সংগীত ২০১১-সংগীতের আলোচিত ১১ by রবিউল ইসলাম জীবন
সংগীতের গত বছরটি ছিল এককথায় নবীনদের দখলে! এ সময় প্রবীণ ও প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের বেশি দেখা মিলেছে স্টেজে। তবে অ্যালবাম প্রকাশ থেকে তাঁরা অনেকটাই দূরে ছিলেন। লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন * ক্রিকেটের গান তৈরির হিড়িক এ বছরের গোড়ার দিকে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপ ক্রিকেট, যাতে ভারত ও শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি স্বাগতিক দেশ হওয়ার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং উদ্বোধনী ম্যাচ গড়ায় ঢাকার মাটিতে। এই বিশেষ
উপলক্ষকে সামনে রেখে বছরের শুরুতে ক্রিকেট নিয়ে গান তৈরির ধুম পড়ে যায়। অর্ধশতকেরও বেশি গান তৈরি হয় অল্প কিছু দিনে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইবরার টিপুর করা এবারকার বিশ্বকাপের স্বাগত সংগীত 'ও পৃথিবী', দূরবীনের 'জ্বলে ওঠো বাংলাদেশ', মেহরীনের 'কাপ কিন্তু একটাই' প্রভৃতি।
* মুঠোফোনে গান
মুঠোফোনে গান প্রকাশের ধারাটা শুরু হয়েছে এবারই। 'আহ্বান' দিয়ে ধারাটা নিয়ে এসেছেন হাবিব। সিডিতে বের হওয়ার আগে 'আহ্বান'-এর গানগুলো প্রথমে বাংলালিংকের মিউজিক স্টেশনে শুনেছেন শ্রোতা। মিঙ্ড অ্যালবাম 'সমর্পণ'ও শুরুতে মুঠোফোনে রিলিজ পায়। শুরুতেই মুঠোফোনে রিলিজ পাওয়া অন্য অ্যালবামগুলো হলো সোলসের 'জ্যাম', কুমার বিশ্বজিতের (৪০টি গানের পৃথক চারটি সিডি) 'মেঘের পালকি', 'একটা আকাশ', 'স্বপ্নের আনাগোনা' ও 'প্রেমের আবাস', অর্থহীনের 'অসমাপ্ত-২', তৌসিফের 'অনিদ্রা' প্রভৃতি। মাইলসের 'প্রতিচ্ছায়া' মুঠোফোনে এলেও সিডি আকারে এখনো আসেনি।
* শ্রুতি গীতবিতান
এ বছর সংগীতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঘটনা বলা যেতে পারে এটাকে! রবীন্দ্রনাথের গীতবিতানের সব গান (২২২২) এবং গীতিনাট্য প্রকাশ করা হচ্ছে অ্যালবাম আকারে (একই মোড়কে)। অ্যালবামটির নাম 'শ্রুতি গীতবিতান'। কাজটি করছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান 'সুরের ধারা'। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন দেশের নবীন-প্রবীণ শিল্পীরা। মোট ২২টি ডিভিডিতে থাকছে গানগুলো। অ্যালবামের মোড়ক উম্মোচন উপলক্ষে ২৯, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে
* শিল্পী-প্রকাশকের মধ্যে দ্বৈরথ
গানের রয়্যালিটি, কপিরাইট এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে শিল্পী ও প্রকাশকদের মধ্যে দ্বৈরথ লক্ষ করা গেছে এ বছরও। বছরের শেষভাগে এসে তা আরো গাঢ় আকার ধারণ করে। স্বাক্ষর নকলের অভিযোগে সাউন্ডটেকের সুলতান মাহমুদ বাবুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন জেমস। ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন 'এমআইবি'। এ ঘটনার সুরাহা না হলে ব্যান্ডের অ্যালবাম প্রকাশ থেকে বিরত থাকবেন বলে জানান তাঁরা।
* আসিফের ফিরে আসা
