পা খ পা খা লি-শীতের কুটুম...
যার আসার কোনো তিথি নেই, সেই তো অতিথি! তবে কখনও কখনও অতিথিরা জানিয়েও আসে কিংবা আমরা জানি কখন আসবে। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশে সুদূরের দেশ থেকে উড়ে আসে হরেক প্রজাতির অসংখ্য পাখি। এ আগমন যতটা না আতিথ্য পাওয়ার জন্য, তার চেয়ে বেশি নিরাপদ আশ্রয় খোঁজা। শীতপ্রধান দেশগুলোতে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা পড়ে। পাখির জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। সেই মুহূর্তে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আমাদের
দেশে ছুটে আসে পাখিগুলো। সাইবেরিয়া, ভারত, হিমালয়, নেপাল, ভুটানসহ আরও কিছু দেশ থেকে অতিথি পাখি উড়ে আসে আমাদের দেশে। কিন্তু এসব অতিথিকে আমরা যথাযথ সমাদর করি না। অতিথিপরায়ণ জাতি হিসেবে আমাদের খ্যাতি সর্বজনবিদিত। অতিথি পাখি নামটাও আমাদের দেওয়া। এসব পাখির মূল নাম মাইগ্রেটরি বার্ড বা পরিযায়ী পাখি। এ পাখির ক্ষেত্রে আমরা ঐড়ংঢ়রঃধষরঃু না দেখিয়ে যা দেখাই, তা হলো ঐড়ংঃরষরঃু।
অসহায় পাখিগুলো শিকার করে অনেকেই তা ভোজের বস্তুতে পরিণত করে। প্রতি বছর শীতের সময় অতিথি পাখি শিকার করে শহরে এনে বেচতে দেখা যায়। এ সময় হাওর ও বিলাঞ্চলের কেউ কেউ এটাকে জীবিকার উপায় হিসেবে দেখে। এ পাখি শিকার আইনত নিষিদ্ধ হলেও তা কিন্তু বলবৎ নয়। শিকার চলছে তো চলছেই। শিকার ঠেকাতে প্রয়োজন গণসচেতনতা। অবশ্য এসব অতিথি পাখির ক্রেতা উচ্চবিত্তরা! আমাদের সমাজের কেউ কেউ পাখি শিকারকে শৌখিনতা ও আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে ভাবেন। শীতকালে তারা তাই লাইসেন্স করা বন্দুক নিয়ে নেমে পড়েন অতিথি পাখি শিকারে। শুধু অতিথি পাখিই নয়, দেশি পাখিও তারা শিকার করেন। এজন্য এখন গ্রামাঞ্চলে সহজেই দেখা মেলে না বক, সারস, ঘুঘুর মতো পাখিগুলো। অথচ আগে জলাশয়-খাল-বিলে বক, সারসের দেখা মিলত। অতিথি পাখি শিকারের কারণে এসব পাখির কোনো কোনো প্রজাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে।
অতিথি পাখিরা আমাদের দেশের শোভা। অথচ আমরা কী নিষ্ঠুরতাই না দেখাই পাখিগুলোর প্রতি! ভাবুন তো, এসব পাখি যদি কথা বলতে পারত, তাহলে নিশ্চয় নিজ দেশে ফিরে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাত তাদের দেশের সরকারপ্রধানদের কাছে। অতিথি পাখি শিকারের ফলে পরিবেশের স্বাভাবিক পরিবেশও বিনষ্ট হয়।
আমাদের দেশের যেসব অঞ্চলে অতিথি পাখি আশ্রয় নেয় ও বিচরণ করে, সেগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরি। জলাশয় ভরাট বন্ধ করতে হবে। আসুন, আমরা সবাই এ ব্যাপারে সচেতন হই। অতিথি পাখির নিরাপত্তা বিধানে আরও আন্তরিক হই।
শাহেদুজ্জামান লিংকন
অসহায় পাখিগুলো শিকার করে অনেকেই তা ভোজের বস্তুতে পরিণত করে। প্রতি বছর শীতের সময় অতিথি পাখি শিকার করে শহরে এনে বেচতে দেখা যায়। এ সময় হাওর ও বিলাঞ্চলের কেউ কেউ এটাকে জীবিকার উপায় হিসেবে দেখে। এ পাখি শিকার আইনত নিষিদ্ধ হলেও তা কিন্তু বলবৎ নয়। শিকার চলছে তো চলছেই। শিকার ঠেকাতে প্রয়োজন গণসচেতনতা। অবশ্য এসব অতিথি পাখির ক্রেতা উচ্চবিত্তরা! আমাদের সমাজের কেউ কেউ পাখি শিকারকে শৌখিনতা ও আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে ভাবেন। শীতকালে তারা তাই লাইসেন্স করা বন্দুক নিয়ে নেমে পড়েন অতিথি পাখি শিকারে। শুধু অতিথি পাখিই নয়, দেশি পাখিও তারা শিকার করেন। এজন্য এখন গ্রামাঞ্চলে সহজেই দেখা মেলে না বক, সারস, ঘুঘুর মতো পাখিগুলো। অথচ আগে জলাশয়-খাল-বিলে বক, সারসের দেখা মিলত। অতিথি পাখি শিকারের কারণে এসব পাখির কোনো কোনো প্রজাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে।
অতিথি পাখিরা আমাদের দেশের শোভা। অথচ আমরা কী নিষ্ঠুরতাই না দেখাই পাখিগুলোর প্রতি! ভাবুন তো, এসব পাখি যদি কথা বলতে পারত, তাহলে নিশ্চয় নিজ দেশে ফিরে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাত তাদের দেশের সরকারপ্রধানদের কাছে। অতিথি পাখি শিকারের ফলে পরিবেশের স্বাভাবিক পরিবেশও বিনষ্ট হয়।
আমাদের দেশের যেসব অঞ্চলে অতিথি পাখি আশ্রয় নেয় ও বিচরণ করে, সেগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরি। জলাশয় ভরাট বন্ধ করতে হবে। আসুন, আমরা সবাই এ ব্যাপারে সচেতন হই। অতিথি পাখির নিরাপত্তা বিধানে আরও আন্তরিক হই।
শাহেদুজ্জামান লিংকন
No comments