দর শেবাগ, তবে জয়ের দিকে এগোবে ভারতই। মেলবোর্নে অবশ্য গত ৪৯ বছরে ২০৩ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পারেনি কোনো দল। তবে গত ৪ বছরে ৫ বার চতুর্থ ইনিংসে দুই শর বেশি রান তাড়া করে জিতেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার তথ্যও আছে—ওই ৫ জয়ের কোনোটিই উপমহাদেশের বাইরে নয়!
বোলারদের দিনে আলাদা করে ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়েছেন এক নতুন আর নতুন রূপে ফেরা পুরোনো এক পেসার। প্রথম ইনিংসেও অস্ট্রেলিয়ার প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছিলেন উমেশ যাদব। প্রথম তিনকে ফেরালেন কালও, শেষ বিকেলে যোগ করেছেন আরেকটি। ক্যারিয়ারে তৃতীয় টেস্টেই প্রথম ৫ উইকেট পাওয়ার খুব কাছে এখন বিদর্ভের ২৪ বছর বয়সী পেসার। টেস্ট ক্রিকেটে প্রায় তিন বছর কাটানোর পর কাল প্রথম সেই স্বাদ পেয়েছেন বেন হিলফেনহস। গত অ্যাশেজে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের হাতে ধোলাই হওয়ার পর দলে জায়গা হারিয়েছিলেন। এই টেস্টের দলে ডাক পেয়েছিলেন অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই। নতুন-পুরোনো দুই বলেই সুইং বোলিংয়ের দারুণ প্রদর্শনী দেখিয়ে বিধ্বস্ত করলেন ভারতকে।
দিনের দ্বিতীয় বলেই দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে রাহুল দ্রাবিড়কে ফিরিয়ে ধ্বসংযজ্ঞের সূচনা হিলফেনহসের হাতেই। নাইটওয়াচম্যান ইশান্ত শর্মাকে এক প্রান্তে রেখে একে একে ফিরে গেলেন লক্ষ্মণ-কোহলি-ধোনি। অশ্বিনের ‘ক্যামিও’তে সম্ভাব্য ৮০-৮৫ রানের লিডটা কমে হয়েছে ৫১।
ধারা অব্যাহত থাকল অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের শুরুতেও। যাদবের এক ওভারেই ফিরে গেলেন দুই ওপেনার। জহিরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হাঁসফাঁস করে যাদবের বাইরের বল স্টাম্পে টেনে আনলেন ওয়ার্নার, খেলার বল ছেড়ে দিয়ে আউট কাওয়ান। ওয়ার্নারের মতো প্লেড অন শন মার্শ ও মাইকেল ক্লার্কও। আরেকবার এক শর নিচে গোটানোর শঙ্কা যখন হাতছানি দিচ্ছে, তখনই অভিজ্ঞতার মূল্য বোঝালেন পন্টিং-হাসি। সাম্প্রতিক সময়ের সেরা ব্যাটিংটা কালই করেছেন পন্টিং, যদিও শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরিটা হয়নি। তবে গত ছয় ইনিংসে চার ফিফটি—পন্টিং অফ ফর্মে এখন এটা আর কেউ বলতে পারবে না।
কাল ভারতের সবচেয় বড় আশা ছিলেন যিনি, সবচেয়ে বেশি হতাশাজনক দিন ছিল তাঁরই। দিনের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়েছেন দ্রাবিড়, পড়ন্ত বিকেলে ছেড়েছেন হাসির সহজ ক্যাচ। এ জন্য ভারতকে কতটা মাশুল গুনতে হলো, এতক্ষণে নিশ্চয়ই জানা হয়ে গেছে আপনার! ওয়েবসাইট।
রোলার-কোস্টারের এক দিন শেষে অবশ্য পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে নেই কেউই। ২ উইকেট হাতে নিয়ে ২৩০ রানের লিড অস্ট্রেলিয়ার, উইকেটে আছেন হাসি। মি. ক্রিকেট আজ যদি ১৬তম টেস্ট সেঞ্চুরিটা পেয়ে যান, অস্ট্রেলিয়া আরও কিছু রানের লিড নিশ্চিতই পাবে। সে ক্ষেত্রে ফেবারিট স্বাগতিকেরাই। আর ভারত আজ যদি দ্রুত শেষ উইকেট দুটি তুলে নেয়, এর পর ঘণ্টা খানেক উইকেটে থাকতে পারেন বীরেন্দর শেবাগ, তবে জয়ের দিকে এগোবে ভারতই। মেলবোর্নে অবশ্য গত ৪৯ বছরে ২০৩ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পারেনি কোনো দল। তবে গত ৪ বছরে ৫ বার চতুর্থ ইনিংসে দুই শর বেশি রান তাড়া করে জিতেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার তথ্যও আছে—ওই ৫ জয়ের কোনোটিই উপমহাদেশের বাইরে নয়!