২০১০ সালের গোড়ার দিকে চলচ্চিত্রের গান থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছিলেন আসিফ আকবর। একই বছর ১৬ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলন করে অডিও থেকেও গুটিয়ে নেন নিজেকে। এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করেই কয়েকটি টিভি লাইভে গান করেন আসিফ। প্রায় দুই বছর পর চলতি মাসে আবারও গানে ফেরার কথা জানান তিনি।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছরের শুরু থেকেই নতুন আঙ্গিকে নিজের সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করবেন আসিফ।
* বৃৃহৎ আয়োজন
এ বছর বৃহৎ আয়োজনে প্রদান করা হয় 'সপ্তম সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস'। যমুনা রিসোর্টে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের স্বনামধন্য অনেক কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও যন্ত্রশিল্পী। স্বাধীনতার ৪০ বছর উপলক্ষে এই আয়োজনে গান করেন বাইরের কয়েকটি দেশের শিল্পীরাও।
স্বাধীনতার ৪০ বছর উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর কমলাপুর স্টেডিয়ামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ওয়ালটন গ্রুপ। ওই কনসার্টে বসে শিল্পীদের মিলনমেলা।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও সংগীতের আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিল্পীদের পাশাপাশি সংগীত পরিবেশন করেন বিশ্বখ্যাত গায়ক ব্রায়ান অ্যাডামস, সনু নিগম এবং শংকর-এহসান-লয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ব্রায়ান অ্যাডামসের একক কনসার্টটিও ছিল মনে রাখার মতো!
এ বছরই প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে কনসার্টের আয়োজন করে বামবা।
* ঝলমলে অভিষেক
প্রথম একক 'যাবাবর পুলক' দিয়ে নজর কেড়েছেন পুলক। অ্যালবামের 'যাযাবর', 'মাওলা' এবং 'আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন' (নজরুলসংগীত) গানগুলো ছিল বেশ প্রশংসিত। ইমরানের প্রথম একক 'স্বপ্নলোকে'র 'মন' ও 'দোটানা'য় সাড়া মিলেছে বেশ। অ্যালবামে নিজের সুর-সংগীতে সাবিনা ইয়াসমীনের সঙ্গে 'সুপ্রিয় বাংলাদেশ' গানটিতে কণ্ঠ দেন ইমরান! 'ঘুড়ি তুমি কার আকাশে উড়ো'র টাইটেল গানটি দিয়ে অনেক শ্রোতার মন জয় করেছেন লুৎফর হাসান। প্রথম একক 'ডট' দিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন পৃথ্বীরাজ। অনেকেই তাঁর কাজের প্রশংসা করেছেন। চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনায় আত্নপ্রকাশ করেন কিশোর। প্রথম প্লেব্যাক করেন সাবি্বর। মিঙ্ড অ্যালবাম 'শিহরণ' দিয়ে সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে নাম লেখান সাজিদ।
খুদে সংগীত পরিচালক প্রত্যয় খান বের করেছেন মিঙ্ড অ্যালবাম 'এফএনএফ'।
* ব্যান্ডের অ্যালবাম
এ বছর ব্যান্ডের অ্যালবাম প্রকাশের হার ছিল চোখে পড়ার মতো। এসব অ্যালবামের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সোলসের 'জ্যাম', অর্থহীনের 'অসমাপ্ত-২', ব্ল্যাকের 'ব্ল্যাক', শূন্যর 'গড়বো বাংলাদেশ', পার্থিবের 'উৎসর্গ নিজেকে', নেমেসিসের 'তৃতীয় যাত্রা', মহাকালের 'মহাকাল' প্রভৃতি।
* আলোচিত গায়ক-গায়িকা
