তেল সরবরাহ পথ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি ইরানের
ইরানের ওপর তেল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে হরমুজ প্রণালি দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তেল সরবরাহের পথ বন্ধ করে দেবে তেহরান। ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ রেজা রহিমি পশ্চিমাদের এ হুশিয়ারি দিয়েছেন। মঙ্গলবার মাহমুদ রেজার উদ্ধৃতি দিয়ে ইরানে ইরনা সংবাদ সংস্থা এ খবর জানায়। হরমুজ প্রণালির প্রবেশ মুখে বর্তমানে নৌ মহড়া শুরু করেছে ইরানের নৌবাহিনী। এ হুমকির ফলে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের
মূল্য বেড়ে গেছে। খবর : আলজাজিরা অনলাইন, এএফপি। মাহমুদ রেজা বলেন, ইরানের তেল রফতানির বিরুদ্ধে যদি কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তবে হরমুজ প্রণালি দিয়ে একফোঁটা তেলও যেতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, আমাদের যুদ্ধ কিংবা সহিংসতায় জড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই, কিন্তু পশ্চিমাদের অবশ্যই তাদের পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে। না হলে আমরা তেল সরবরাহের পথ বন্ধ করতে বাধ্য হব। তেল রফতানিতে আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে এ পথে 'শত্রুদের' একফোঁটা তেল নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। ইরানের নৌবাহিনী প্রধান গতকাল প্রেসটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়া খুবই সহজ। তিনি বলেন, এটি এক গ্গ্নাস পানি পান করার মতোই সহজ ব্যাপার। ইরানের এ হুমকিকে 'ক্রুদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ' বলে বর্ণনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হরমুজ প্রণালি দিয়ে তেলের অবাধ প্রবাহকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে বলে উল্লেখ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তেল সরবরাহের নিরাপত্তার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ আগে থেকেই হরমুজ প্রণালি পাহারা দিয়ে আসছে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে যত তেল রফতানি হয় তার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এ পথ দিয়েই যায়। সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও ইরাকের অপরিশোধিত তেলের প্রায় পুরোটাই পারস্য উপসাগর হয়ে হরমুজ প্রণালি দিয়েই বহির্বিশ্বে পেঁৗছে। হুমকি বাস্তবায়িত হলে উপসাগরীয় তেলের ওপর নির্ভরশীল অর্থনীতির দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের যুদ্ধ বেধে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ১ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রীরা জানান, জানুয়ারির ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠকে ইরানের ওপর তেল রফতানির নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনা করা হতে পারে। ২৭ সদস্যবিশিষ্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো প্রতিদিন ইরান থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল তেল আমদানি করে। যা দেশটির তেল রফতানির শতকরা ১৮ শতাংশ। ইরানের রফতানিকৃত অধিকাংশ তেলই আমদানি করে ভারত এবং চীন।
এর আগেই বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়েছিলেন, তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে হরমুজ প্রণালি নিয়ে হার্ডলাইনে যেতে পারে ইরান। উল্লেখ্য, ইরানের ওপর তেল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে সৌদি আরব এবং উপসাগরীয় দেশগুলো তেলের চাহিদা পূরণ করতে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করবে বলে জানায় সৌদি আরব। তবে ইরানের তেলমন্ত্রী রোস্তাম কাশেমি বলেছেন, অতিরিক্ত তেল উৎপাদনের কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি সৌদি আরব। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দিলে সৌদি ও অন্য দেশগুলো তেলের উৎপাদন বাড়াবে ঠিকই কিন্তু তেলের দাম বাড়িয়ে দেবে।
উল্লেখ্য, ১ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রীরা জানান, জানুয়ারির ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠকে ইরানের ওপর তেল রফতানির নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনা করা হতে পারে। ২৭ সদস্যবিশিষ্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো প্রতিদিন ইরান থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল তেল আমদানি করে। যা দেশটির তেল রফতানির শতকরা ১৮ শতাংশ। ইরানের রফতানিকৃত অধিকাংশ তেলই আমদানি করে ভারত এবং চীন।
এর আগেই বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়েছিলেন, তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে হরমুজ প্রণালি নিয়ে হার্ডলাইনে যেতে পারে ইরান। উল্লেখ্য, ইরানের ওপর তেল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে সৌদি আরব এবং উপসাগরীয় দেশগুলো তেলের চাহিদা পূরণ করতে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করবে বলে জানায় সৌদি আরব। তবে ইরানের তেলমন্ত্রী রোস্তাম কাশেমি বলেছেন, অতিরিক্ত তেল উৎপাদনের কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি সৌদি আরব। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দিলে সৌদি ও অন্য দেশগুলো তেলের উৎপাদন বাড়াবে ঠিকই কিন্তু তেলের দাম বাড়িয়ে দেবে।
No comments