বোলারদের দিনে আলাদা করে ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়েছেন এক নতুন আর নতুন রূপে ফেরা পুরোনো এক পেসার। প্রথম ইনিংসেও অস্ট্রেলিয়ার প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছিলেন উমেশ যাদব। প্রথম তিনকে ফেরালেন কালও, শেষ বিকেলে যোগ করেছেন আরেকটি। ক্যারিয়ারে তৃতীয় টেস্টেই প্রথম ৫ উইকেট পাওয়ার খুব কাছে এখন বিদর্ভের ২৪ বছর বয়সী পেসার। টেস্ট ক্রিকেটে প্রায় তিন বছর কাটানোর পর কাল প্রথম সেই স্বাদ পেয়েছেন বেন হিলফেনহস। গত অ্যাশেজে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের হাতে ধোলাই হওয়ার পর দলে জায়গা হারিয়েছিলেন। এই টেস্টের দলে ডাক পেয়েছিলেন অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই। নতুন-পুরোনো দুই বলেই সুইং বোলিংয়ের দারুণ প্রদর্শনী দেখিয়ে বিধ্বস্ত করলেন ভারতকে।
দিনের দ্বিতীয় বলেই দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে রাহুল দ্রাবিড়কে ফিরিয়ে ধ্বসংযজ্ঞের সূচনা হিলফেনহসের হাতেই। নাইটওয়াচম্যান ইশান্ত শর্মাকে এক প্রান্তে রেখে একে একে ফিরে গেলেন লক্ষ্মণ-কোহলি-ধোনি। অশ্বিনের ‘ক্যামিও’তে সম্ভাব্য ৮০-৮৫ রানের লিডটা কমে হয়েছে ৫১।
ধারা অব্যাহত থাকল অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের শুরুতেও। যাদবের এক ওভারেই ফিরে গেলেন দুই ওপেনার। জহিরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হাঁসফাঁস করে যাদবের বাইরের বল স্টাম্পে টেনে আনলেন ওয়ার্নার, খেলার বল ছেড়ে দিয়ে আউট কাওয়ান। ওয়ার্নারের মতো প্লেড অন শন মার্শ ও মাইকেল ক্লার্কও। আরেকবার এক শর নিচে গোটানোর শঙ্কা যখন হাতছানি দিচ্ছে, তখনই অভিজ্ঞতার মূল্য বোঝালেন পন্টিং-হাসি। সাম্প্রতিক সময়ের সেরা ব্যাটিংটা কালই করেছেন পন্টিং, যদিও শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরিটা হয়নি। তবে গত ছয় ইনিংসে চার ফিফটি—পন্টিং অফ ফর্মে এখন এটা আর কেউ বলতে পারবে না।
কাল ভারতের সবচেয় বড় আশা ছিলেন যিনি, সবচেয়ে বেশি হতাশাজনক দিন ছিল তাঁরই। দিনের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়েছেন দ্রাবিড়, পড়ন্ত বিকেলে ছেড়েছেন হাসির সহজ ক্যাচ। এ জন্য ভারতকে কতটা মাশুল গুনতে হলো, এতক্ষণে নিশ্চয়ই জানা হয়ে গেছে আপনার! ওয়েবসাইট।
No comments