গত বছরের মতো এবারও বছরের আলোচিত গায়ক গায়িকা আরফিন রুমি ও ন্যান্সি। চলচ্চিত্রে (এখনো মুক্তি পায়নি) বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান 'পাগল তোর জন্য রে' গানে বেলাল খানের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দেন ন্যান্সি। একই গায়কের সঙ্গে 'দলিল' শিরোনামের আরেকটি গানে কণ্ঠ দিয়েও প্রশংসা কুড়ান। 'বেইলি রোড' চলচ্চিত্রে কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে গাওয়া তাঁর 'দৃষ্টির বৃষ্টি' গানটিও ছিল ভালো। হাবিবের সঙ্গে গাওয়া 'তুমি যে আমার ঠিকানা' গানটিও প্রশংসিত হয়েছে। সংগীতা থেকে প্রকাশিত 'প্রিয়তমা' শিরোনামের অ্যালবামটির জন্য কয়েকবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন ন্যান্সি।
এ বছর গায়ক-সুরকার ও সংগীত পরিচালক সব মিলিয়ে সাফল্য পেয়েছেন আরফিন রুমি। বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান 'এক জীবনে'র সুর ও সংগীত তাঁর। রুমির গাওয়া 'প্রিয়তমা', 'বল না কোথায় তুমি', 'প্রেমের পথে', 'দোলনা' (নাটকের গান) গানগুলোও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ক্রিকেট নিয়ে করা রুমির ব্যান্ড দূরবীনের 'জ্বলে ওঠো বাংলাদেশ' গানটিও জনপ্রিয় হয়েছে। গানটির সুর নকলের অভিযোগে বেশ সমালোচিতও হয়েছেন রুমি।
* আলোচিত গীতিকার-সুরকার
বছরের আলোচিত গীতিকারদের শতালিকায় আছেন প্রিন্স মাহমুদ, জুলফিকার রাসেল, ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়, অনুরূপ আইচ, শাহান কবন্ধ, সাকী আহমেদ, জাহিদ আকবর, রানা, গুঞ্জন চৌধুরী, সোমেশ্বর অলি, রবিউল ইসলাম জীবন প্রমুখ।
অন্যদিকে সুরকার, সংগীত পরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন প্রিন্স মাহমুদ, শওকত আলী ইমন, ইবরার টিপু, হাবিব ওয়াহিদ, ফুয়াদ আল মুক্তাদির, আরফিন রুমি, হৃদয় খান, সুমন কল্যাণ, সন্ধি প্রমুখ।
* নতুন মুখ
এ বছর নতুন মুখদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়িয়েছেন বেলাল খান! ন্যান্সির সঙ্গে তাঁর গাওয়া 'গাপল তোর জন্য রে' চলচ্চিত্রে এ বছরের অন্যতম জনপ্রিয় গান। একই শিল্পীর সঙ্গে 'দলিল' গানে কণ্ঠ দিয়েও প্রশংসা পান বেলাল। এ ছাড়া পড়শীর সঙ্গে বেলালের গাওয়া 'একলা প্রহর' গানটিও পছন্দ করেছেন অনেক শ্রোতা। সব গানের সুরকারও তিনি। নির্মাণাধীন চলচ্চিত্র 'প্রেমের জন্য পৃথিবী' ও 'খুঁটি'র প্রকাশিত অ্যালবামের সুরকারও বেলাল খান।
* মুঠোফোনে গান
মুঠোফোনে গান প্রকাশের ধারাটা শুরু হয়েছে এবারই। 'আহ্বান' দিয়ে ধারাটা নিয়ে এসেছেন হাবিব। সিডিতে বের হওয়ার আগে 'আহ্বান'-এর গানগুলো প্রথমে বাংলালিংকের মিউজিক স্টেশনে শুনেছেন শ্রোতা। মিঙ্ড অ্যালবাম 'সমর্পণ'ও শুরুতে মুঠোফোনে রিলিজ পায়। শুরুতেই মুঠোফোনে রিলিজ পাওয়া অন্য অ্যালবামগুলো হলো সোলসের 'জ্যাম', কুমার বিশ্বজিতের (৪০টি গানের পৃথক চারটি সিডি) 'মেঘের পালকি', 'একটা আকাশ', 'স্বপ্নের আনাগোনা' ও 'প্রেমের আবাস', অর্থহীনের 'অসমাপ্ত-২', তৌসিফের 'অনিদ্রা' প্রভৃতি। মাইলসের 'প্রতিচ্ছায়া' মুঠোফোনে এলেও সিডি আকারে এখনো আসেনি।
* শ্রুতি গীতবিতান
এ বছর সংগীতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঘটনা বলা যেতে পারে এটাকে! রবীন্দ্রনাথের গীতবিতানের সব গান (২২২২) এবং গীতিনাট্য প্রকাশ করা হচ্ছে অ্যালবাম আকারে (একই মোড়কে)। অ্যালবামটির নাম 'শ্রুতি গীতবিতান'। কাজটি করছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান 'সুরের ধারা'। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন দেশের নবীন-প্রবীণ শিল্পীরা। মোট ২২টি ডিভিডিতে থাকছে গানগুলো। অ্যালবামের মোড়ক উম্মোচন উপলক্ষে ২৯, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে
