দলিলের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী-পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কষ্ট করতে হবে
ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কষ্ট করতে হবে, কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনযোগ্য। গতকাল বুধবার এ পরিকল্পনা দলিলের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি আদর্শ অর্থনীতি, একটি সম্ভাবনাময় অর্থনীতি। এখন বাংলাদেশে যে সমস্যা রয়েছে, তা সারা বিশ্বেই আছে। সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। পরিকল্পনা কমিশনের
এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রধান ফখরুল আহসান।
অর্থমন্ত্রী জানান, মূল্যস্ফীতির সমস্যা সারা বিশ্বেই রয়েছে। বাংলাদেশের সম্পদ কম, কাঙ্ক্ষিত বিদেশি সহায়তা আসছে না। এ ধরনের সমস্যা সব সময় থাকবে বলে তিনি মত দেন।
পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি অভিমত দেন, এটি বিনিয়োগ দলিল নয়। এটি একটি দিকনির্দেশনামূলক দলিল। আর এটা প্রয়োজনে পরিবর্তন করা যাবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার জানান, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দলিলে মূলত প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে দারিদ্র্য নিরসন, আঞ্চলিক বৈষম্য কমানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট থেকে উত্তরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সর্বোপরি সুশাসন অর্জন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এ দলিল স্বীকার করে নিয়েছে যে বাজারমুখী অর্থনীতির প্রবণতার মধ্যে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার দরকার আছে। অতীতে এ ধরনের দলিল তৈরি করে অর্থনীতিবিদদের মতামত নেওয়া হতো। এবার দলিল তৈরির প্রক্রিয়ায় অর্থনীতিবিদদের মতামত নেওয়া হয়েছে। তিনি অভিমত দেন, এবারের দলিলে নগরায়ণসহ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাকে নতুন করে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
শামসুল আলম জানান, এবার এ দলিলের মাধ্যমে অর্জিত ফলাফলও পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ৩৫টি সূচকের মাধ্যমে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে।
দলিলের অগ্রাধিকার খাত ও লক্ষ্যসমূহ: আয় বৃদ্ধি ও দারিদ্র্য হ্রাসের ক্ষেত্রে দলিলে প্রতিবছর গড়ে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং মেয়াদ শেষে অর্থাৎ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা ৮ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর বর্তমান দারিদ্র্যের হার ৩১ দশমিক ৫ থেকে ২২ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।
মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে প্রাথমিক পর্যায়ে শত ভাগ ভর্তি নিশ্চিতকরণ ও শিক্ষা সমাপ্তিকরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া শিশুমৃত্যুর হার হাজারে ৩১ জনে নামিয়ে আনা, মাতৃমৃত্যুর হার লাখে ১৪৩ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে।
নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন খাতে সাড়ে ৯৬ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কাছে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হবে।
জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে ২০১৫ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৫ হাজার ৪৫৭ মেগাওয়াটে উন্নীত করার পাশাপাশি বিদ্যুতায়নের বিস্তৃতি ৬৮ শতাংশে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
নারী-পুরুষের সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন খাতে উচ্চশিক্ষায় ছাত্রী ও ছাত্র অনুপাত ৪০:৬০-এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০-২৪ বছর বয়সী নারী ও পুরুষের সাক্ষরতার হার শত ভাগে উন্নীত করা হবে।
পরিবেশের ভারসাম্য আনতে উৎপাদনশীল বনভূমির হার ১৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে এ হার ১৩ শতাংশ। এ ছাড়া জ্বালানি দক্ষতা ১০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা রয়েছে।
এ ছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের হার ৩০ শতাংশে ও টেলিঘনত্বের হার ৭০ শতাংশে উন্নীতকরণ, সব ইউনিয়নে ইন্টারনেট সুবিধাসহ টেলিসেন্টার বা কমিউনিটি ই-সেন্টার স্থাপন, সব ডাকঘরে কল সেন্টার স্থাপন, দ্বাদশ শ্রেণীতে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়।
অর্থমন্ত্রী জানান, মূল্যস্ফীতির সমস্যা সারা বিশ্বেই রয়েছে। বাংলাদেশের সম্পদ কম, কাঙ্ক্ষিত বিদেশি সহায়তা আসছে না। এ ধরনের সমস্যা সব সময় থাকবে বলে তিনি মত দেন।
পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি অভিমত দেন, এটি বিনিয়োগ দলিল নয়। এটি একটি দিকনির্দেশনামূলক দলিল। আর এটা প্রয়োজনে পরিবর্তন করা যাবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার জানান, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দলিলে মূলত প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে দারিদ্র্য নিরসন, আঞ্চলিক বৈষম্য কমানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট থেকে উত্তরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সর্বোপরি সুশাসন অর্জন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এ দলিল স্বীকার করে নিয়েছে যে বাজারমুখী অর্থনীতির প্রবণতার মধ্যে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার দরকার আছে। অতীতে এ ধরনের দলিল তৈরি করে অর্থনীতিবিদদের মতামত নেওয়া হতো। এবার দলিল তৈরির প্রক্রিয়ায় অর্থনীতিবিদদের মতামত নেওয়া হয়েছে। তিনি অভিমত দেন, এবারের দলিলে নগরায়ণসহ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাকে নতুন করে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
শামসুল আলম জানান, এবার এ দলিলের মাধ্যমে অর্জিত ফলাফলও পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ৩৫টি সূচকের মাধ্যমে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে।
দলিলের অগ্রাধিকার খাত ও লক্ষ্যসমূহ: আয় বৃদ্ধি ও দারিদ্র্য হ্রাসের ক্ষেত্রে দলিলে প্রতিবছর গড়ে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং মেয়াদ শেষে অর্থাৎ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা ৮ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর বর্তমান দারিদ্র্যের হার ৩১ দশমিক ৫ থেকে ২২ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।
মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে প্রাথমিক পর্যায়ে শত ভাগ ভর্তি নিশ্চিতকরণ ও শিক্ষা সমাপ্তিকরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া শিশুমৃত্যুর হার হাজারে ৩১ জনে নামিয়ে আনা, মাতৃমৃত্যুর হার লাখে ১৪৩ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে।
নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন খাতে সাড়ে ৯৬ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কাছে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হবে।
জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে ২০১৫ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৫ হাজার ৪৫৭ মেগাওয়াটে উন্নীত করার পাশাপাশি বিদ্যুতায়নের বিস্তৃতি ৬৮ শতাংশে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
নারী-পুরুষের সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন খাতে উচ্চশিক্ষায় ছাত্রী ও ছাত্র অনুপাত ৪০:৬০-এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০-২৪ বছর বয়সী নারী ও পুরুষের সাক্ষরতার হার শত ভাগে উন্নীত করা হবে।
পরিবেশের ভারসাম্য আনতে উৎপাদনশীল বনভূমির হার ১৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে এ হার ১৩ শতাংশ। এ ছাড়া জ্বালানি দক্ষতা ১০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা রয়েছে।
এ ছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের হার ৩০ শতাংশে ও টেলিঘনত্বের হার ৭০ শতাংশে উন্নীতকরণ, সব ইউনিয়নে ইন্টারনেট সুবিধাসহ টেলিসেন্টার বা কমিউনিটি ই-সেন্টার স্থাপন, সব ডাকঘরে কল সেন্টার স্থাপন, দ্বাদশ শ্রেণীতে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়।
No comments