সুরের ধারায় রবীন্দ্রনাথ
সার্ধশততম জন্মবর্ষে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বছরজুড়ে নানা আয়োজন করছে সুরের ধারা। এরই অংশ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতবিতানের দুই হাজার ২২২টি গান ডিভিডিতে ধারণ করা হয়েছে। সঙ্গে আছে গীতিনাট্য ও নৃত্যনাট্য_ মায়ার খেলা, শ্যামা, চণ্ডালিকা, চিত্রাঙ্গদা, বাল্মীকি প্রতিভা ও কালমৃগয়া। সবক'টি গান, গীতিনাট্য ও নৃত্যনাট্যে কণ্ঠ দিয়েছেন শুধু বাংলাদেশের শিল্পীরা। আরও থাকছে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রয়াত শতাধিক বরেণ্য শিল্পীর গান।
যেগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে বাংলাদেশ বেতারের ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসসহ বিভিন্ন জনের সংগ্রহশালা থেকে। ২২টি ডিভিডির এ পুরো অ্যালবামটির নাম 'শ্রুতি গীতবিতান'। শ্রুতি গীতবিতানের মোড়ক খোলা হবে আজ বৃহস্পতিবার। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনাড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে মোড়ক খুলবেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে 'রবীন্দ্র উৎসব : সুরের ধারা' শিরোনামে তিন দিনের উৎসব। বিকেল ৪টায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিন দিনের এ উৎসবে অংশ নিতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গীতশিল্পী, বাদ্যযন্ত্রশিল্পী, রবীন্দ্রগবেষকসহ আরও অনেকে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। উৎসবের বড় অংশজুড়ে থাকছেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। এ উৎসবে পাশ্চাত্যের যন্ত্রানুষঙ্গে রবীন্দ্রনাথের গান পরিবেশন করবে গান্ধর্বলোক অর্কেস্ট্রা। উৎসবের উদ্বোধন উপলক্ষে একই মঞ্চে এক হাজার শিল্পী রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করবেন। 'সহস্র কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের গান' শিরোনামের এক ঘণ্টার
এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন ভারতের প্রখ্যাত সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র।
রবীন্দ্র উৎসবে নানা আয়োজনের সঙ্গে থাকছে সেমিনার। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন কবি শঙ্খ ঘোষ, রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য করুণাসিন্ধু দাশ এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন শফি আহমেদ, বিশ্বজিৎ ঘোষ, রামকুমার মুখোপাধ্যায়, আতিউর রহমান, স্বপন মজুমদার, অমীয় দেব, আল্পনা রায়, সোমেন বন্দ্যোপাধ্যায়, কেতকী কুশারি ডাইসন ও সুশোভন অধিকারী। তিন দিনের এ উৎসবে আরও থাকছে রবীন্দ্রনাথের গান, গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্য, রবীন্দ্রনাথের গল্পভিত্তিক চলচ্চিত্র ও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী এবং বইয়ের প্রদর্শনী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুধু আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য। উৎসবের অন্যসব অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল আই।
যন্ত্রানুষঙ্গে রবীন্দ্রনাথের গান পরিবেশন করবে গান্ধর্বলোক অর্কেস্ট্রা : উৎসবের দ্বিতীয় দিন আগামীকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় সঙ্গীত পরিবেশন করবে গান্ধর্বলোক অর্কেস্ট্রা। বিশ্বের ১৭টি দেশের ৩৫ শিল্পীর সমন্বয়ে গান্ধর্বলোক অকেস্ট্রা চার দিন ধরে ঢাকায় মহড়া করেছে। লালমাটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে বুধবারও মহড়া করেছে তারা। পাশ্চাত্যের যন্ত্রানুষঙ্গে শুধুই রবীন্দ্র্রসঙ্গীত পরিবেশন করবে এ গান্ধর্বলোক অর্কেস্ট্রা। তারা মোট সাতটি গান পরিবেশন করবে। শুরুতেই কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার নামের শেষাংশ 'ঠাকুর' শব্দটি 'হামিং'য়ের মতো সুরে সুরে গেয়ে শোনাবে তারা। 'ঠাকুর ঠাকুর ঠাকুর' সুরধ্বনিটি কিছু কিছু গানের মাঝে এবং শেষেও পরিবেশিত হবে। গানগুলো হলো_ 'ভেঙেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়', 'আনন্দ লোকে', 'মন মোর মেঘের সঙ্গী', 'আলোকের এই ঝরনা ধারায়', 'আমি কান পেতে রই', 'আমার মাথা নত করে' এবং 'অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো'। পশ্চিমা বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে অমায়িক বাজাবে ভিওলা, স্টেফান বাজাবে চেলো, বিলুপ্তি বাজাবে স্যাক্সোফোন, অভিনব বেইজ গিটার, পাঞ্চজন্য বুরি লিড গিটার, বাপুস্তারা পিয়ানো, ইরিনা বাঁশি, তাতিয়ানা ট্রাম্পেট ও বেহালা বাজাবে নীল। সুরের ধারার শিল্পীরা তবলা ও হারমোনিয়ামে সঙ্গত দেবেন। বুধবার তারা মহড়ায় উচ্চারণ ঠিক করে নিচ্ছিলেন বারবার। যাতে কোনো ধরনের উচ্চারণ গরমিল না হয়। সঙ্গীত পরিচালক হৃদয়ানন্দ অনুশীলনের সময় সবার কাছে গিয়ে শুনলেন উচ্চারণ সঠিক হচ্ছে কি-না। গানের বাণী ইংরেজিতে লেখা, তার মর্মার্থ এবং সুরের স্বরলিপি পুস্তিকার মতো তৈরি করে গান্ধর্বের প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছিল মহড়ায়। তারা সেটি অনুসরণ করছিল।