* শিল্পী-প্রকাশকের মধ্যে দ্বৈরথ
গানের রয়্যালিটি, কপিরাইট এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে শিল্পী ও প্রকাশকদের মধ্যে দ্বৈরথ লক্ষ করা গেছে এ বছরও। বছরের শেষভাগে এসে তা আরো গাঢ় আকার ধারণ করে। স্বাক্ষর নকলের অভিযোগে সাউন্ডটেকের সুলতান মাহমুদ বাবুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন জেমস। ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন 'এমআইবি'। এ ঘটনার সুরাহা না হলে ব্যান্ডের অ্যালবাম প্রকাশ থেকে বিরত থাকবেন বলে জানান তাঁরা।
* আসিফের ফিরে আসা
২০১০ সালের গোড়ার দিকে চলচ্চিত্রের গান থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছিলেন আসিফ আকবর। একই বছর ১৬ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলন করে অডিও থেকেও গুটিয়ে নেন নিজেকে। এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করেই কয়েকটি টিভি লাইভে গান করেন আসিফ। প্রায় দুই বছর পর চলতি মাসে আবারও গানে ফেরার কথা জানান তিনি।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছরের শুরু থেকেই নতুন আঙ্গিকে নিজের সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করবেন আসিফ।
* বৃৃহৎ আয়োজন
এ বছর বৃহৎ আয়োজনে প্রদান করা হয় 'সপ্তম সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস'। যমুনা রিসোর্টে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের স্বনামধন্য অনেক কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও যন্ত্রশিল্পী। স্বাধীনতার ৪০ বছর উপলক্ষে এই আয়োজনে গান করেন বাইরের কয়েকটি দেশের শিল্পীরাও।
স্বাধীনতার ৪০ বছর উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর কমলাপুর স্টেডিয়ামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ওয়ালটন গ্রুপ। ওই কনসার্টে বসে শিল্পীদের মিলনমেলা।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও সংগীতের আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিল্পীদের পাশাপাশি সংগীত পরিবেশন করেন বিশ্বখ্যাত গায়ক ব্রায়ান অ্যাডামস, সনু নিগম এবং শংকর-এহসান-লয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ব্রায়ান অ্যাডামসের একক কনসার্টটিও ছিল মনে রাখার মতো!
এ বছরই প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে কনসার্টের আয়োজন করে বামবা।
* ঝলমলে অভিষেক
প্রথম একক 'যাবাবর পুলক' দিয়ে নজর কেড়েছেন পুলক। অ্যালবামের 'যাযাবর', 'মাওলা' এবং 'আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন' (নজরুলসংগীত) গানগুলো ছিল বেশ প্রশংসিত। ইমরানের প্রথম একক 'স্বপ্নলোকে'র 'মন' ও 'দোটানা'য় সাড়া মিলেছে বেশ। অ্যালবামে নিজের সুর-সংগীতে সাবিনা ইয়াসমীনের সঙ্গে 'সুপ্রিয় বাংলাদেশ' গানটিতে কণ্ঠ দেন ইমরান! 'ঘুড়ি তুমি কার আকাশে উড়ো'র টাইটেল গানটি দিয়ে অনেক শ্রোতার মন জয় করেছেন লুৎফর হাসান। প্রথম একক 'ডট' দিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন পৃথ্বীরাজ। অনেকেই তাঁর কাজের প্রশংসা করেছেন। চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনায় আত্নপ্রকাশ করেন কিশোর। প্রথম প্লেব্যাক করেন সাবি্বর। মিঙ্ড অ্যালবাম 'শিহরণ' দিয়ে সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে নাম লেখান সাজিদ।
