মিলমালিকদের সংবাদ সম্মেলন-জানুয়ারিতে রডের দাম বাড়বে
আগামী জানুয়ারি থেকে দেশের বাজারে এমএস রডের দাম বাড়াতে পারেন রি-রোলিং ও স্টিল মিলমালিকেরা।
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ্যেই এমএস রডের দাম বাড়ানোর এই ইঙ্গিত দেন বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
দুই সমিতির নেতারা বলেছেন, বিদ্যুতের দাম ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে যেভাবে উৎপাদনব্যয় বাড়ছে,
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ্যেই এমএস রডের দাম বাড়ানোর এই ইঙ্গিত দেন বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
দুই সমিতির নেতারা বলেছেন, বিদ্যুতের দাম ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে যেভাবে উৎপাদনব্যয় বাড়ছে,
তাতে আগামী জানুয়ারি থেকেই রডের দাম বাড়বে। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতি দুটির নেতারা স্টিল মিল ও রি-রোলিং মিল খাতের জন্য বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য কার্যকর না করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আবু বকর সিদ্দিক, বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বদিউল আলম, সহসভাপতি আবদুস সালাম, মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে প্রতি টনে দুই হাজার টাকা উৎপাদনখরচ বেড়ে গেছে। আর ডলারের দাম বাড়ার কারণে বেড়েছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। সেদিক থেকে প্রতি টনে উৎপাদনখরচ এখন চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা বেড়ে গেছে। তাই পণ্যের দামও বেড়ে যাবে।
পরে এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘উৎপাদনব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আগামী জানুয়ারি থেকে রডের দাম বাড়বে। সরকার যেন ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করতে না পারে, সে জন্য আপনাদের জানালাম।’
এর আগে লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ডিসেম্বরে দুই ধাপে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে স্টিল ও রি-রোলিং খাত ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। এই খাত পুরোপুরি বিদ্যুৎ ও গ্যাসনির্ভর। গ্যাসের অপ্রতুলতা, বিদ্যুতের নিম্নপ্রবাহ ও লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদনকাজ ব্যাহত হচ্ছে। একই কাঁচামাল বারবার গলাতে হয়। ফলে কাঁচামাল ও রাসায়নিক নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি যন্ত্রপাতির ক্ষতি হচ্ছে, যে কারণে বিলেট উৎপাদনের খরচ ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে। আগে প্রতি টন বিলেট তৈরিতে যেখানে ৭০০ ইউনিট বিদ্যুতের প্রয়োজন হতো, এখন সেখানে লাগছে দুই থেকে চার হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ। এ অবস্থায় রডের দাম ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শাহজাহান জানান, ১ ডিসেম্বর থেকে প্রথম দফায় বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য কার্যকর করা হয়েছে। বিদ্যুতের মূল্য পিডিবি প্রথম ধাপে (ডিসেম্বরে) ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ ও দ্বিতীয় ধাপে (আগামী ফেব্রুয়ারি) ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ; ডিপিডিসি প্রথম ধাপে ১৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ও দ্বিতীয় ধাপে ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ; ডেসকো প্রথম ধাপে ১৪ দশমিক ১৬ ও দ্বিতীয় ধাপে ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ হারে বাড়িয়েছে।
No comments