তিন দিনের এ উৎসবে অংশ নিতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গীতশিল্পী, বাদ্যযন্ত্রশিল্পী, রবীন্দ্রগবেষকসহ আরও অনেকে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। উৎসবের বড় অংশজুড়ে থাকছেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। এ উৎসবে পাশ্চাত্যের যন্ত্রানুষঙ্গে রবীন্দ্রনাথের গান পরিবেশন করবে গান্ধর্বলোক অর্কেস্ট্রা। উৎসবের উদ্বোধন উপলক্ষে একই মঞ্চে এক হাজার শিল্পী রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করবেন। 'সহস্র কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের গান' শিরোনামের এক ঘণ্টার
এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন ভারতের প্রখ্যাত সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র।
রবীন্দ্র উৎসবে নানা আয়োজনের সঙ্গে থাকছে সেমিনার। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন কবি শঙ্খ ঘোষ, রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য করুণাসিন্ধু দাশ এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন শফি আহমেদ, বিশ্বজিৎ ঘোষ, রামকুমার মুখোপাধ্যায়, আতিউর রহমান, স্বপন মজুমদার, অমীয় দেব, আল্পনা রায়, সোমেন বন্দ্যোপাধ্যায়, কেতকী কুশারি ডাইসন ও সুশোভন অধিকারী। তিন দিনের এ উৎসবে আরও থাকছে রবীন্দ্রনাথের গান, গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্য, রবীন্দ্রনাথের গল্পভিত্তিক চলচ্চিত্র ও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী এবং বইয়ের প্রদর্শনী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুধু আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য। উৎসবের অন্যসব অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল আই।
যন্ত্রানুষঙ্গে রবীন্দ্রনাথের গান পরিবেশন করবে গান্ধর্বলোক অর্কেস্ট্রা : উৎসবের দ্বিতীয় দিন আগামীকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় সঙ্গীত পরিবেশন করবে গান্ধর্বলোক অর্কেস্ট্রা। বিশ্বের ১৭টি দেশের ৩৫ শিল্পীর সমন্বয়ে গান্ধর্বলোক অকেস্ট্রা চার দিন ধরে ঢাকায় মহড়া করেছে। লালমাটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে বুধবারও মহড়া করেছে তারা। পাশ্চাত্যের যন্ত্রানুষঙ্গে শুধুই রবীন্দ্র্রসঙ্গীত পরিবেশন করবে এ গান্ধর্বলোক অর্কেস্ট্রা। তারা মোট সাতটি গান পরিবেশন করবে। শুরুতেই কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার নামের শেষাংশ 'ঠাকুর' শব্দটি 'হামিং'য়ের মতো সুরে সুরে গেয়ে শোনাবে তারা। 'ঠাকুর ঠাকুর ঠাকুর' সুরধ্বনিটি কিছু কিছু গানের মাঝে এবং শেষেও পরিবেশিত হবে। গানগুলো হলো_ 'ভেঙেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়', 'আনন্দ লোকে', 'মন মোর মেঘের সঙ্গী', 'আলোকের এই ঝরনা ধারায়', 'আমি কান পেতে রই', 'আমার মাথা নত করে' এবং 'অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো'। পশ্চিমা বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে অমায়িক বাজাবে ভিওলা, স্টেফান বাজাবে চেলো, বিলুপ্তি বাজাবে স্যাক্সোফোন, অভিনব বেইজ গিটার, পাঞ্চজন্য বুরি লিড গিটার, বাপুস্তারা পিয়ানো, ইরিনা বাঁশি, তাতিয়ানা ট্রাম্পেট ও বেহালা বাজাবে নীল। সুরের ধারার শিল্পীরা তবলা ও হারমোনিয়ামে সঙ্গত দেবেন। বুধবার তারা মহড়ায় উচ্চারণ ঠিক করে নিচ্ছিলেন বারবার। যাতে কোনো ধরনের উচ্চারণ গরমিল না হয়। সঙ্গীত পরিচালক হৃদয়ানন্দ অনুশীলনের সময় সবার কাছে গিয়ে শুনলেন উচ্চারণ সঠিক হচ্ছে কি-না। গানের বাণী ইংরেজিতে লেখা, তার মর্মার্থ এবং সুরের স্বরলিপি পুস্তিকার মতো তৈরি করে গান্ধর্বের প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছিল মহড়ায়। তারা সেটি অনুসরণ করছিল।
No comments