খুদে সংগীত পরিচালক প্রত্যয় খান বের করেছেন মিঙ্ড অ্যালবাম 'এফএনএফ'।
* ব্যান্ডের অ্যালবাম
এ বছর ব্যান্ডের অ্যালবাম প্রকাশের হার ছিল চোখে পড়ার মতো। এসব অ্যালবামের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সোলসের 'জ্যাম', অর্থহীনের 'অসমাপ্ত-২', ব্ল্যাকের 'ব্ল্যাক', শূন্যর 'গড়বো বাংলাদেশ', পার্থিবের 'উৎসর্গ নিজেকে', নেমেসিসের 'তৃতীয় যাত্রা', মহাকালের 'মহাকাল' প্রভৃতি।
* আলোচিত গায়ক-গায়িকা
গত বছরের মতো এবারও বছরের আলোচিত গায়ক গায়িকা আরফিন রুমি ও ন্যান্সি। চলচ্চিত্রে (এখনো মুক্তি পায়নি) বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান 'পাগল তোর জন্য রে' গানে বেলাল খানের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দেন ন্যান্সি। একই গায়কের সঙ্গে 'দলিল' শিরোনামের আরেকটি গানে কণ্ঠ দিয়েও প্রশংসা কুড়ান। 'বেইলি রোড' চলচ্চিত্রে কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে গাওয়া তাঁর 'দৃষ্টির বৃষ্টি' গানটিও ছিল ভালো। হাবিবের সঙ্গে গাওয়া 'তুমি যে আমার ঠিকানা' গানটিও প্রশংসিত হয়েছে। সংগীতা থেকে প্রকাশিত 'প্রিয়তমা' শিরোনামের অ্যালবামটির জন্য কয়েকবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন ন্যান্সি।
এ বছর গায়ক-সুরকার ও সংগীত পরিচালক সব মিলিয়ে সাফল্য পেয়েছেন আরফিন রুমি। বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান 'এক জীবনে'র সুর ও সংগীত তাঁর। রুমির গাওয়া 'প্রিয়তমা', 'বল না কোথায় তুমি', 'প্রেমের পথে', 'দোলনা' (নাটকের গান) গানগুলোও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ক্রিকেট নিয়ে করা রুমির ব্যান্ড দূরবীনের 'জ্বলে ওঠো বাংলাদেশ' গানটিও জনপ্রিয় হয়েছে। গানটির সুর নকলের অভিযোগে বেশ সমালোচিতও হয়েছেন রুমি।
* আলোচিত গীতিকার-সুরকার
বছরের আলোচিত গীতিকারদের শতালিকায় আছেন প্রিন্স মাহমুদ, জুলফিকার রাসেল, ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়, অনুরূপ আইচ, শাহান কবন্ধ, সাকী আহমেদ, জাহিদ আকবর, রানা, গুঞ্জন চৌধুরী, সোমেশ্বর অলি, রবিউল ইসলাম জীবন প্রমুখ।
অন্যদিকে সুরকার, সংগীত পরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন প্রিন্স মাহমুদ, শওকত আলী ইমন, ইবরার টিপু, হাবিব ওয়াহিদ, ফুয়াদ আল মুক্তাদির, আরফিন রুমি, হৃদয় খান, সুমন কল্যাণ, সন্ধি প্রমুখ।
* নতুন মুখ
এ বছর নতুন মুখদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়িয়েছেন বেলাল খান! ন্যান্সির সঙ্গে তাঁর গাওয়া 'গাপল তোর জন্য রে' চলচ্চিত্রে এ বছরের অন্যতম জনপ্রিয় গান। একই শিল্পীর সঙ্গে 'দলিল' গানে কণ্ঠ দিয়েও প্রশংসা পান বেলাল। এ ছাড়া পড়শীর সঙ্গে বেলালের গাওয়া 'একলা প্রহর' গানটিও পছন্দ করেছেন অনেক শ্রোতা। সব গানের সুরকারও তিনি। নির্মাণাধীন চলচ্চিত্র 'প্রেমের জন্য পৃথিবী' ও 'খুঁটি'র প্রকাশিত অ্যালবামের সুরকারও বেলাল খান।
No comments